শুক্ল চতুর্দশী

ভরা জ্যোৎস্না ঢেলে মাথার ওপর ঝুলে আছে চতুর্দশীর চাঁদ। চারদিক সুনসান। শহর থেকে কয়েক কিমি দূরে পুবডিহির মাঠ। আশপাশে লম্বু, সেগুন, কদম আর আকাশমনির জঙ্গল। মাঝেমধ্যে ছড়ানো-ছিটানো বসত। এক সময় এখানে মিলিটারি ক্যাম্প ছিল। ফায়ারিং হতো। এক সময় এখানে মানুষের হাতে মানুষ খুন হতো। বেশ কবছর হলো, মাঠের দুধারে লোহার বারপোস্ট বসেছে। একধারে ক্রিকেট প্র্যাকটিসের জন্য সিমেন্টের পিচ তৈরি হয়েছে। উঁচু করে জাল টানানো হয়েছে। বিকেলে খেলা হয়। মানুষের আনাগোনায় বেশ সরগরম থাকে। সন্ধ্যা নামতেই যেন অন্ধকার বেয়ে রহস্য ঘনিয়ে আসে। তবে হ্যাঁ, বহুদিন হলো আশপাশের বাসিন্দারা মাঠের কোণে বা জঙ্গলে কোনো লাশ পড়ে থাকতে দেখেনি। আজ কিছু একটা ঘটতে চলেছে। জ্যোৎস্না ঢেউ তুলে ছলাৎ ছলাৎ করে বয়ে চলেছে। মাঝেমধ্যে মেঘের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কেঁপে কেঁপে উঠছে। মোরাম-বিছানো চওড়া রাস্তার দিকে মাঠের এক কোণে একটা পুলিশ জিপ দাঁড়িয়ে আছে। খানিক দূরে তরুণ এসপি সাহেব, তাঁর এক শাগরেদ স্থানীয় থানার এসআই আর এ-মহল্লার ডন রাজ সাহেব। বেশ লম্বা, চওড়া, পেটানো শরীরের অধিকারী রাজ সাহেবের গম্ভীর দরাজ কণ্ঠস্বর, ‘স্যার! এত রাতে, এই মাঠে আমাকে তুলে আনার দরকার কী ছিল? জরুরি বার্তা থাকলে ফোনে বলতে পারতেন, নইলে থানায় ডেকে পাঠাতেন, আমার বাংলো বাড়িতে আসতে পারতেন! মোটা অঙ্কের একটা হিসাব আছে, সে আমি জানি। আমরা পঞ্চায়েত মেম্বাররা গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি, খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে। আপনি এসপি সাহেব হয়ে এত রাতে এই মাঠে কেন?’

‘থানায় আমার কোনো কাজ নেই। এই মাঠেই হিসাব মিটিয়ে চলে যাব।’

‘আপনি তো নতুন এসপি! বয়স বেশি না। আমার বয়সীই হবেন স্যার!’

‘আমি তোর স্যার নই।’ মাথা থেকে টুপিটা নামিয়ে, ‘আমি তোর ক্লাসমেট বিবেক, বিবেক স্যান্নাল। মনে পড়ছে? চিনতে পারছিস?’

‘ভয়ানক কেঁপে ওঠেন রাজ। জ্যোৎস্না দুলে ওঠে। নিজেকে সামলে নেন, ‘বিবেক! আমাদের সেই বিবেক! চমকে দিয়েছিস মাইরি। এত বছর কোথায় ছিলি? চল্, আমার বাংলোয়। এখান থেকে বেশি দূরে না।’

টুপিটা ফের মাথায় চাপিয়ে নেন এসপি সাহেব, ‘উঁহু, এখানে। এখানেই তোকে …’ কানের কাছে মুখ বাড়ান এসআই, ‘স্যার, খুব খতরনাক। সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি মেরে দিন, দেরি হলে সমস্যা। পঞ্চায়েতের লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

‘মাথায় কিছু আছে আপনার? এই নিয়ে পুলিশে চাকরি করছেন?’ খাপের থেকে রিভলবার বের করে, ‘এই সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালাব?’

‘ও হ্যাঁ, এই যে, এই নিন আপনার স্বদেশি মেশিন।’

এসআইয়ের হাত থেকে রিভলবার বদল করে দ্রুত রাজের কপালে ঠেসে ধরেন এসপি, ‘এটা আমার নিজের হাতে তৈরি। বহু পরিশ্রম করে শুধু তোর জন্য। স্কুলের দিনগুলির প্রতিটি মারের হিসাব এর মধ্যে, প্রতিটি অপমান, ব্যথা, রক্ত এর মধ্যে, আমার বোনের হাত ধরে অন্ধকার গলির মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়ার হিসাব এর মধ্যে …’

‘সে তো ভালোবেসে! তোর বোন বরুণাকে আমি ভীষণ ভালোবাসতাম। ও কিছুতেই আমাকে … ওর কোনো ক্ষতি আমি …’

‘করতে পারিসনি, কিন্তু চেয়েছিলি।’

‘না। ওকে আমি …’

‘মাথায় নলের ধাতব আঘাত, ‘চোপ ইডিয়েট! আমার বাবার গালে চড় মেরেছিলি! আমি দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছিলাম আর কেঁদেছিলাম, ওরা আমার হাতদুটো শক্ত করে ধরে রেখেছিল …’

‘সে তো মাল খেয়ে! মদের নেশায় মাতাল হয়ে মনুষ্যত্ব হারিয়ে … পরে আমি দুই হাত জোড় করে সবার সামনে ক্ষমা চেয়েছিলাম, কাকাবাবুকে আমি আমার বাবার চেয়েও …’

‘শ্রদ্ধা! ভক্তি! তোর নাটক শেষ। গুলি করার আগে …’ কোমর থেকে একটা ধারাল ছুরি টেনে বের করে, ‘এই ছুরি দিয়ে তোর

হাত-পা-মুখ চিরে নুন দেব। তোর ব্যথা, জ্বালা-যন্ত্রণার মজা লুটে তারপর …’

‘বিবেক! স্যরি, স্যার আমাকে এভাবে খুন করে অন্যায় করবেন না, আমি আপনাকে …’

মুখের বাঁ-গালে ছুরির আগা ঠেকিয়ে খোঁচা মারেন, ‘মেলোড্রামা। সিনেম্যাটিক স্টোরির মতো মনে হলেও এটাই সত্য, এই রাতে তুই আমার হাতে খুন হবি।’

‘বিবেক! তোর মা, মানে কাকিমা, ভ্যানরিকশা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন রাস্তায়। কেউ এগিয়ে আসেনি, আমিই কাকিমাকে তুলে এনে পায়ে বরফ ঘষে দিয়েছিলাম, হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেক টাকার ওষুধ কিনে দিয়েছিলাম।’

‘তার হিসাব তুই ঠিক সময়ে বাবার কাছ থেকে পাই-টু-পাই বুঝে নিয়েছিলি। ক্লাবের সঙ্গে জমি নিয়ে গ-গোলের সময় … জমিটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি বাবা, তোর জন্যই …’

‘কিন্তু মারমুখী ক্লাবের ছেলেদের হাত থেকে আমিই তোকে …’

‘বাঁচিয়ে এনে আমার কাটা ঘায়ে নুন দিয়েছিলি। আমিও তোকে কেটে নুন দেবো।’

‘ছুরিটা সরা, লাগছে।’

‘লাগুক, আমার ভালো লাগছে।’

‘কেটে যাবে!’

‘কাটুক।’

‘উহ্! কেটে গেছে …’

‘কাটুক। আমি মজা পাচ্ছি।’

‘রক্ত বেরিয়ে গেছে।’

‘বেরুক।’

‘উহ্! বিবেক!’

একফালি মেঘ চাঁদ ছুঁয়ে ভেসে গেল। জ্যোৎস্না নড়ে উঠল। রাস্তার ওদিকে একটা কুকুর শঙ্খ-সুরে ডেকে উঠল, ঘে-উ-উ-উ …।

‘এসআই এসপির কানের কাছে, ‘স্যার, বড্ড দেরি করে ফেলছেন। গুলি চালান।’

এসআইকে আলতো ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন বিবেক! পকেট থেকে রুমাল বের করে রাজের দিকে এগিয়ে দেন, ‘এই নে, রক্ত মুছে ফ্যাল।’

‘রুমালে নুন আছে!’

‘মোছ বলছি।’ ধমকে ওঠেন এসপি।

‘ওহ! জ্বালা করছে, আমাকে ছেড়ে দে বিবেক …’

‘তুই একটা কুলাঙ্গার, অনেক অত্যাচার করেছিস, আজ হাতের মুঠোয় পেয়ে, প্রতিশোধ না নিয়ে তোকে ছেড়ে দেব?’

‘আর তুই? বিবেকানন্দ টিউটোরিয়ালের যে মেয়েটা তোকে খুব ভালোবাসত, প্রতি রাতে চিঠি লিখে সকাল হলে ছিঁড়ে ফেলত! একদিন পড়তে এসে সাহস করে একটা চিঠি তোর হাতে গুঁজে দিয়েছিল। তুই সবার সামনে মেয়েটাকে যা-তা বলে চরম অপমান করেছিলি। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে টিউটোরিয়াল ছেড়ে চলে গিয়েছিল, আর কোনোদিন আসেনি। মেয়েটার বান্ধবীরা তোকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওর বন্ধুরা তোকে মারার ছক কষে ছিল। কে তোকে বাঁচিয়েছিল? এই আমি, আমিই তোকে বাঁচিয়েছিলাম। একদিন ভুল বুঝতে পেরে তুই আমার হাত ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছিলি, আর তোর কান্না দেখে আমি এই মেয়েটার কাছে ছুটে গিয়ে বলেছিলাম, তুই ওকে ভালোবাসিস। তুই কোনোদিনও ওকে ভালোবাসিসনি, সব ছিল তোর অভিনয়। তুই একটা পাষ- …’

‘কঙ্কা! কঙ্কনা চৌধুরী?’

‘হ্যাঁ, কঙ্কা। কঙ্কাকে তুই ঠকিয়েছিস। তোর জন্য মেয়েটা …’

‘মিথ্যে কথা। আমি কখনোই ওকে …’

‘পালিয়ে গিয়েছিলি। তুই একটা ভাঁড়, ভীরু কাপুরুষ …’

‘আমি ভীরু! কাপুরুষ! এক্ষুনি তোকে খুন করব।’

‘পারবি না। তোর হাত কাঁপছে, কঙ্কার মুখ মনে পড়ছে। কঙ্কা এখনো …’ কিছুটা আলগা হয়ে আসে বিবেবের ছুরি। শেষ দ্যাখা হয়েছিল বনগাঁ রেলস্টেশনের ১নং প্ল্যাটফর্মে, ওভারব্রিজের নিচে। কঙ্কা জানতে পেরেছিল বিবেকরা বনগাঁ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিবেকের হাত চেপে ধরে জানতে চেয়েছিল, কোথায় যাচ্ছে তারা? কোন ঠিকানায়? মিথ্যা বলেছিল বিবেক। বলেছিল, জানি না। কঙ্কা রুমালে চোখ মুছে বলেছিল, অপেক্ষা করবে।

‘কঙ্কা কোথায়?’

‘বলব না।’

‘বলবি না?’ ছুরিটা কোমরে গুঁজে রেখে রিভলবারের নল কপালে  ফের ঠেসে ধরেন এসপি বিবেক স্যান্নাল, ‘তাহলে মর!’

একটা রাতচরা পাখি মাথার ওপর ডানা ঝাপটে উড়ে যায়। কেঁপে ওঠেন দুজনই। জ্যোৎস্না আরো ভাস্বর হয়ে দুলে ওঠে ছলাৎ ছলাৎ।

‘পারবি না বিবেক, চল, বাকি রাত আমার বাংলোয় গল্প করে কাটিয়ে দিই দুজন।’

‘তোর মতো একটা লম্পট, স্মাগলারের সঙ্গে একজন দায়িত্বশীল এসপি গল্প করে রাত কাটাবে?’

‘দায়িত্বশীল এসপি!’ হো-হো করে হেসে ওঠেন রাজ।

‘মাথায় রিভলবারের নল দিয়ে আঘাত করেন বিবেক, ‘চুপ, স্টুপিট।’

এসআই, ‘স্যার, গুলি চালান, নইলে ওটা আমার হাতে দিন। নইলে পঞ্চায়েত মেম্বার রাজ সাহেবকে ছেড়ে দিন।’

‘কী বললেন! ছেড়ে দেবো?’

‘মানে, বলছিলাম …’

দাঁত দাঁত চেপে ট্রিগারে শক্ত করে আঙুল বাঁকান বিবেক। রাজের মেরুদ- দৃঢ়, টানটান, ‘মরতে আমি ভয় পাই না বিবেক। চালা গুলি, চালা … তোর হাতে মৃত্যু অতি সৌভাগ্যের।’

‘আবার নাটক?’

‘আবার নয়, নাটক চলছেই। সর্বত্র। এখানে আমরা, ওখানে ওরা, সেখানে তারা, সবাই অভিনেতা-অভিনেত্রী, সবাই নাটক করছে।’

‘কিন্তু এই রাতের স্ক্রিপ্টে তোর মৃত্যু লেখা আছে।’

‘থাকলে হবে, হোক। মনে আছে তোর ক্লাস এইটের শেষে …?’

‘ফাইনাল পরীক্ষার সময় আমার সিটের পাশে টুকলি রেখে আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিলি।’

‘সে তো প্রতিবছর তোর ফার্স্ট হওয়া ঠেকাতে …’

‘হেনস্তা করেছিলি, কাঁদিয়েছিলি, ফার্স্ট হওয়া ঠেকাতে পারিসনি। তোর মৃত্যুও তুই ঠেকাতে পারবি না।’

‘পারব।’

‘পারবি না।’

‘তবে চালা গুলি! তোর হাত কাঁপছে। মাথা ঘুরছে। পা টলছে …’

‘কিচ্ছু হচ্ছে না …’

‘হচ্ছে, বুঝতে পারছিস না।’

‘আমার মেরুদ- সোজা, টানটান।’

‘ধনুকের মতো বেঁকে গেছে।’

‘স্যার, মেরে দিন।’ এসআই।

‘হ্যাঁ, মেরে দিই।’ এসপির আঙুল প্রস্তুত, দৃঢ়, কপালে রিভলবারের নলের চাপ অধিক। রাজ নড়ে ওঠেন, ‘বিবেক!’

‘চোখ রাঙাস না।’

‘ভুল করিস না। আমাকে এখনো তুই ভয় পাস।’

‘না, পাই না।’

‘পাস, পাচ্ছিস।’

‘কী বললি! ভয়!’ রাজের কপাল থেকে রিভলবারের নল সরিয়ে এসপি সাহেব ঠেসে ধরেন এসআইয়ের বুকে, ‘যান, গাড়ি থেকে আমার কিটস ব্যাগটা নিয়ে আসুন।’

এসআই দৌড়ে গিয়ে কিটস ব্যাগ নিয়ে আসেন।

‘ফুটবলটা বের করুন।’

‘বল?’

‘হ্যাঁ, বল। বের করুন।’

এসআই ব্যাগের চেইন খুলে একটা সাদা কালো ফুটবল বের করেন। এসআইয়ের হাত থেকে বলটা কেড়ে নিয়ে রাজের দিকে গড়িয়ে দেন বিবেক, ‘নে, কিক কর। দ্যাখ তোর পান্স আজ আমি কী করে গ্রিপ করি। কী করে প্রতিরোধ করি।’

রাজ সাহেবের পায়ের কাছে গড়িয়ে এসে থেমে যায় ফুটবল। একটুকরো মেঘ এসে ঢেকে দেয় তুমুল জ্যোৎস্না। মাঠের চারদিকে উত্তাল দর্শকের চিৎকার। গোলপোস্ট আগলে বিবেক। বক্সের বাইরে রাজ। পায়ে বল। দুজনকে কাটিয়ে এগিয়ে আসছে। ডিফেন্স ফাঁকা। বিবেকও এগিয়ে এসেছে। পজিশন নিচ্ছে। রাজ সাহেবের লাল চোখ, চোয়াল কঠিন, ‘ছেড়ে দে বিবেক, নইলে পড়ে …’

বিবেক নড়ে গেল। বক্সের বাইরে থেকেই শট। উলটোদিকে ঝাঁপ। বল গড়িয়ে জালে। গোল …, উহ্! কী গালাগালি! অকথ্য ভাষা! কেউ একজন ছেঁড়া জুতো ছুড়ে মেরেছিল বিবেকের গায়ে। চরম অপমান!

মেঘের আড়াল ভেঙে গড়িয়ে পড়ল টলটলে জ্যোৎস্না। অন্ধকার উধাও। এসএলআর তাক করে রাজ সাহেবের দুপাশে দুজন কালো পোশাক। বেশ কিছুটা দূরে একটা ধূর্ত শেয়াল গলা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। মেঘ সরতেই সুরুত করে ঢুকে গেল জঙ্গলে। ভেতর থেকে শব্দ ভেসে এলো, হুক্কা হুঁয়া … হুয়া … অনেকগুলো হুক্কা হুয়া …

এসপি, ‘কী হলো! মার শট, মার! দ্যাখ কীভাবে …’

রাজের মাথা নিচু। চোখে জল। হাতদুটো ঝুলে আছে অসাড় কাঁধের দুধারে।

এসআই, ‘আর সময় নেই স্যার। কাজ সারুন।’

বাঁ-পাশের কালো পোশাক, ‘কমান্ড স্যার! কমান্ড …’

মাথা থেকে টুপি খুলে এসআইয়ের হাতে দিয়ে রাজের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন এসপি। রাজ মাথা তোলেন, ভাঙা কণ্ঠস্বর, ‘ওদের গুলি চালাতে বল বিবেক, অনেক অত্যাচার, অনেক পাপ করেছি জীবনে …’

রিভলবার মাটিতে ফেলে দিয়ে রাজ সাহেবকে জড়িয়ে ধরেন এসপি বিবেক স্যান্নাল, ‘তোর অত্যাচারের কারণেই আজ আমি ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের এসপি। তোকে আমি খুন করতে পারি? আজ শুক্ল চতুর্দশী। ভরা জ্যোৎস্নায় কেউ খুন হয় না। ভুল শোধন হয়। পাপ খণ্ডন হয়।’