অপার্থিব সেই রাত

মারুফ রায়হান

 

নদীতীর বারান্দায় মধ্যরাত চুম্বনে চুম্বনে

আশ্চর্য বিহবল – চাঁদ নেই তবু জোছনা অপার

রচিত হয়েছে এইখানে অভিনব অভিসার

দুটি নরনারী জানে এই রাত স্বপ্নমূল্যে পাওয়া

হয়তোবা ভোরে এ-সৌন্দর্য মিলাবে ধুলায়, তবু

যতক্ষণ জীবন্ত এ-রাত ততক্ষণই স্বর্গসুখ

ওঁৎ পেতে থাকে যদি দোজখ তো থাক – অধরের

অনিঃশেষ তৃষ্ণা নিয়ে অন্ধকার আরো ঘন হোক

চেনা পৃথিবীর প্রথা-প্রয়োজন মুলতবি থাক

থাক প্রতীক্ষায় শয্যা, রতি-তাড়া নেই – মৌন মন

ভিন্ন কোনো শান্তি নিয়ে মুখোমুখি – মায়াবী চোখের

আরশিতে নিজেকে দ্যাখে একজন, দূর তারকার

আলো নিয়ে অন্যজন উদাসীন, যেন বা ভাস্কর্য

তারপর আলিঙ্গনে কেঁপে ওঠে অতৃপ্ত বাতাস

নিজেকে উজাড় করে পূর্ণ ব্যবহৃত হতে দিয়ে

প্রেমিক-পুরুষ পেতে চায় স্বস্তি, নারীর কী চাওয়া

জানে না ঈশ্বর, চিন্তা কামনাবাসনা তন্দ্রাতুর

পরম ডানায় ওড়ে মেহগনি পাথর-প্রাঙ্গণ

এমন রজনী আসে একবার সমগ্র জীবনে

তাকে যদি করে তোলো ভুলে শতভাগ শারীরিক

নিছক তরল হবে দেহাতীত অমূল্য মদিরা

জাগতিক হয়েও এ-রাত ভিন্ন, অন্য পৃথিবীর,

অন্বেষণে সমর্পণে অধীর বর্ণিল এই রাত

ভালোবাসাসিক্ত গীতিময় বিমূর্ত মুহূর্তগুচ্ছ।