ঈর্ষা

চাণক্য বাড়ৈ

আমার প্রেমিকা, তবু রোজ সে ঘুমোতে যায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, আমি ভাবি পরের জনমে তবে জমিদারই হবো। বনবাসে ধ্যানে যাই, তাতেও জন্মে না বিশ্বাস ধুলো পরিমাণ ‘জন্মান্তরবাদে’। সামান্য বালির কণা, তার কাছে হিমালয় খুব ক্ষুদ্র মনে হয়।

উদয়াস্ত সমর্পিত রবীন্দ্রনাথে। তানপুরা কোলে নিলে পৃথিবীতে পাই না তাকে আর। ভাবি, পরের জনমে তবে অর্ফিয়াসই হবো। তবু কিছুতেই জন্মে না বিশ্বাস পুনর্জনমে। বুকের ভেতরে এক কালো ছায়া – অপবিত্র ঈর্ষাকেই পুষি, নিশ্বাসে-প্রশ্বাসে সে যেমন পুষে রাখে রবীন্দ্ররচনাবলী।

রবীন্দ্রনাথ, কীভাবে কেটেছে সিঁধ মন-ঘরে। গীতবিতানের পাতা থেকে বের হয়ে এসে একেকটি বিষধর সুর প্রতিদিন ঢুকে যায় লোহার বাসরে।

হায়, আমার প্রেমিকা সে, ঘুম ভাঙে স্বপ্নঘোরে, পক্বকেশ শ্বেত শ্মশ্রু দরবেশ দরশনে।