দুটি কবিতা

খালেদ হোসাইন
স্বপ্নে খানিক ঠাঁই দিও

আমাকে একটু ঠাঁই দাও না তোমার স্বপ্নে!
চুপটি করে বসে থাকবো রাত্রিভর।
স্বল্পে তুষ্ট মানুষ আমি, তেমনকিছু চাইবো না
দেখবো তোমার লীলালাস্য কী বিচিত্র রং-বেরং!

যা খুশি তা কোরো তুমি যেমন করো নিত্যদিন
স্নানঘরে বা রান্নাঘরে আমার দুচোখ কী নির্মল
পোশাক পাল্টে শাড়ি পরো কপালে টিপ এব্বড়ো
ঠোঁটে একটু লিপিস্টিক আর চোখে কাজল – এই তো, না?

ইচ্ছে হলে আমার সঙ্গে ঝগড়া কোরো কিছুক্ষণ
দেখবে কতো শান্তি লাগে – নেই প্রতিবাদ সামান্য
ভয় পেয়ো না, স্বপ্নই তো, জাগলেই তো থাকবো না!
যারা খুবই গোয়েন্দা কী খুঁজে পাবে মাল-সামান?

হৃদয় থেকে ঘরে বা নয় ভুবন থেকে ভবনে
আমার চাওয়া চুনোপুঁটি স্বপ্নে খানিক ঠাঁই দিও
একটু শুধু কাটবো সাঁতার নিবিড় জলে আনন্দে
কী ক্ষতি হয় বাস্তুহীনকে একটু দিলে আস্তানা?

নিজেকে নিয়ে মত্ত সবাই

নিজেকে নিয়ে মত্ত সবাই বিপ্লবী বা বিশ^প্রেমিক
ঘড়ার জলে স্নান করলে শরীর কিন্তু ভিজবে না ঠিক

জানা ছিল, স্নান করলো, পান করলো দিঘির জল –
এক ফোঁটাও রাখলো না সে, বাউ-ুলে মেঘের দল

তাই পালালো অনেক দূরে যেখানে নেই ক্ষুৎ-কাতর
এখন রোদে ঝিলিক মারে এপিটাফের শে^ত-পাথর।