রবিউল হুসাইন
এক.
নিজের আমার কিছুই নেই
ব্যক্তিত্বহীন আমি-র
দেহ তৈরি পিতামাতার
মনটি অন্তর্যামীর
দুই.
পরিখাটি চারিদিকে
প্রাচীর প্রাসাদ ঘিরে
তবু আসে শত্রু
বারে বারে ফিরে
তিন.
মাঝরাতে বাজ পড়ে
ঠা-ঠা – বিদ্যুতায়িত
কর্ণকুহরে পৌঁছুলেই
সবকিছু সত্যায়িত
চার.
পাঁচমিশালি পাঁচে নয়
অগণন তার সংখ্যা
হয়তো দুই-তিনে মেশে
নেই কোনো ব্যাখ্যা
পাঁচ.
আকাশে মেঘ নেই
তবু নামে বৃষ্টি
ঝর্ ঝর্ ঝরে যায়
এ কী অনাসৃষ্টি
ছয়.
পিপাসায় বুক ফাটে
আকাশে জল নেই
মেঘ শুকিয়ে তুলো
শুধু আকাশগঙ্গা নামেই
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.