কবিতাভ্রমণ

(উৎসর্গ : রফিক আজদ)

 

ফারুক মাহমুদ

 

সব অশ্রু পুড়ে যায়

 

পায়ে হেঁটে নয়। তুমি, পদব্রজে এসে গেলে এতটা সুদূর…

 

নিজে একা। একা নিজে। বানিয়ে রেখেছ চুড়ো মানবিক আগুনপাহাড়

জেগে থাকে দীর্ঘ চোখে, যেদিকে সুন্দর হেঁটে যায়

 

কেউ কেউ চলে আসে – পানীয়জলের জন্য ক্ষতদগ্ধ হাতে

সত্যের সামান্য অংশ, অবিকল্প নিদ্রা ও আহার

সকল শূন্যতা দিয়ে ভরে দিতে প্রবাহের সুর

 

তোমার তো জানাই ছিল – সব অশ্রু পুড়ে যায় বৃষ্টিভেজা ভ্রমণের রাতে

 

ক্ষমতার কত স্ফীতি তোমার পায়ের কাছে মুগ্ধ পায়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়ায়

সন্তের মৌনতা নিয়ে তুমি থাক স্বচ্ছ নির্বিকার

 

তোমার কবিতাগুলো হেসে ওঠে নদীদের অপলক জোয়ার-ভাটায়

 

ক্ষমা

 

তোমার কবিতাগুলো ভোরবেলা বাগানের হাসি

(যেতে যেতে তবু ফিরে আসি)

 

তোমার কবিতাগুলো তারাফুল অন্ধকার গাছে

(অভিমানে বুক ভিজে আছে)

 

তোমার কবিতাগুলো সমাজের কোন কাজে লাগে!

(শুশ্রƒষায় সকলের আগে)

 

তোমার কবিতাগুলো উলটে থাকা ভাঙা ছাইদানি!

(আমরা কিন্তু ক্ষমা করতে জানি)