সরকার মাসুদ
চিল নয় জীবনানন্দ উড়ে যাচ্ছে সাঁকো পার হয়ে
সাঁকোর তলপেটে শ্যাওলাফাটল!
আমি রেটিনার অন্ধকারে আয়না মেলে ধরি বাতাসের
ঝিলমিল ঢেউয়ে
জীবনানন্দ ভাসে শূন্য নীল বহুরূপী সুদূর আকাশে
ব্রিজের দৃশ্যের দিকে খোলা জানালাটি বন্ধ হলে
পড়ন্ত আলোর শোভা শুষে নেয় মাটি!
উঠের পিঠের মতো সাঁকো মনে রাখে মানুষের ভাঙাচোরা মুখ
ভেতরের চোখ গভীর ক্যানভাসে আঁকে খেলাঘর
সেখানেও থাকে সাঁকোর ফাটল!
কেউ কেউ সূর্যাস্তবেলায় তোলে সবুজ ফলের শিহরণ
ঊষাবেলা ওই ফল মাটিতে পড়বে পৃথিবীর টানে
আমি জানি মুমূর্ষু জোনাকির অভিমানে
আলোকিত হয় বিষাদের ইতিবৃত্ত, ওড়ে শিমুলতুলায়!
তার ছিটেফোঁটা পায় তেঁতুলতলার জালিজালি ছায়া
পায়রা নদীর মরচে-পড়া জল
চিল কি জেনেছে জোনাকির অপরূপ রূপ?
জীবন-মৃত্যুর ঝড়ে দোলা শাখার স্বরূপ
ওই চিল কি বুঝেছে জীবনের ঝর্ণাবনতল?
সন্ধ্যার ছায়া নয়, ফাটা সাঁকোর তলার ছেঁড়া সুর
ডানায় গুটিয়ে জীবনানন্দ উড়ে যায় কতদূর
শব্দের নৈঃশব্দ্যে বলো তো আমাকে!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.