ঘনমানুষ

খোন্দকার আশরাফ হোসেন

আটটা তিরিশে ক্লাস, তিনটে পঁচিশে সভা সাতটা চল্লিশ
ইন্তিরি বিন্তিরি ক্লাব ইশ্কাপনের বিবি আর তিন টেক্কা
নয়টা পঁচিশে টিউটো, এগারোটায় রিয়েল শ্রেণির কক্ষ টালমাটাল
জাহাজের পাল, বুড়ো নাবিকের রুখো চামড়া নিবদ্ধ কপিশ
চোখ বাজাবে ছুটির ঘণ্টা বারোটায়, আবার রিয়েল থেইক্কা
সাররিয়েলের নবযাত্রা, আবার ক্যাম্পাসের কাঁঠালিচাঁপার ডাল
শিস দেয়, একটা তেত্রিশে উত্তরার বাস ছাড়ে আধুনিক
হোলি-গ্রেল-সন্ধানীদের নিয়ে –

এভাবেই ঘন থেকে ঘনতর দিনের জীবন, নয়টা রাত্রির শিক
ঘিরে থাকে রাতের চাতাল, প্রভাতে মধুর গায় পুনরায় জলধির বক
(উড়ে যায় প্রকৃত সারস নয় মানুষেরা কাছে এলে শিস দিলে
বাতাবিনেবুর বনে মুখ ঢাকে আহ্লাদিয়া চাঁদ), ছুটন্ত মাকুর
ঘায়ে ফুটে ওঠে ক্রসবুনোটের ফ্রেমে হরিণ শাবক
আর দিনানুদৈনিক খই ভেজে যায় রাজনীতি সশব্দ মিছিলে
তিনটি ডাইনি বসে অাঁক কষে কবে আসে নদের ঠাকুর।