নক্ষত্রের রাজারবাগ

মোশতাক আহমেদ
জন্ম ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৫, ফরিদপুর
প্রকাশক : নালন্দা

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল এক অধ্যায়। আমাদের জাতিসত্তার সবচেয়ে উজ্জ্বল ঠিকানা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের নানা প্রাপ্তি নিয়ে বিগত চার দশকে রচিত হয়েছে অনেক সাহিত্যকর্ম। এ-ধারাতেই বিশেষভাবে বিবেচ্য তরম্নণ কথাকার মোশতাক আহমেদের হৃদয় আলোড়ন করা উপন্যাস নক্ষত্রের রাজারবাগ।

নক্ষত্রের রাজারবাগ
নক্ষত্রের রাজারবাগ

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিসত্মানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ ও তার উত্তরকথা নিয়ে গড়ে উঠেছে নক্ষত্রের রাজারবাগ। পাকিসত্মানি হানাদার বাহিনীর মেশিনগান, মর্টার, কামান আর ট্যাঙ্কের সামনে এতটুকু পিছিয়ে যায়নি রাজারবাগের বীর পুলিশ বাহিনী। জীবন দিয়ে তাঁরা সেদিন মুক্ত করতে চেয়েছিল দেশমাতৃকাকে। ২৫ মার্চের কালরাতের বিভীষিকাময় ভয়াল সেই অভিজ্ঞতা আর বীরত্ব চমৎকার এক আখ্যানের মধ্য দিয়ে বক্ষ্যমাণ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন মোশতাক আহমেদ। এই উপন্যাস পাঠ করলে পাওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের ভয়াবহতার ছবি, জানা যাবে বাঙালির বীরত্বকথা। পাকবাহিনীর গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মন হয়ে উঠবে ভারাক্রামত্ম। তরম্নণ কথাকার মোশতাক আহমেদ দীর্ঘ চার দশক আগের সেই একাত্তর-দিনে পাঠককে নিয়ে যান বক্ষ্যমাণ উপন্যাসের মাধ্যমে। মোশতাক আখ্যান নির্মাণে যেমন সতর্ক, তেমনি সতর্ক গদ্য ঢঙে।
জীবনসচেতন এবং একই সঙ্গে সমাজ-ডিসকোর্স অনুধাবনে সতর্ক মোশতাক আহমেদকে ‘এইচএসবিসি-কালি ও কলম-২০১২’ পুরস্কারপ্রাপ্তিতে অবারিত অভিনন্দন।