বর্ষার কবিতা

কামাল চৌধুরী

বর্ষা কবিতা মেশিন

বর্ষা কবিতা মেশিন – ভেজা হাত লিখছে পৃথিবী
দিস্তা দিস্তা রিম রিম লেখা হচ্ছে ভালোবাসাবাসি
দুজনেই কাকভেজা; দুজনেই অসামান্য ঋতু
আমরা এভাবে শোন, পদ্য লিখে কবি হতে আসি।

তরঙ্গ জানালাজুড়ে; দীর্ঘশ্বাসে কাঁপে বাঁশপাতা
বুকের বাঁপাশে আজ। রাত দুটো ঘড়ির কাঁটায়
সেকেন্ড মিনিট লুপ্ত; লুপ্ত আজ রাত্রি, ঘুমঘোর
পয়ারে ঝাঁপায় বৃষ্টি, ঝিঁঝি ডাকে কবিতাসভায়।

সকালে দারুণ ছাপা; বর্ষা সংখ্যা বাহারি পাতায়
আঁকাবাঁকা বৃষ্টি হাতে স্বপ্ন ফোটে, সুদূরভাষিণী
পাঠিকা হে পাঠ করো, অন্য নামে রেখো না বর্ষাতি
আবার বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরতপ্ত কবিতাকে আনি।

চড়–ইভাতি

বৃষ্টি আজ দুষ্টু ছেলে, কাদের দস্যি মেয়ে!
দুজন মিলে চড়–ইভাতি কর গে তোরা গিয়ে
ভাড়ায় পাবি পার্টি হাউস, তাপানুকূল বাড়ি
আমরা ভিজে কাব্যকথা লিখব তোদের নিয়ে।

বৃষ্টি মানে হারানো এক আকাশ খুঁজে পাওয়া
ধন্য জীবন, ধন্য মাগো জন্ম কবি বেশে
আমরা সবাই কদম গাছে আষাঢ় ফোটা নদী
ভেজা শালিক, জন্ম নেব আবারও এই দেশে।

আমার গানে বর্ষাতি নাই, আছে বাউল সুর
প্রাচীন কালের স্মৃতিতে ফের পথ হারাতে আসি
আমি যখন উপচে পড়ি আমারও কূল ভাঙে
বর্ষাকালে ওগো ময়ূর তোমায় ভালোবাসি।