YOUNG WRITERS AWARD


কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৮

সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম বাংলাদেশের নবীন কবি ও লেখকদের সাহিত্যচর্চা এবং সাধনাকে গতিশীল করবার উদ্দেশ্যে ২০০৮ সাল থেকে পাঁচটি বিভাগে ‘তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’ প্রদান করে আসছে। এ পর্যন্ত ৩৯ জন কবি ও লেখক এ পুরস্কার অর্জন করেছেন।

‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৮’ পেয়েছেন চারজন নবীন সাহিত্যিক। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ এ প্রতিযোগিতায় গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কথাসাহিত্য বিভাগে এবার দুজন পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাঁরা হলেন ‘যূথচারী আঁধারের গল্প’ গ্রন্থের জন্য নাহিদা নাহিদ ও ‘তিস্তা’ গ্রন্থের জন্য হারুন পাশা। প্রবন্ধ গবেষণা ও নাটক বিভাগে ‘হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র : চিরায়ত রসবোধ’ গ্রন্থের জন্য শাহাদৎ রুমন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা ও প্রবন্ধ বিভাগে ‘একাত্তরের রমজান : গণহত্যা ও নির্যাতন’ গ্রন্থের জন্য আরাফাত তানিম পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিশু-কিশোর সাহিত্য ও কবিতা বিভাগে ২০১৮ সালে কোনো পুরস্কার দেয়া হচ্ছে না।

২৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, বিকেল ৫.৩০টায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকম-লীর সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও গবেষক অধ্যাপক কায়সার হক এবং বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কবি আনিসুল হক।

আনিসুল হক বলেন, ‘তরুণ লেখক ও প্রবীণ লেখক দুইজনেরই বেদনা অভিন্ন। প্রবীণ লেখক নতুন সৃষ্টি করতে গিয়ে যে যন্ত্রণা অনুভব করেন, নবীন লেখকও একই যন্ত্রণা অনুভব করেন। কালি ও কলমের পুরস্কারকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শিল্প মানেই ব্যর্থ হওয়া, শিল্পী মানেই ব্যর্থতার বশংবদ’। বিজয়ী সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে অধ্যাপক কায়সার হক বলেন, ‘পুরস্কারপ্রাপ্তরা কেউই তরুণ নয়, পরিপক্ব। তিনি বলেন আধুনিক কালে কবি সাহিত্যিক ও পাঠকের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে যা প্রশংসনীয়’। পুরস্কার গ্রহণের পর বিজয়ীরা তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তাঁরা বলেন এ পুরস্কার তাঁদের কাজের স্বীকৃতি।

এছাড়া পুরস্কৃতদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কালি ও কলম সম্পাদকম-লীর সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী ও অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প-িত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের সরোদবাদনের সঙ্গে হাসান আরিফের কবিতা আবৃত্তির যুগলবন্দি পরিবেশিত হয়।

 

‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৭’-এর জন্য বই আহ্বান
মাসিক সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম অন্যান্য বছরের মতো এবারো ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৭’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারো পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হবে। বিভাগগুলো হলো : ১। কবিতা, ২। কথাসাহিত্য, ৩। প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটক, ৪। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্য ও গবেষণা এবং ৫। শিশু-কিশোর সাহিত্য। প্রতিটি বিভাগে পুরস্কারস্বরূপ এক লক্ষ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও একটি সম্মাননা প্রদান করা হবে।
২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী (গ্রন্থ প্রকাশকালে অনূর্ধ্ব ৪০ বছর) এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ২১ জুলাই ২০১৭ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৭-এর মধ্যে কালি ও কলম দফতরে (বেঙ্গল সেন্টার, প্লট ২, সিভিল এভিয়েশন, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, পোস্ট-খিলক্ষেত, ঢাকা ১২২৯) ছয় কপি বই জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে যে, বইটি বাংলাদেশি লেখকের মৌলিক সাহিত্যকর্ম, লেখকের বয়স নির্ধারিত বয়ঃক্রমের মধ্যে এবং বইটি এই পুরস্কারের জন্যে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বয়স প্রমাণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা সমমানের সনদের অনুলিপি প্রেরণ করতে হবে।
পুরস্কার প্রদানের পর কোনো কারণে যদি অবগত হওয়া যায় যে, পুরস্কারপ্রাপ্ত কোনো বই অন্য কোনো বইয়ের হুবহু অথবা আংশিক প্রতিরূপ, সেক্ষেত্রে পুরস্কার প্রত্যাহারের অধিকার বিচারকমণ্ডলীর সংরক্ষিত থাকবে। পুরস্কারের যে-কোনো পর্যায়ে বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির রচিত গ্রন্থ পুরস্কারের জন্যে বিবেচিত হবে না।
চূড়ান্ত বাছাইশেষে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারের বিষয়ে বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

c
পাঁচ তরুণ কবি ও লেখককে
কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক ২০১৬ প্রদান

২৯ জানুয়ারি ২০১৭-এ  পাঁচজন তরুণ কবি ও লেখককে প্রদান করা হয়েছে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৬। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাহিত্যের পাঁচটি বিভাগে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এবার বিজয়ী হয়েছেন কবিতা বিভাগে ঢেউয়ের ভেতর দাবানল গ্রন্থের জন্য নওশাদ জামিল, কথাসাহিত্য বিভাগে ফুলবানু ও অন্যান্য গল্প গ্রন্থের জন্য রাফিক হারিরি, প্রবন্ধ ও গবেষণা বিভাগে কুঠুরির স্বরগ্রন্থের জন্য তুষার কবির, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্য বিভাগে ভাটকবিতায় মুক্তিযুদ্ধ গ্রন্থের জন্য হাসান ইকবাল এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য বিভাগে অদ্ভুতুড়ে বইঘর গ্রন্থের জন্য শরীফুল হাসান

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য চিন্ময় গুহ এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। শংসাবচন পাঠ করেন ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৬-এর বিচারকমণ্ডলীরপক্ষে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং অধ্যাপক মাহবুব সাদিক। এই বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আরও যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও কলা অনুষদের ডিন বেগম আকতার কামাল এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খালেদ হোসাইন।
সূচনা বক্তব্যে কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, আগেরবারের তুলনায় ২০১৬ সালে আমরা তরুণ লেখকদের কাছ থেকে অধিক সাড়া পেয়েছি। চার সদস্যের বিচারকমণ্ডলী চূড়ান্তভাবে পুরস্কারের বই নির্ধারণ করেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ১ ফাল্গুন কালি ও কলম ১৪ বছরে পদার্পণ করবে। এ উপলক্ষে কালি ও কলম বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করছে।
বিশেষ অতিথি ইমদাদুল হক মিলন প্রথমেই পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, অনেক সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তিত হয়েছে। কিন্তু কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার এ কখনো কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয় না। এসময় তিনি এ প্রতিযোগিতার পূর্বে বিচারক হিসেবে ভুমিকা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, কালি ও কলম প্রমান করেছে বাংলাদেশের মানুষ সাহিত্য পড়তে চায়। শুধু বাংলাদেশে নয়, কালি ও কলম এখন বাংলা ভাষাভাষীর মানুষের মাঝে বিশাল স্থান দখল করে আছে। তাঁদের এ অর্জন হিমালয়সম হোক।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে চিন্ময় গুহ বলেন, কালি ও কলম, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সংগীত উৎসব, সাহিত্য সংস্কৃতির পরিচর্যায় এসব উদ্যোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে আজকের অনুষ্ঠান। এটি একটি অদ্ভুত সুন্দর উদ্যোগ, আপনাদের অভিনন্দন। তিনি বলেন, ই- পৃথিবী ও বোকাবাক্সের সর্বগ্রাসী থাবায় পৃথিবী যখন বিপর্যস্ত, বিপন্ন, বই শকুনির থাবার নিচে তখন কালি ও কলমের এ উদ্যোগ  প্রশংসনীয়। পৃথিবীর শিল্প সাহিত্যের  ইতিহাস তরুণরাই সৃষ্টি করে। তারা বারবার সাহিত্যের অঙ্গনকে তছনছ করে দিয়েছে। তাঁদের সব সময় প্রশ্ন ছিল, কেন আমার তোমাকে মানতে হবে।? তরুণরাই বারবার নিয়ম ভেঙেছেন, তরুণরাই হাতে তুলে নিয়েছে মশাল। এটা প্রতিরোধ। আজকের আয়োজনে আপনারা এসেছেন এটাও প্রতিরোধ। কালি ও কলম ও প্রতিরোধ| তিনি আরও বলেন, জীবনের সঙ্গে যোগ না থাকলে কোনো তারুণ্য গন্তব্যে পৌছাতে পারেনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন পুরষ্কার প্রাপ্ত তরুণরা তাঁদের এই সাহিত্যচর্চা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাবেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাশেদ খান মেনন বলেন, তরুণরাই পারে এবং পেরেছে সবসময় । পঞ্চাশের দশকের তরুণরা প্রায় সকলেই প্রতিষ্ঠিত। তবে সাহিত্য ক্ষেত্রে  উনসত্তর ও একাত্তরের তরুণরা তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেননি বলে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। অবশ্য আশির দশকে তরুণদের সাহিত্য চর্চা রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাশেদ খান মেনন আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরষ্কার তরুণদের সাহিত্যচর্চাকে উৎসাহিত করবে ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি শামসুজ্জামান খান পুরস্কার প্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সচেতন হও যত্নের সঙ্গে পড়। শুধু বিদেশী সাহিত্যের পেছনে ছুটো না। তিনি বলেন,সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে আত্মিক সম্পর্কের সঙ্গে নিষ্ঠার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তরুণরাই সাহিত্যের স্বকীয়ধারা  তৈরি করবে। আরও বক্তব্য রাখেন কালি ও কলমের প্রকাশক ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান  আবুল খায়ের।
সবশেষে শুভাশিস সিনহা-রচিত কাব্যনাট্য ‘দ্বিখণ্ডিতা’র পাঠাভিনয় করেন ফেরদৌসী মজুমদার ও ত্রপা মজুমদার।

 

 

কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৫
চার বিভাগে উদীয়মান চার তরুণ-তরুণী পুরস্কৃত
YOUNG WRITERS AWARD (4)

অষ্টমবারের মতো প্রদান করা হয়েছে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৫’। এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় ২০০৮ সালে। এবার সাহিত্যের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে চারটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। কবিতায় ধানের ধাত্রী গ্রন্থের জন্য শামীম হোসেন, কথাসাহিত্যে ধাতব সময় গ্রন্থের জন্য ইমরান খান, প্রবন্ধ-গবেষণা-নাটকে বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক গ্রন্থের জন্য রঞ্জনা বিশ্বাস এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা/প্রবন্ধ বিভাগে যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য গ্রন্থের জন্য সালেক খোকনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে ২৯ জানুয়ারি, শুক্রবার, বিকাল সাড়ে ৫টায়, রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এ অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও সংগীতবোদ্ধা শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উপস্থিত ছিলেন কালি ও কলমের প্রকাশক এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী। বিজয়ী প্রত্যেককে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক ২০১৫’ পদক, পুরস্কারের অর্থমূল্যের চেক (প্রতিটি ১ লক্ষ টাকা) ও শংসা বচন প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিজয়ীদের উদ্দেশে শংসা বচন পাঠ করেন প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীর দুই সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং কবি ও অধ্যাপক মাহবুব সাদিক। পাঁচ সদস্যের বিচারকম-লীর অন্য তিনজন হলেন-  লেখক সুব্রত বড়ুয়া, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। আয়োজনের প্রথমে ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কারের পথ পরিক্রমার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই লুভা নাহিদ চৌধুরী তার স্বাগত বক্তব্যে জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কালি ও কলমের পথচলা অব্যাহত আছে। এখন আর শুধু দেশে নয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে কালি ও কলম পশ্চিমবঙ্গ থেকেও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কালি ও কলমের সাতটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আবুল খায়ের বলেন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে কালি ও কলমের প্রকাশনা অন্যতম এবং মুখ্য। তিনি নবীনদের প্রেরণাদায়ী এ পুরস্কার প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কলকাতা থেকে কালি ও কলমের প্রকাশনা শুরু করতে গিয়েই আমি বুঝতে পারি যে আমরা ঠিক পথে রয়েছি।
শঙ্করলাল ভট্টাচার্য তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান বিশ্বে এখন সবচেয়ে প্রচলিত একটি শব্দ infrastructure, কালি ও কলম বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে সে পরিকাঠামো তৈরি করছে। নবীনদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে কালি ও কলম সে ধারাকে আরো বেগবান করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা এক হয়ে যায়। সেখানে কোনো দেশের সীমারেখা থাকে না। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সাহিত্যধারারও তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেলিনা হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১২ বছরের পথচলায় কালি ও কলম একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সাহিত্যে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যে ধারাবাহিক ঘটনাক্রম ধরা আছে তার উদ্যোক্তা অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শামসুর রাহমানসহ বরেণ্য সাহিত্যিকরা। পুরস্কারপ্রাপ্ত নবীনরা সেই ধারাকেই ধারণ করছেন।
আনিসুজ্জামান বলেন, এইচএসবিসির সঙ্গে এ পুরস্কার প্রদান শুরু করলেও কালি ও কলম গত দুই বছর ধরে একাই এ পুরস্কার প্রদান করছে। তিনি আরও বলেন, এদেশের সাহিত্যে নতুনদের অনুপ্রেরণায় কালি ও কলমের এ পুরস্কার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সবশেষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বিরতিহীন প্রকাশনায় কালি ও কলম সর্বদাই নতুনদের মানসম্পন্ন রচনা প্রকাশে তৎপর ছিল এবং এখনও আছে।
সবশেষে সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শামা রহমান। আবৃত্তি করে শোনান হাসান আরিফ।

 

কবিতা
ধানের ধাত্রী
শামীম হোসেন
জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৮৩
প্রকাশক : নদীপ্রকাশ

Dhaner Dharty

গল্প ও উপন্যাস
ধাতব সময়
ইমরান খান
জন্ম ১৫ জানুয়ারি ১৯৮৩
প্রকাশক : ধ্রুবপদ

Dhatob Somoy

প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটক
বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক
রঞ্জনা বিশ্বাস
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৮১
প্রকাশক : সংবেদ

Bangladesher Palki o Palkjibahok

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা/প্রবন্ধ গ্রন্থ
যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য
সালেক খোকন
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৭৭
প্রকাশক : ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ

Juddho Diner Galpha o Pramannochitro

 

 

কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৪

Kali O Kalam Torun Lekhok Purushkar 30-05-2015_0061 বাংলাদেশের নবীন কবি-লেখকদের সাহিত্যচর্চা ও সাধনাকে গতিময় এবং তরুণদের সৃজনধারাকে সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে এইচএসবিসি এবং কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছিল। এই পুরস্কার তরুণ কবি ও লেখকদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এসেছে। সপ্তমবারের মতো এবার সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম এককভাবে কবিতা, কথাসাহিত্য এবং প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটক – এই তিনটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করছে। আমরা লক্ষ করছি, তরুণ কবি ও লেখকদের চর্চা ও মানসযাত্রার ক্রম-উত্তরণ কতভাবেই না বাংলাদেশের সাহিত্যের অগ্রগতি সমৃদ্ধ করে চলেছে।
বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে তরুণদের সাহিত্য-সাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবীন লেখকরাই চর্চা, সাধনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রথা-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যে-কোনো দেশের সাহিত্যের ভিত নির্মাণ করেন। তরুণ প্রজন্ম তাঁদের সাধনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের গতিধারায় নবীন মাত্রা সৃষ্টি করেন এবং নব-উদ্ভাবনী শক্তিতে দেশের সাহিত্যে নবীন বেগ সঞ্চার করেন। এবার দুটি বিভাগে দুজন নারী লেখক পুরস্কার অর্জন করেছেন। সৃজনশীলতায় দুটি ক্ষেত্রে নারীর পুরস্কার অর্জন নারীর অগ্রযাত্রায় প্রভাব ফেলবে – এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
এই তিনটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় এ-বছরেও আমরা অনুকূল সাড়া পেয়েছি এবং আশান্বিত হয়েছি। আশা করি, এদেশের কবিতার ধারা, সাহিত্যসাধনা, চর্চা ও সাহিত্যের সৃজনী তৎপরতায় এ-পুরস্কার নবীন লেখকদের উদ্দীপিত করবে।
২০১৪ সালের কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার অর্জন করেছেন – কবিতায় বৃষ্টির মাতলামি গ্রন্থের জন্য সাকিরা পারভীন, কথাসাহিত্যে আমি অনিন্দিতা গ্রন্থের জন্য ফাতিমা রুমি এবং প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটকে পাবনায় ভাষা আন্দোলন গ্রন্থের জন্য এম আবদুল আলীম। আমরা এই লেখকদের অভিনন্দন জানাই।
তরুণদের সাহিত্যচর্চার পথ সুগম হোক। তাঁদের নিত্যনব উদ্ভাবনী কৌশল, সমাজ এবং শিল্প-সাহিত্যের প্রতি অঙ্গীকার, সৃজন-উদ্যোগ অনুভবশীলতা ও মননচর্চাকে সমৃদ্ধ করুক, এই আমাদের প্রার্থনা।

 

বৃষ্টির মাতলামি
প্রকাশনী : ভাষাচিত্র
সাকিরা পারভীন
জন্ম ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৮

Bristir Matlami

 

 

 

 

পাবনায় ভাষা আন্দোলন
প্রকাশনী : রোদেলা
এম আবদুল আলীম
জন্ম ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬

Pabnar Vasha Andolon

 

 

 

 

আমি অনিন্দিতা
প্রকাশনী : অঙ্কুর
ফাতিমা রুমি
জন্ম ১৮ মার্চ ১৯৮৪

Ami Anindita

এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৩

বাংলাদেশের নবীন কবি-লেখকদের সাহিত্যচর্চা ও সাধনাকে গতিময় এবং তরুণদের সৃজনধারাকে সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে এইচএসবিসি এবং কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। এই পুরস্কার নবীন লেখকদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ষষ্ঠবারের মতো এবারও কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ ও শিশু-কিশোর সাহিত্য – এই পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। আমরা লক্ষ করেছি, তরুণ কবি ও লেখকদের চর্চা ও মানসযাত্রার ক্রম-উত্তরণ কতভাবেই না বাংলাদেশের সাহিত্যের এগিয়ে চলাকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে তরুণদের সাহিত্য-সাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবীন লেখকরাই চর্চা, সাধনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রথা-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যে-কোনো দেশের সাহিত্যের ভিত নির্মাণ করেন। তরুণ প্রজন্ম তাঁদের সাধনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের গতিধারায় নবীন মাত্রা সৃষ্টি করেন এবং নব-উদ্ভাবনী শক্তিতে দেশের সাহিত্যে নবীন বেগ সঞ্চার করেন।
পাঁচটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় এ-বছর আমরা অনুকূল সাড়া পেয়েছি এবং আশান্বিত হয়েছি। আশা করি, এদেশের কবিতার ধারা, সাহিত্যসাধনা, চর্চা, মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণা ও শিশু-কিশোর সাহিত্যের সৃজনী তৎপরতায় এ পুরস্কার নবীন লেখকদের উদ্দীপিত করবে।
২০১৩ সালের এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার অর্জন করেছেন – কবিতায় একাকী জমিন গ্রন্থের জন্য মাসুদ পথিক, কথাসাহিত্যে বিতংস গ্রন্থের জন্য ওয়াহিদা নূর আফজা, প্রবন্ধে সমকাল পত্রিকার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা গ্রন্থের জন্য ড. রবিউল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর : দলিল ও ইতিহাস গ্রন্থের জন্য রাজিব আহমেদ এবং শিশু-কিশোর সাহিত্যে বিলু কালু আর গিলুর রোমাঞ্চকর অভিযান গ্রন্থের জন্য মাশুদুল হক। আমরা এই লেখকদের অভিনন্দন জানাই।
তরুণদের সাহিত্যচর্চার পথ সুগম হোক। তাঁদের নিত্যনব উদ্ভাবনী কৌশল, সমাজ এবং শিল্প-সাহিত্যের প্রতি অঙ্গীকার, সৃজন-উদ্যোগ অনুভবশীলতা ও মননচর্চাকে সমৃদ্ধ করুক, এই আমাদের প্রার্থনা।

 

একাকী জমিন
মাসুদ পথিক
জন্ম ২০ নভেম্বর ১৯৭৬, নরসিংদী
প্রকাশক : রোদেলা

একাকী জমিন

বিতংস
ওয়াহিদা নূর আফজা
জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৭৪, ঢাকা
প্রকাশক : আগামী

বিতংস

সমকাল পত্রিকার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা
ড. রবিউল হোসেন
জন্ম ৫ জুন ১৯৭৭, ঝিনাইদহ
প্রকাশক : ঝিনুক

সমকাল পত্রিকার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা

বিলু কালু আর গিলুর রোমাঞ্চকর অভিযান
মাশুদুল হক
জন্ম ১০ জুন ১৯৯০, ঢাকা
প্রকাশক : আলেকজান্দ্রিয়া

বিলু কালু আর গিলুর রোমাঞ্চকর অভিযান

এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১২

বাংলাদেশের নবীন কবি-লেখকদের সাহিত্যচর্চা ও সাধনাকে গতিময় এবং তরম্নণদের সৃজনধারাকে সজীবিত করার লক্ষ্যে এইচএসবিসি এবং কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে তরম্নণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। এই পুরস্কার নবীন লেখকদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পঞ্চমবারের মতো এবারও কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ গবেষণা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য – এই চারটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। আমরা লক্ষ করেছি, তরম্নণ কবি ও লেখকদের চর্চা ও মানসযাত্রার ক্রম-উত্তরণ কতভাবেই না বাংলাদেশের সাহিত্যের এগিয়ে চলাকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে তরম্নণদের সাহিত্য-সাধনার বিশেষ গুরম্নত্ব রয়েছে। নবীন লেখকরাই চর্চা, সাধনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রথা-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যে-কোনো দেশের সাহিত্যের ভিত নির্মাণ করেন। তরম্নণ প্রজন্ম তাঁদের সাধনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের গতিধারায় নবীন মাত্রা সৃষ্টি করেন এবং নব-উদ্ভাবনী শক্তিতে দেশের সাহিত্যে নবীন বেগ সঞ্চার করেন।
কবিতা সৃজনশীল, মননশীল ও মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক উপন্যাস রচনার জন্য চারটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় এ-বছর আমরা অনুকূল সাড়া পেয়েছি এবং আশান্বিত হয়েছি। আশা করি, এদেশের কবিতার ধারা, সাহিত্যসাধনা, চর্চা, মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণা ও ভাবনা এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন মাত্রা অর্জন করবে।
২০১২ সালের এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার অর্জন করেছেন – কবিতায় ভিখিরিও রাজস্থানে যায় গ্রন্থের জন্য মোসত্মাক আহমাদ দীন, কথাসাহিত্যে দীর্ঘশ্বাসেরা হাওয়ার জলে ভাসে গ্রন্থের জন্য মাসউদুল হক, প্রবন্ধে করম্নণ মাল্যবান ও অন্যান্য গ্রন্থ গ্রন্থের জন্য পিয়াস মজিদ এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস নক্ষত্রের রাজারবাগ গ্রন্থের জন্য মোশতাক আহমেদ। আমরা এই লেখকদের অভিনন্দন জানাই।
তরম্নণদের সাহিত্যচর্চার পথ সুগম হোক। তাঁদের নিত্যনব উদ্ভাবনী কৌশল, সমাজ এবং শিল্প-সাহিত্যের প্রতি অঙ্গীকার, সৃজন-উদ্যোগ অনুভবশীলতা ও মননচর্চাকে সমৃদ্ধ করম্নক, এই আমাদের প্রার্থনা।

দীর্ঘশ্মাবাসেরা হাওরের জলে ভাসে
মাসউদুল হক
জন্ম ১ জুলাই ১৯৭৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশক : ঘাস ফুল নদী

দীর্ঘশ্বাসেরা হাওরের জলে ভাসে
দীর্ঘশ্বাসেরা হাওরের জলে ভাসে

ভিখিরিও রাজস্থানে যায়
মোসত্মাক আহমাদ দীন
জন্ম ১১ ডিসেম্বর ১৯৭৭, সুনামগঞ্জ
প্রকাশক : বইপত্র

ভিখিরিও রাজস্থানে যায়
ভিখিরিও রাজস্থানে যায়

নক্ষত্রের রাজারবাগ
মোশতাক আহমেদ
জন্ম ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৫, ফরিদপুর
প্রকাশক : নালন্দা

নক্ষত্রের রাজারবাগ
নক্ষত্রের রাজারবাগ

করম্নণ মাল্যবান ও অন্যান্য প্রবন্ধ
পিয়াস মজিদ
জন্ম ২১ নভেম্বর ১৯৮৪, চট্টগ্রাম
প্রকাশক : শুদ্ধস্বর

করম্নণ মাল্যবান ও অন্যান্য প্রবন্ধ
করম্নণ মাল্যবান ও অন্যান্য প্রবন্ধ

 এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১

বাংলাদেশের নবীন কবি-লেখকদের সাহিত্য চর্চা ও সাধনাকে গতিময় এবং তরম্নণদের সৃজনধারাকে সঞ্জীবিত করার লক্ষ্যে এইচএসবিসি এবং কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। এ বছরও সাহিত্যের চারটি শাখায় চারজন কবি ও লেখককে ২০১১ সালের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ নিয়ে চতুর্থবার এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য – এই চারটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে তরম্নণদের সাহিত্য-সাধনার বিশেষ গুরম্নত্ব রয়েছে। নবীন লেখকরাই চর্চা, সাধনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রথা-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যে কোনো দেশের সাহিত্যের ভিত নির্মাণ করেন। সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম তাঁদের সাধনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের গতিধারা নির্মাণ এবং নব-নব উদ্ভাবনী শক্তিতে এদেশের সাহিত্যে নবীন বেগ সঞ্চার করেন।
কবিতা সৃজনশীল, মননশীল ও মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক উপন্যাস রচনার জন্য চারটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় এ-বছর আমরা অনুকূল সাড়া পেয়েছি এবং আশান্বিত হয়েছি। আশা করি, এদেশের কবিতার ধারা, সাহিত্যসাধনা, চর্চা, মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণা ও ভাবনা এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন মাত্রা অর্জন করবে।
কবিতায় হওয়া না-হওয়ার গান কাব্যগ্রন্থের জন্যে শুভাশিস সিনহাকে, কথাসাহিত্যে (সৃজনশীল) রাজনটী উপন্যাসের জন্য স্বকৃত নোমানকে, প্রবন্ধ ও গবেষণায় প্রকৃতি, প্রামিত্মকতা ও জাতিসত্তার সাহিত্য প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য সুমন সাজ্জাদকে, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস সোনার পরমতলা গ্রন্থের জন্য মিজানুর খানকে এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরম্নণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১১-এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

তরম্নণদের সাহিত্যচর্চার পথ সুগম হোক। তাঁদের নিত্যনব উদ্ভাবনী কৌশল, সৃজন-উদ্যোগ এদেশের অনুভবশীলতা ও মননচর্চাকে সমৃদ্ধ করম্নক, এই আমাদের প্রার্থনা।

হওয়া না-হওয়ার গান
শুভাশিস সিনহা
জনম : ২৯ জানুয়ারি ১৯৭৮
পেশা : নাট্য প্রশিক্ষক
প্রকাশক : দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লি.

সোনার পরমতলা
মিজানুর খান
জনম : ১ জানুয়ারি ১৯৭২
পেশা : সাংবাদিকতা
প্রকাশক : ঐতিহ্য

 

 

 

 

রাজনটী
স্বকৃত নোমান
জন্ম : ৮ নভেম্বর ১৯৮০
পেশা : সাংবাদিকতান
প্রকাশক : ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রকৃতি, প্রামিত্মকতা ও জাতিসত্তার সাহিত্য

সুমন সাজ্জাদ
জন্ম  : ৮ মে ১৯৮০
পেশা : শিক্ষকতা
প্রকাশক : অবহমান প্রকাশনী

 

 

 

 

 

 

সিলেটে যুদ্ধাপরাধ ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র
অপূর্ব শর্মা
জনম : ১ মার্চ ১৯৭৯
প্রকাশক : ইত্যাদি

 


ইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১০
বাংলাদেশের তরুণ কবি ও লেখকদের সৃজনশীল কর্মকে উৎসাহদানের উদ্দেশ্যে বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক এইচএসবিসি এবং শিল্প ও সাহিত্যবিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম কবিতা এবং সৃজনশীল, মননশীল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণা ও কিশোর সাহিত্য এই পাঁচটি বিভাগে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। কিশোর সাহিত্য বিভাগে এ-বছর উলে­খযোগ্য কোনো গ্রন্থ জমা না পড়ায় চারটি বিভাগে এ-বছর পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে তরুণদের সাহিত্য-সাধনার বিশেষ গুরুতব রয়েছে। নবীন লেখকরাই চর্চা, সাধনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রথা-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যে-কোনো দেশের সাহিত্যের ভিত নির্মাণ করেন। সৃজনশীল তরুণ প্রজনম তাঁদের সাধনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের গতিধারা নির্মাণ করেন এবং নব নব উদ্ভাবনী শক্তিতে এদেশের সাহিত্যের গতিধারায় নবীন বেগ সঞ্চার করেন। কবিতা এবং সৃজনশীল, মননশীল ও মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গবেষণাগ্রন্থের জন্য চারটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় এ-বছর আমরা অনুকূল সাড়া পেয়েছি এবং আশান্বিত হয়েছি। আশা করি, এদেশের কবিতার ধারা, সাহিত্যসাধনা, চর্চা, মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণা এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন মাত্রা অর্জন করবে। কবিতায় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না কাব্যগ্রন্থের জন্য টোকন ঠাকুর, মননশীলে গল্পের খোঁজে গ্রন্থের জন্য প্রশান্ত মৃধা, সৃজনশীল সাহিত্য বিভাগে ধূসর-স্বপ্নের সাসান্দ্রা গ্রন্থের জন্য কাজী রাফি এবং মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গবেষণায় সিলেটে যুদ্ধাপরাধ ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র গ্রন্থের জন্য অপূর্ব শর্মাকে ২০১০ সালের এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ লেখক পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তরুণদের সাহিত্যচর্চার পথ সুগম হোক, তাঁদের নিত্যনব সৃজন-উদ্যোগ এদেশের অনুভবশীলতা ও মননচর্চাকে সমৃদ্ধ করুক, এই প্রার্থনা।এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১০

সিলেটে যুদ্ধাপরাধ ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র
কাজী রাফি
লেখকের জন্ম : ২২ নভেম্বর ১৯৭৫
পেশা : সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
প্রকাশক : দিব্য প্রকাশ

এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০০৯
বাংলাদেশের তরুণ কবি ও লেখকদের সৃজনশীল কর্মকে উৎসাহদানের উদ্দেশ্যে শিল্প ও সাহিত্যবিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম এবং বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক এইচএসবিসি কবিতা এবং সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্য এই তিনটি বিভাগে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।
বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে তরুণদের সাহিত্য-সাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবীন লেখকরাই নিরন্তর সাধনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রথা-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যে-কোনো দেশের সাহিত্যের ভিত নির্মাণ করেন।
কবিতা এবং সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্য এই তিনটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় এ বছর আমরা অনুকূল সাড়া পেয়েছি এবং আশান্বিত হয়েছি। আশা করি, এ-দেশের কবিতার ধারা ও সাহিত্যসাধনা এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন মাত্রা অর্জন করবে।
কবিতায় আমি ও বাঘারু কাব্যগ্রন্থের জন্য আহমেদ মুনিরকে, সৃজনশীল সাহিত্য বিভাগে অন্ধ জাদুকর গ্রন্থের জন্য আহমাদ মোস্তফা কামালকে এবং মননশীল বিভাগে একাত্তরের গণহত্যা : রাজধানী থেকে বিয়ানীবাজার গ্রন্থের জন্য আজিজুল পারভেজকে ২০০৯ সালের এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ লেখক পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
তরুণদের সাহিত্যচর্চার পথ সুগম হোক, তাঁদের নিত্যনব সৃজন-উদ্যোগ এ-দেশের অনুভবশীলতা ও মননচর্চাকে সমৃদ্ধ করুক, এই প্রার্থনা।

আমি ও বাঘারু
আহমেদ মুনির
জন্ম ৪ জুলাই ১৯৭২
পেশা : শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা
প্রকাশক : ঐতিহ্য

একাত্তরের গণহত্যা
রাজধানী থেকে বিয়ানীবাজার
আজিজুল পারভেজ
তাঁর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৭২
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলটুপ দুপানিপারে
প্রকাশক : ঐতিহ্য

এইচএসবিসি-কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০০৮

বাংলাদেশের তরুণ কবি ও লেখকদের সৃজনশীল কর্মকে উৎসাহদানের উদ্দেশ্যে শিল্প ও সাহিত্যবিষয়ক পত্রিকা কালি ও কলম এবং বিশ্বের স্থানীয় ব্যাংক এইচএসবিসি কবিতা এবং সৃজনশীল-মননশীল সাহিত্য এই দুটি বিভাগে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে তরুণদের সাহিত্য-সাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবীন লেখকরাই নিরন্তর সাধনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রথা-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যে-কোনো দেশের সাহিত্যের ভিত নির্মাণ করেন। কবিতা এবং সৃজনশীল-মননশীল সাহিত্য দুটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় আমরা অনুকূল সাড়া পেয়েছি এবং আশান্বিত হয়েছি। আশা করি, এ-দেশের কবিতার ধারা ও সাহিত্যসাধনা এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন মাত্রা অর্জন করবে।

বাংলাদেশের লোকনাটক / বিষয় ও আঙ্গিক-বৈচিত্র্য
সাইমন জাকারিয়া
সৃজনশীল-মননশীল সাহিত্য

শীতের প্রকার
ওবায়েদ আকাশ

শীতের প্রকার - ওবায়েদ আকাশ