সতত এ-নদ

সায়ীদ আবুবকর

শরীর শীতল করে, ভিতর শীতল করে এই ঘোলাপানি,
এ-পানিতে সণান করে ভোরের দোয়েল আর আমার হৃদয়;
পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ এখনো আগের মতো করে কানাকানি
তখন এ-নদ দেখে কত মধু মধুদেশে মহাকবি হয়!
অন্য কোনোখানে গিয়ে বাঁচবো কি একদিনও এ-জমিন থুয়ে?
বিদেশবিভুঁই গিয়ে কী করে মানুষ বাঁচে, আমি ভেবে মরি;
আমার কেশবপুর জননীর মতো থাকে অস্থিমজ্জা ছুঁয়ে,
আমার এ-কপোতাক্ষ আমাকে প্রশান্তি দেওয়া মর্তের অপ্সরী।

আমার হৃদয় রোজ খরশুলা মাছ হয়ে বুজকুড়ি তোলে
ঘোলা এ-পানিতে আর ঘুমায় নিশ্চিন্তে এর সবুজ দুপাড়ে,
যেভাবে ঘুমায় শিশু দুগ্ধ পান করতে করতে জননীর কোলে;
কোন রূপ করতে পারে ধরাশায়ী, দেশ যার অস্থিমজ্জাহাড়ে?
আমাকে টানে না পরদেশ, পরনারী কিংবা যক্ষের সম্পদ
যেমন শীতল সুখে চুম্বকের মতো টানে সতত এ-নদ।