জলের জাদুঘর

রবীন্দ্র গোপ
 

রাত গভীর থমথমে কবিতার ঈশ্বর বসেন

ধ্যানের প্রতিমা খুলে দেয় ত্রিকোণ জলের জাদুঘর

বহু ঐশ্বর্যের গর্বিত মানবেরা কেটেছে সাঁতার রাত্রিভর

ডুবেছে ভেসেছে, আবার কূলহারা নিমজ্জিত।

বসন্তে কেউ বেসেছে ভালো মুছে শীতে কালো

সাজিয়েছে জীবননদীর ঢেউয়ের ফুলে ফুলে

 থইথই জল ছলছল স্পর্শের আনন্দে উত্তাল

তার ঘাম মিশেছে ওর ঘামে তারপর শান্তি, জলের শরীর।

তার নিশ্বাসে তাপ ওর কাছে ফিরে গেছে স্মৃতি দীর্ঘশ্বাস

ভালোবাসা এ-শব্দে সাজায় কেউ আপন বুকের চিতা

কবিতা এমন ছলনাময়ী একবার চিমটি কেটে সোহাগে

জীবনের সাদাপাতা এলোমেলো কালি মেখে পালায় পালায়

সাবানের স্মৃতিমাখা গন্ধময় শরীরের তাপ এসে

ফুঁ দিয়ে উড়ায়, কবিতা ওর হাসিতে

উচ্ছল করে ভালোবাসার হৃদয়।