অফ দ্য রেকর্ড

টোকন ঠাকুর

 

দুঃখকে বিড়াল বলে মনে হয়। কারণ, বস্তাবন্দি করে বিড়ালটিকে নদীর ওপারে রেখে আসার পরদিন সন্ধ্যায় দেখি, উঠোনের নিমগাছটা পেরিয়ে দুঃখবিড়াল ফের ঘরে উঠে পড়ছে। দুঃখকে আশ্রিত-আত্মীয়ার মতো লাগে। তার হয়তো যাওয়ার জায়গাই নেই! কে দায়িত্ব নেবে? সারাদিন, তার হয়তো কথা বলার লোকও নেই। এই অবস্থায় দূরাগত আত্মীয়া যাবেই বা কোথায়? কার কাছে তার ভালস্ন­vগবে?

 

দুঃখকে কতভাবে দেখতে পাওয়া যায়। দুঃখ চিকচিক করে জ্বলে, নাকছাবিতেও। ব্যক্তিগতভাবে, দুঃখকে আমার পেতে ইচ্ছে করে। দুঃখ পেতে চেয়ে কত রাত ঘুমাইনি, বলো? দুঃখকে আমার দেখতে ইচ্ছে করে, দুঃখকে আমার পড়তে ইচ্ছে করে। দুঃখরা গান হয়ে যায়। দুঃখ কার কাছে যায়?

 

আয়নায় তাকিয়ে দেখি দুঃখ, হাসতে চেয়েও হাসতে পারছে না। দুঃখ নির্বাক যুগের চিত্রের মতো নিজে নিজেকে দেখছে। দুঃখের চোখের নিচে কালি, চারপাশে লোক তবু খালি খালি খালি…তারপরও দুঃখকে নিয়ে কথা বলি, কারণ, বিড়ালটিকে দেখলেই মনে হয় যে, আরে, একে তো আমি চিনি, নদীর ওপারে ফেলে এসেছিলাম, তবু সে পরদিনই চলে এসেছিল। সে এক রহস্য, এই বিড়াল এই দুঃখ আমার কীরকম আত্মীয়া, কীরকম পরিচিতা?

 

একদিন তোমাকে বলব, কোন প্রহরে রচিত প্রতিটি দুঃখই নিটোল কবিতা!