এপিটাফ অথবা চুক্তিপত্র

চাণক্য বাড়ৈ

হয়তো এভাবে একদিন অনূদিত হবে শতাব্দীর নীরবতা – মৌনতা নামে তোমাদের ভাষাবিজ্ঞানে যুক্ত হলো নতুন অধ্যায় – আমি ওই শ্যাওলা-সবুজ সমাধিতে ঘুমিয়ে গেলে তোমরা উদ্ধার করো তারাদের স্বরলিপি। আর আমার এপিটাফে জুড়ে দিয়ো একটি নমিত সুর – যার নিমজ্জন পাহাড়ে – নির্জনতার নিটোল নিস্তব্ধতায়।

যে-জীবন পেরিয়ে এলাম, শৈশব কৈশোর যৌবন বার্ধক্য এসব বাহারি নামের একেকটি সাঁকো ছাড়া আর কিছুই নয় – আর মৃত্যু এক জ্যোতির্ময় পাখি, বুকের মাঝখান থেকে টুপ করে খুঁটে নেয় ‘প্রাণ’ – সুস্বাদু শস্যদানা।

প্রতিদিন কুয়াশার কংক্রিট ফুটো করে যে একবিন্দু আলো আসে – ঘুরন্ত লাটিমের মতো তাকে হাতের তালুতে নাচাই। এভাবে পুরো পৃথিবীটাই নিয়ে আসি হাতে। তবু দেখো, ঈশ্বরের সাথে বন্ধুত্ব হলো না                                                                                       আমার –

আর তুমি, আয়নায় বিম্বিত পুরুষ – কেবলই ছায়ার মোহে জীবন আর মৃত্যুর চুক্তিনামায় রেখে গেলে অজস্র অমোঘ স্বাক্ষর –