তিনটি কবিতা

মোস্তাক আহমাদ দীন

 

নৈরাজ্য

 

শিঙের বিকার দেখে বালক বিস্মিত আর, আড়ালে, মাথা নত

হয়েছে আমার

বনবালিকারা দেখে-বুঝে নেয় চর্যা ছাড়াই আমি কোন ধর্মে বনপালয়িতা

কারো পোড়া ঠোঁটে আর কোনোদিন বাজবে না বাঁশি

হরিণের পাল ধায় – কেন ধায়? – সেই বাঘ-পথরেখা ধরে

শিঙের তাৎপর্যে আজ পাতা-ঢাকা, লতা-ঢাকা, বর্ম-ঢাকা

হয়েছে হৃদয়

 

বিলগাছ

 

একা-একা মাটিতে রয়েছে, নাকি সেই দৃশ্যমতে

দেহ তার টলমল, কাদায়-দাঁড়ানো

পাশ ঘেঁষে বয়ে যায় জল

মাথার ঝাঁকড়া চুল আকাশের প্রতি ওই ঝিরিঝিরি ওড়ে

 

দেখে-দেখে মন্দছন্দে বয়ে যায় হাওয়া

আরেক উজানি নাও পাশ ঘেঁষে যায়

 

দুই

‘যদি বাগানের দিকে চলো

কিংবা দূর জঙ্গলের দিকে

ও উজানি নাওয়ের মাঝি,

মোর সখা কানুরে বলিও

দেহ থেকে ঝরছে বাকল,

আমার কলঙ্কদোষে আজ

শাদা জল হয়ে গেছে লাল’

 

জলে ও নদীর তীরে লেগে আছে দাগ

 

উজান দেশের নাও ধীরে ধীরে যায়…

 

বিপথিনী

 

তুমি রাঁধো, আর,

চুল বাঁধবার গূঢ় ছলে, দীর্ঘ নখে

ছিন্ন করে দিয়েছ বাতাস

আর খন্ড-উড়ানের আয়ু দিয়ে

রান্না করে ফেলেছে জীবন