সেই যে পথের শুরু

রবিউল হুসাইন

সেই যে পথের শুরু তারপর আর বিরতি নেই অন্যজাত নদীরা দূরের সমুদ্রে
যায় না মাঝে মাঝে জলাশয়গুলো গভীরতার ভেতর ডুব দিয়ে জলের যোনি খুঁজে
মরে আর আকাশ বুক চিতিয়ে নক্ষত্র-শহর দেখে সূর্যের রেলগাড়িতে চড়ে বাড়ি
ফেরার কথা ভাবে ওই তো নগরের বিশাল গ্রামগঞ্জে সাইকেল আর সন্দেশের ভিড়
ট্রাফিক-দ্বীপ সরে যায় রাজপথে এবার চোখ বুজে সোজা তারপর ডাইনে মোড়
নৈর্ঋতে জলহীন এক রাজা সন্ধ্যার সরোবরে বাড়ি-ঘর নেই ডান চোখে লাল এবং
বাঁয়ে সবুজ নিয়ে ওই সাদা-রং পুলিশ দাঁড়িয়ে খেলনা-গাড়ি-ঘোড়া বটতলায়
গো-পালে রাখাল বাঁশি বাজালেই দুর্ঘটনা দুর্ঘটনায় পড়ে পথসব পথের ধারে
পথিকের কোথায় ঘর-বাড়ি বাতাস ছিঁড়ে গেছে চোখের ভেতর পুকুর উল্টোরথে
মেঘের ছাদ ফুটো হয়ে গেলে আঁধার বৃষ্টির দড়ি বেয়ে নিচে নামে উড্ডীন
পাখিরা সিঁড়ি ছাড়াও ওপরে উঠতে পারে, সেই ঘাসহীন সবুজ জমি শিশির
জমিয়ে কংক্রিট পাথরের কোনো চোখ নেই চারদিকে শুধু মনমণ্ডলীর নীল
শূন্যতা দৃশ্যহীন চলে যাওয়া নিরুদ্দেশের সাঁকো পেরিয়ে নারকেল পাড়ার
ওপারে সাপ কীটপতঙ্গ জীবজন্তু নিয়ে এক ট্যুরিস্ট গাইড এটা হলো দুঃখ
ওটা হতাশা নিরাশার ওপারেই ভাঙাবুক তার পাশেই বিষণ্নতা নিঃসঙ্গতা আর
আনন্দের প্রতœতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ ছাইদানি পরিপূর্ণ জ্যোৎস্নার প্রতীকায়িত
স্নানঘর অমানিশার কার্যকারণ পূর্ণিমার যাবতীয় কর্মকাণ্ড সিংহদ্বারের
অংশত নির্মাণ-কৌশল মৌমাছির বিস্তীর্ণ রহস্য হীরক ও প্লাটিনামের
শ্রেষ্ঠতম কয়লাখনি পাতালের অগণন পর্বতরাজি গভীরতম আঁধারের প্রজাপতি
আকাশগঙ্গায় আগুন নিয়ে অন্ধকার আলোর সঙ্গে খেলা করে এবং তারপর
সেই যে পথের শুরু পথের দায় পৌঁছে দেওয়া পথ পাড়ি দেয় পথে পথে
কারা যেন সঙ্গে ভিড়তে চায় তারা আর কিছুই চায় না শুধু পথ চলাতেই –