কোথাও একজন কেউ অপেক্ষায় থাকুক

সাজেদুল আউয়াল

 

হতে পারে ভুবনডাঙার মোড়

অথবা উধাও হয়ে যাওয়া তিন প্রহরের প্রান্তর;

না-হয় নিতাইগঞ্জের বাসস্টপই হোক,

নতুবা ময়নাপাড়ার উঠান –

কেউ একজন থাকুক দাঁড়িয়ে কোথাও।

পরনে থাক নলসোঁদার শাড়ি, কপালে খয়েরি টিপ,

মুখখানা না-হয় দেখাক কিছুটা মলিন।

 

না-হয় রয় যেন দাঁড়িয়ে

ডুমুরিয়া নদীর বাঁকটি এসে মিশেছে যেখানে

খালমনার সাথে, সেখানে;

অথবা অভয়দাস লেনের সরু গলির মাথায় –

কেউ যেন তবু থাকে অপেক্ষায় উদাস, একা।

 

অথবা থাকুক স্টেশনরোডের উলটোদিকে

দূরের সিগন্যাল বাতির মতো নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে।

নয়তো লাউয়ের মাচাটি ধরে অপেক্ষা করুক উন্মনা কেউ;

ছনে-ছাওয়া ঘরের পাশে খয়েরি রঙের

পাকা ধানক্ষেতের উপর দিয়ে তখন

এঁকে-বেঁকে উড়ে যাক কাকের দল,

ঝিমিয়ে পড়া দিনের শেষে।

 

কারো সঙ্গে তবু দেখা হোক একবার –

কেউ একজন বলুক :

দেরি হলো যে বড়ো? পথ ভুলে গেছ বুঝি!

বলুক : ভেতরে এসো – বসো, লালচালের ভাত রেঁধেছি;

শিমের বিচি দিয়ে মাগুর।

আরো বলুক : লবণ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছ নাকি,

কিছু বলছ না যে?

কে করবে উত্তর – সামনে কেউ থাকলে তো!