একসাথে পথে যেতে যেতে

জরিনা আখতার

ঝুলো বারান্দায় শীত-রোদের খেলা

পাশাপাশি দুটো বেতের চেয়ার, টবে ক্যাকটাস

এই যে দুজন তরম্নণ-তরম্নণী বসে আছে পরস্পরের জন্য কম্পিত হৃদয়ে –

আজ থেকে দশ বিশ তিরিশ চলিস্নশ অথবা পঞ্চাশ বছর পর

এরকমই আন্দোলিত হবে দুজনের হৃদয় পরস্পরের জন্য!

নাকি এই তপ্ত হৃদয় নির্ভেজাল ভালোবাসা কিছুই থাকবে না আর –

শীত-রোদ হয়তো সেভাবেই খেলা করবে,

টবে ক্যাকটাস শুকোবে, বেতের চেয়ার জীর্ণ হবে

সতেজ সজীব সবুজ ভালোবাসা দুজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চোখে

জাগাবে নাকি প্রগাঢ় জীবনতৃষ্ণা!

হৃদয় তো নয় ধাতব-বস্ত্ত, প্রাণহীন জড় পদার্থ

তবে কেন শঙ্কা এসে ঢেকে দেয় কালো চাদরের আবরণে

ঝুলো বারান্দার পৃথিবী!

দুজনই কি থাকবে বেঁচে পরস্পরের জন্য –

এই হৃৎকম্পন, সিণগ্ধ ভালোলাগা কিছুই হারাবে না!

মুগ্ধ হৃদয় তখনো বাজাবে নূপুর রম্ননুঝুনু রম্ননুঝুনু –

অনুপম ভরতনাট্যমে জাগাবে অসংখ্য দর্শক-হৃদয়,

বিস্মরণের ইতিহাসকে হারিয়ে দিয়ে জিতে যাবে অবিস্মরণীয়

ঝুলো বারান্দা!

হয়তো থাকবে না একজন –

একসাথে পথে যেতে-যেতে

অন্ধকারের অমত্মরালে একদিন একজন যাবে থেমে!