কাইয়ুমভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য

মালেকা বেগম

তিনি আছেন, থাকবেন সকলের শুভ-উদ্যোগে, শিল্পসাধনায়। তিনি নেই শারীরিকভাবে। নশ্বর এই জগতে শারীরিক বিনাশ প্রতিনিয়ত ঘটছে। কিন্তু যে-মহাজনেরা শরীরকে ছাড়িয়ে অপার্থিব মনের অধিকারী হয়েছেন, তাঁদের তো বিনাশ নেই। বিনাশ তাঁদের হতে পারে না। কাইয়ুম চৌধুরী তেমনি এক ব্যক্তিত্ব যাঁর কথা মনে হলেই বলতে ইচ্ছা করে ‘ঐ মহামানব আসে।’

কাইয়ুম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা সেই ১৯৬২-৬৩-এর উত্তাল ছাত্র-আন্দোলনের সময়। সবেমাত্র ছাত্র ইউনিয়ন সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সংযুক্ত হতে শুরু করেছি। চারপাশে উত্তাল ছাত্রসমাজ। রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও ছাত্র-আন্দোলন তখন পরস্পর সম্পূরকভাবে মাঠে-ময়দানে সোচ্চার হয়ে থাকছে। শিক্ষার্থী মেয়েদের মধ্যে – স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন শাখা তৈরি করছিল। দেশের সর্বত্র কিশোর-তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলেছিল ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক, সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক কর্মকান্ড। লিফলেট বের করা, পোস্টার তৈরি করা, একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসের স্মরণিকা প্রকাশ করা, শহীদ মিনারে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে-ময়দানে-অডিটোরিয়ামে সংগীতের মূর্ছনা সৃষ্টি করা – এসব কাজের অভিভাবক, পরামর্শদাতা, শিল্পভুবন তৈরি করার কাজের সূত্রে ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে আমরা সংগীত-নাটক-আবৃত্তিকারক মহামতি শিল্পীদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য যেমন পাচ্ছিলাম, তেমনি শিল্পীদের অন্তর্দৃষ্টির প্রসারতায় নিজেদের বিকশিত করছিলাম। প্রখ্যাত গুণিজন শিল্পীদের অন্যতম ছিলেন এবং আছেন স্বনামখ্যাত কাইয়ুম চৌধুরী।

কাইয়ুম চৌধুরী নিজ সৌজন্যে এবং উদারতায় আমার বড়ভাই হয়ে গেলেন। ছোট বোনের উৎপাত তিনি সহ্য করলেন আজীবন। কাইয়ুম ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়ের দৌত্যের কাজ করেছিলেন দুজন। একজন মতিউর রহমান, যিনি তখন ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের এবং ছাত্রনেতাদের অন্যতম সংগঠক; বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক। অন্যজন আবুল হাসনাত, যিনি তখন ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন, সংস্কৃতি সংসদের কৃতী সংগঠক ও নেতা; বর্তমানে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদক।

কাইয়ুমভাইয়ের বাসায় যাওয়া আমাদের জন্য ছিল অবারিত, মুক্ত আহবানে, সাদর অভ্যর্থনায় পূর্ণ। একই সঙ্গে শ্রদ্ধায়-সম্মানে অবনত হচ্ছি কাইয়ুমভাইয়ের জীবনসঙ্গী শিল্পী তাহেরা ভাবির কাছে। তিনি যখন সদর দরজা মেলে দিতেন মুখভরা অকৃত্রিম-অনাবিল হাসিতে তখন আমাদের সব সংকোচ, সব দূরত্ব মুছে যেত। সময়ে-অসময়ে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর কাছে পত্র-পত্রিকা-স্মরণিকার প্রচ্ছদের বায়না নিয়ে কত যে গিয়েছি, তার কোনো হিসাব নেই। প্রতিবারই শিল্পীজায়া এবং শিল্পী তাহেরা ভাবি সাদরে কাছে টেনে নিয়েছেন, ভালোমন্দ খবরাখবর জানতে চেয়েছেন, আপ্যায়ন করেছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। সেসব এখনো টাটকা স্মৃতি হয়ে ফাঁকা হয়ে যাওয়া কাইয়ুমভাইয়ের স্থান পরিপূর্ণ করে দিচ্ছে।

রোকেয়া হলের কার্যকরী কমিটি নির্বাচনের সময়ে, ডাকসু নির্বাচনের সময়ে এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে হলের ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কমনরুমের শিল্প-সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রাপ্ত স্বল্প-মঞ্জুরিকৃত ফান্ডের নামমাত্র সম্মানীতে কাইয়ুমভাইয়ের শিল্পসম্ভার থেকে কত কিছু যে আনতাম তা ভেবে সবসময়ই তাঁর প্রতি উজাড় করে দিয়েছি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। তাঁকে পেয়েছি সবসময় এমনভাবে যেন তিনি আমাদেরই একজন। সত্যিই তাই ছিলেন তিনি। ছাত্র-সময়কাল পেরিয়ে যখন নিজে সংসার বাঁধতে মনোনয়ন করেছিলাম মতিউর রহমানকে এবং সলজ্জে দুজন মিলে তাঁদের বাসায় খবর জানাতে গিয়েছিলাম ১৯৭০ সালের জুন মাসে, তখন তাহেরা ভাবি ম্যাজিক হাসি বিনিময় করে বলেছিলেন, আমরা জানতাম এরকম জুটিই তোমরা বাঁধবে। ঘুণাক্ষরেও কোনোদিন এর আগে আভাস পাইনি তাঁদের এমন স্থির বিশ্বাসের। একই সঙ্গে এই প্রসঙ্গে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রয়াত শিল্পী নিতুন কুন্ডুকে এবং প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানকে। ঘনিষ্ঠ-আশীর্বাদ পেয়েছিলাম তাঁদের দুজনের কাছ থেকে। শিল্পী নিতুন কুন্ডু নিজের গাড়ি নিজে ফুলের সম্ভারে সাজিয়ে বরকর্তা-স্বরূপ কবি শামসুর রাহমানকে পাশে বসিয়ে বর মতিউর রহমানকে বিয়ের আসরে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজীবন তাঁদের ভালোবাসা পেয়েছি এবং হৃদয়ে গেঁথে রেখেছি।

শিক্ষাজীবন শেষে নারী-আন্দোলনের সংগঠক রূপে যখন ১৯৭০ সালে জীবনের নতুন পদক্ষেপ নিলাম, তখনো শিল্পী কাইয়ুমভাইয়ের নানা পরামর্শ শিরোধার্য করে চলেছিলাম। শিল্পী নিতুন কুন্ডু ১৯৭২ সালে এঁকে দিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লোগো, যা আজ অবধি দেদীপ্যমান। কাইয়ুমভাই মহিলা পরিষদের বিভিন্ন পোস্টার আঁকতে থাকলেন। সংগঠনের পোস্টার, ম্যাগাজিনের শিল্পকলার অধিকাংশই শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর কালি-কলম-তুলির রেখাঙ্কনে শৈল্পিক দ্যোতনায় বিচ্ছুরিত হতে থাকল। সুখে, দুঃখে, নির্যাতনে, বেদনায়, আনন্দে, অর্জনে, বিসর্জনে বাংলার চিরকালীন নারীর দ্যোতনা তাঁর রং-তুলির কৌশলে এবং শিল্পীর অকৃত্রিম সমদর্শী-ভাবনায় বিমূর্ত হয়ে উঠত। দৈনন্দিন নারী-আন্দোলনের টানাপড়েন থেকে আমরা মুক্তি পেতাম। অপার্থিব চিরকালীন আশ্বাসে-বিশ্বাসে শিল্পী তাঁর চিরন্তন সবুজ মন এবং নতুন দৃষ্টিতে দেখার চিরসজীব শিল্প-কৌশলের দ্যোতনায় বাংলার নারীর যে-রূপ সারাজীবন এঁকেছেন তাতে আমাদের চিত্ত-মাথা নত করে তাঁর শুভ কামনায় অর্পণ করেছি।

নারী-আন্দোলনের পাশাপাশি আমার কর্মজীবনের শুরুতে নারী-আন্দোলনবিষয়ক বই লেখালেখির কার্যক্রমে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর অবিচ্ছিন্ন সহানুভূতি-সাহচর্য আমাকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থে তাঁর প্রচ্ছদচিত্র আকস্মিক অসুবিধায় না পাওয়ায় তাঁরই পরামর্শে অকৃত্রিম বন্ধু শিল্পী এ. মুকতাদিরের (তিনি আমার শ্রদ্ধেয় সেজোভাই) শিল্পকর্মে বইটি মুদ্রিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। এরই মধ্যে আমার লেখার সাধনা চলতে থাকে, প্রকাশকদের আনুগত্যে বই প্রকাশিত হতে থাকে এবং অদ্যাবধি সেসব প্রকাশিত বইয়ের অধিকাংশে প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে কাইয়ুম চৌধুরীর দেদীপ্যমান অবস্থান আমাকে ভাবাপ্লুত করে রেখেছে এবং রাখবে আমার জীবনকাল পর্যন্ত। হাতে নিয়ে দেখছিলাম বইগুলো। বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ তাঁরই করা ছিল। উইনির চোখে ম্যান্ডেলা (জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী), ইলা মিত্র, স্নেহলতা (সূচিপত্র), নারীর কথা (গণসাহায্য সংস্থা, মুদ্রক), বাংলা সাহিত্যে যৌতুকের প্রতিফলন (ইউপিএল), মুক্তিযুদ্ধে নারী (প্রথমা) ইত্যাদি বইয়ের প্রকাশক অনুরোধ জানানো মাত্র কাইয়ুমভাই যে সময়মতো প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছেন, সেজন্যে আমার মনে গর্ব হয়। তাঁর স্নেহধন্য হওয়ার এই মহৎ যোগসূত্রে বা মুদ্রণসূত্রে তাঁর মহানুভবতা বেশি করে পেয়েছি বলে ধন্য হয়েছি। একদিকে আনন্দ অন্যদিকে বিষাদ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলছি, আমার লেখা সর্বশেষ বই, প্রথমা থেকে প্রকাশিতব্য কীর্তিমান বাঙালি সিরিজের কিশোর জীবনীগ্রন্থ সুফিয়া কামালের প্রচ্ছদ অলংকরণ তিনি শেষ করে গেলেন অথচ দেখতে পাবেন না।

বড় কাছে পেয়েছিলাম কাইয়ুমভাইকে সচিত্র সন্ধানীতে পেশাগত কাজ করার সময়ে। সেইসঙ্গে সচিত্র সন্ধানীর সম্পাদক গাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদের ঋণ স্বীকার করছি – সেই পত্রিকায় প্রথমে প্রদায়ক পরবর্তীকালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে আমাকে পেশাগত কাজে যুক্ত করেছিলেন বলে। সে-সময়টা আমার পেশাগত জীবনের আনন্দ-সুধাময়, তৃপ্ত মাধুর্যে ভরা অর্ধযুগ ছিল। বিখ্যাত, স্বনামখ্যাত সাহিত্যিক, লেখক, সম্পাদক, শিল্পী, কলম-সহযোদ্ধাদের সঙ্গে ১৯৮০-র দশকের ছয়টি বছর কাজ করেছি এবং মিডিয়ার বিষয়ে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে চেষ্টা করেছি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি কবি সৈয়দ শামসুল হক, সৈয়দা আনোয়ারা হক, শফিক রেহমান, তালেয়া রেহমান প্রমুখ স্বনামখ্যাতকে। তাঁদের সঙ্গে সচিত্র সন্ধানীতে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সেই সময় সচিত্র সন্ধানীতে নিয়মিত আসতেন এবং তাঁর খ্যাতনামা সেই বই একাত্তরের দিনগুলির সাপ্তাহিক পান্ডুলিপি তৈরি করে দিতেন। কাইয়ুম ভাই সে-সময়ে সচিত্র সন্ধানীতে প্রায় সার্বক্ষণিক শিল্পীর মতো যাতায়াত ও অবস্থান করতেন। বন্ধুসুলভ প্রীতিতে ভরিয়ে দিতেন সকল কম্পোজিটার থেকে (বলে রাখা ভালো তখন হাতে কম্পোজ হতো) শুরু করে সকল কর্মী, শিল্পী, প্রদায়ক, লেখক, শিল্পীদের। তাঁর অদম্য স্পৃহা, নন্দনতত্ত্ব, বাংলা ও বাঙালির সবুজ প্রকৃতি ও মনের শিল্পায়ন, সরস হাসি, কৌতুকরস, বন্ধুত্ব কী না পেয়েছি সেই সময়ে। সেসব স্মৃতি আমাকে, আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, দেবে যে, তিনি একাধারে জাতীয় শিল্পী, সবার প্রিয় কাইয়ুমভাই, স্বাধীনতার বিজয়গাথার শিল্পী, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক ও স্বাধীনতার পদকপ্রাপ্ত শিল্পী হয়ে দেশ-বিদেশের সমধর্মী প্রগতির ধারায় চিরঞ্জীব মানুষ হয়ে বিরাজিত থাকবেন। সর্বশেষ পর্যায়ের কথায় আসি, যখন আমি নিজে ৬০ বছর অতিক্রম করছি তখন তিনি ৭০ বছর অতিক্রম করে যাচ্ছেন। বয়সের এই প্রবীণত্ব তাঁর সঙ্গে আমার এবং অন্য বহুজনের বন্ধুত্বসুলভ নৈকট্য গড়ে তুলেছিল। সেই পর্বে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কর্ণধার আবুল খায়েরের সকল কর্মকান্ডের সঙ্গে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী এবং আরো স্বনামখ্যাত শিল্পী সসম্মানে সম্পৃক্ত হয়েছেন। আমি এবং মতিউর রহমান মহানন্দে কাইয়ুমভাইয়ের সকল স্নেহ-প্রীতি অর্জনের সুযোগ পাই। কালি ও কলম কার্যালয়ে স্নেহাস্পদ আবুল খায়ের এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সকল কর্মীসহ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আবুল হাসনাত সকলের সঙ্গে নানা কাজে ও অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে পড়ি লেখা দিয়ে ও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে। লুভা নাহিদ চৌধুরী সার্বক্ষণিক স্মরণের জন্য তাঁর পাঠানো চিঠি এবং মোবাইলের ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমটি আমাকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ও কালি ও কলমের এবং অন্যান্য চিত্র-প্রদর্শনীর সঙ্গে যোগসূত্র রাখতে সাহায্য করছে। সেজন্যে আমি ধন্য। অকালপ্রয়াত শিল্পী সুবীর চৌধুরীর মৃত্যুশোক কাইয়ুমভাইকে মর্মাহত করেছিল। আমরাও সুবীর চৌধুরীর উদ্যোগের মাধ্যমে মাঝে মাঝেই মঙ্গলসন্ধ্যায় মিলিত হতে পারতাম। কাইয়ুমভাই ছিলেন মধ্যমণি। তাঁর সঙ্গে তাঁর জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুষ্ঠানে একাত্ম থাকতে পেরেছিলাম। আকস্মিকভাবে মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে তাঁর জীবনাবসান উপস্থিত সকলের চোখে শোকাশ্রু বইয়ে দিয়েছিল। জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে তিনি কী যেন বলতে চেয়েছিলেন, যা বলতে পারেননি। মৃত্যুর দুঃসহ স্পর্শে তিনি অমর হয়ে রইলেন আমাদের কাছে।

তাঁর সকল কর্মকীর্তির মধ্যে তিনি চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। তাঁর সহধর্মিণী আমাদের ভাবি, তাঁর ছেলে, বউমা এবং নাতনি, শ্যালকসহ পরিবারের সকলের প্রতি জানাচ্ছি সহমর্মিতা। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সকলের প্রতি, কালি ও কলমের সম্পাদক আবুল হাসনাত এবং অন্যান্য সহকর্মীর কাছে তাঁর অভাব অপূরণীয় ক্ষতির সমান। তাঁদের সকলের সঙ্গে আমি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।