তৃণে-ছাওয়া আদিম ঠিকানা

আসাদ চৌধুরী

 

খালি হয়।

ঠিক খালি হয়।

দেখা যায় না, তা’তে কী!

কি ওয়েস্ট, জলেশ্বরী, জোড়াসাঁকো

আঁকো,

যত পারো এঁকে যাও,

পেনসিল কী জলরঙে

অশ্রম্ন-আর্তনাদে

আঁকো নানা ঢঙে

কেবল ভরাট করা নয়

ঠিকঠাক ছেড়ে দেওয়াই শিল্প

কিছু খালি থাক

শেষ অব্দি কী ক’রে যে খালি হয়

সে কি নিসর্গের সরল সিগন্যালে?

 

বুকে পুরে চৌষট্টি হাজার গ্রাম

দুঃখী হেলিকপ্টার আকাশে

যাচ্ছে কুড়িগ্রাম

মানুষ আসতাছে বানের লাহান

পরাণের গহীন ভিতরে থরে থরে

বাঁশি আর দোতরা একতারা

 

হাতে পাইপ, দামি ধোঁয়া

বস্নু জিন্সে গতর ঢেকে

গট্গট্ ক’রে কে পেরোয় মল

 

না, আর হবে না পারাপার

মঞ্চ খালি

মল খালি

টেবিলের অসমাপ্ত পা-ুলিপি

জ’মে থাকা অসংশোধিত প্রম্নফের বান্ডিল

বলপেন, ল্যাপটপ

বিরহ শব্দটি চেনে?

 

সব খালি ক’রে

ঘাসের ঠিকানা মেনে নেওয়া।