শব্দগুচ্ছ

আহমেদ মুনির

১০
আমার শব্দের ভেতর থেকে
একটা শাদা বেড়াল
সবার অলক্ষ্যে লাফিয়ে উঠে
অন্য কারও শব্দের ভেতর
মিলিয়ে যেতে দেখলাম।

১১
শব্দগুলোকে কার্নিশে
উলটো করে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওরা।
এখন তাদের মুখ-নাক-চোখ বেয়ে
টপ-টপ করে ঝরে পড়ছে রক্ত।

১৩
উষ্ণ, অস্ফুট একটা শব্দ
তোমার বুকের ওপর
রেখেছি কাল রাতে।
যখন স্বপ্নে, বরফকুচিতে
ঢেকে যাচ্ছিল তোমার
সমস্ত শরীর।

১৪
কাল রাতে কারা যেন
আমাকে তুলে নিয়ে গেল
আমারই সামনে থেকে।
নিজেকে হারিয়ে আর খুঁজে পাব কি-না
এই ভয়ে শব্দহীন, ভুলে গেছি চিৎকার।

রাস্তার মোড়ে এসে
নিজেকে ডাকব কি-না ভাবি!
এই ভেবে হাঁটতে হাঁটতে দেখি
নিজেই কখন এসে দাঁড়িয়েছি
হারানো আমির পাশে।

১৫
আমি হয়তো কালও বেঁচে থাকব
হয়তো পরশু দিনও।
আগামী বছর
হয়তো তার পরের বছরও।
হয়তো শব্দটার দিকে এবার
ভালো করে তাকাও।
শোনো তার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি,
কেমন অস্পষ্ট শোনাচ্ছে না!
মুছে যাচ্ছে ব্ল্যাকবোর্ডে শাদা চকে
লেখা অক্ষরের মতো।
যদি কাল সকালে আমার ঘুম
আর না ভাঙে
তবে বুঝবে হয়তো শব্দটার
আসল অর্থ হলো সান্ত্বনা।