একে শূন্যে দশ

মোহাম্মদ সাদিক

 

বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বৃক্ষমানব নন

এই জীবনে কোনো কিছুই চায় না যে তার মন

জানার চেয়ে না জানাটাই নিজের কাছে পুণ্য

ডাইনে বাঁয়ে যেদিক তাকান সবকিছুই শূন্য

 

পথ ছিলো না পথের ওপর পথের ছবি দেখে

তিন পৃথিবীর সবাই এসে নিজের নামটি লেখে

এক পথিকের তিনটি মাথা তিন ভুবনে থাকে

সব পথিকের দেহ ভাসে বুড়িগঙ্গার বাঁকে

 

হাতে হাতে পৌঁছে যাবে নদীর বাড়িঘর

নদীর কাছে নদীর নারী নদীর শাপে বর

শূন্য শূন্য বলে সবে শূন্য সারাৎসার

কোথায় বাড়ি কোথায় ঘর কেমন চমৎকার!

 

অক্ষরের আগে পরে

অভিজিৎ দাশগুপ্ত

 

একদিন মন খারাপের বর্শা এসে কানামাছি খেলে

তারপর যন্ত্রণায় ক্ষতস্থান চেপে ধরতেই সে

মৃদুভাষী

 

আবার এলো বলে। আমি কি তাকে চতুর্গুণ

অর্থে কিনে দিইনি সমসত্ম সকাল

একদিন এখানে-ওখানে সে বলে বেড়াবে

একদিন একদিন একদিন একদিন

 

আমার ইচ্ছের দাম নেই, রম্নগ্ণ কৃষি

গুহামুখ হা … তাতে ফিরে আসে গোছাগোছা

বয়ঃসন্ধিজনিত অসুখ

 

শিকার অপেক্ষায়! শিকারি প্রস্ত্তত। অবশিষ্ট কৌশল

তারপর একদিন তোমাদের পাশাপাশি শুইয়ে

আমি কতকালের আলোকবর্ষ মেখে নিচ্ছি

অক্ষরের আগে-পরে