নষ্ট চোখের আয়না

স্বপন সৌমিত্র

সত্যিই কি জল আর আগুন ক্ষমাহীন স্বভাবশত্রু? আগুন! চির অতৃপ্ত, যার জিহবায় কোনো খাদ্য যথেষ্ট নয়।
জল! মঙ্গল কর্মের সাক্ষী, প্রথম পুরুষের জলক্রীড়া সিন্দুসলিলে নীরবে লুকিয়ে ছিল।

প্রত্যেকের কিছু ঘুমহীন রাত থাকে, যাকে চিরদিন নষ্ট চোখের আয়নায় রেখে অন্যের প্রতিবিম্ব খোঁজে, পৃথিবীর মায়া আবেগ দেহ এমন বিশুদ্ধ কিছু নয়। উর্বর রাত, মৃত্তিকা নদী-নারী আপন মৃত্যুঘ্রাণে স্বপ্ন দেখে! মৃত্যু চিরচেনা সহজ প্রাপ্তি তবুও মুখোশ ব্যঙ্গ করে প্রতিদিন, ঈশ্বর তখন জলের নিচে হাসে। নদের চাঁদের উজানির বাঁকে বিচ্ছেদ আক্রোশে জলজোছনা ঘোলাজলে সাঁতার কাটে। কৃষ্ণ রাখালের কাছে প্রতিমা-পূজনীয় হয়ে গেছে। ঘুণের কাঁচা হাড় সৌমিত্রের কথা ভুলে যায়; মুখর রাখালের ঠোঁটস্পর্শে ‘অহল্যা’ উদ্ধার পায়। নতুন ‘পিঙ্গলা’ দেখে যুধিষ্ঠির মুখ। মিথ্যাবাদী দেবতা এবারও হাসে।