গুয়াহাটিতে বাংলাদেশি শিল্পীদের প্রদর্শনী ও আর্ট ক্যাম্প

আহমেদ হাসান

ভারতের পূর্বাঞ্চলের গুয়াহাটির শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র সাংস্কৃতিক দিক থেকে যে এত তাৎপর্যপূর্ণ ও নয়নাভিরাম একটি কেন্দ্র তা ঘুণাক্ষরেও আমাদের কারো জানা ছিল না। ভেবেছিলাম, যেমন হয়ে থাকে ললিতকলা বিষয়ক কেন্দ্র, তেমনি হবে। বিশাল এলাকা নিয়ে এই কলাকেন্দ্রটি অবস্থিত। সত্যিকার অর্থেই দেখার ও উপভোগ করার মতো। উঁচু পাহাড়ি স্থানে মিউজিয়াম, দ্বিতলে প্রদর্শনী কেন্দ্র, সংলগ্ন সাহিত্য অ্যাকাডেমি, নৃত্য ও নাট্যচর্চা এবং মহলার স্থান নিয়ে এই কেন্দ্রটি গুয়াহাটির আকর্ষণীয় স্থান বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে টেরাকোটার কাজ ও আসামের নানা অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের নিদর্শন। কেন্দ্রটির সামগ্রিক স্থাপত্যশৈলী, বৃক্ষশোভিত লন, স্থানে স্থানে শিল্প-সৌন্দর্যের পরিচয়বহ ভাস্কর্য ও জলাধার মানুষের হৃদয়ে ছাপ রেখেই যায়। নয়নাভিরাম মূল তোরণ পেরিয়ে কলাকেন্দ্রে পৌঁছলেই চোখে পড়ে ভাস্কর্য, একটু দূরে অতিথিশালা। আর ছিল ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের ঐতিহ্যমন্ডিত বয়ন, কাঠ, বাঁশের নানা ধরনের হস্তশিল্প প্রদর্শনী এবং বিক্রির ব্যবস্থা। কেন্দ্রটি মনোগ্রাহী ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছিল দীর্ঘ লন ঘিরে গোলাকৃতি সাতটি বিক্রয় বিতানের অবস্থানে। এই সাতটি রাজ্যের বয়ন বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এবং ভিন্ন গুণে ও মানে প্রতিদিন ভারতবর্ষের ও বিদেশের শত-সহস্র দর্শনার্থী এই কলাক্ষেত্রে ভিড় জমান। তাঁরা শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রের প্রদর্শনীস্থল দেখেন ঘুরে ঘুরে। স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সঙ্গে আসেন। শিক্ষার্থীদের শিল্প রুচি ও দৃষ্টিকে প্রসারিত করার চেষ্টা করেন এই শিক্ষকমন্ডলী।
স্বাভাবিকভাবে আমাদের অনেকেরই শংকরদেব সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। শংকরদেবের জন্ম ১৪৪৯ সালে, মৃত্যু ১৫৬৮ সালে। তিনি আসামের মানুষের মধ্যে তাঁর ধর্মবোধ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আদর্শ দ্বারা এমন এক মানসভুবন সৃষ্টি করেছেন যেখানে তিনি শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত। আসামের মানুষের জীবনচর্যা ও সাধনায় এ-মানুষটি কয়েক শতাব্দী ধরে রসসিঞ্চন করায় তিনি হয়ে উঠেছেন এক মহান শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।
বাংলাদেশের শিল্পীদের এগারো সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টসের পরিচালক সুবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৮ অক্টোবর রাতে যখন পৌঁছল এই কলাক্ষেত্রে, সারাদিনের ক্লান্তি ও ধকল দূর হয়ে গিয়েছিল। সিলেটের তামাবিল সীমান্ত অতিক্রম করে দলটি চেরাপুঞ্জি হয়ে গুয়াহাটি পৌঁছেছিল। চেরাপুঞ্জির মেঘ ও বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েছিলেন সকলে। মেঘালয়ের উঁচু-নিচু পার্বত্য পথ, কখনো বৃষ্টি এবং মেঘের লুকোচুরি সকল শিল্পীর হৃদয় ও মনকে ছুঁয়ে গিয়েছিল। বিশেষত যখন উঁচু অাঁকাবাঁকা পার্বত্য পথ থেকে দূরের পাহাড়শ্রেণি ও বনাঞ্চলকে মায়াময় মনে হতো। এগারো সদস্যের দলটির কারো চেরাপুঞ্জি ভ্রমণের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। মেঘ-বৃষ্টিতে সেজন্যে সিক্ত হওয়ার বাসনা সকলের মধ্যে ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন বিরতিহীন বৃষ্টি দেখার অভিজ্ঞতা হবে; কিন্তু মেঘ ভেসে গেলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। সূর্যও উঁকি দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছিল। মেঘ ও পাহাড়ের দেশ চেরাপুঞ্জি শিলং থেকে ষাট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চেরাপুঞ্জিকে ঘিরে রয়েছে এক বৃহৎ ভ্যালি। চেরাপুঞ্জির লোকসংখ্যা খুবই কম। জনবিরল চেরাপুঞ্জি ও সবুজ নিস্তব্ধ অাঁকাবাঁকা পার্বত্য পথ যে কোনো মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেবে। অক্টোবরে বেশ শীতও অনুভূত হয়েছিল।
দলের মধ্যে অনেকেরই পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় তারা বেকায়দায় পড়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে প্রত্যাশিত বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেল। ঝিরিঝিরি এবং কখনো এক পশলা। বৃষ্টি ও মেঘ দু-চার মিনিট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছিল।
আমরা গুয়াহাটি কলাক্ষেত্রে পৌঁছেছিলাম ২৮ অক্টোবর। ২৯ তারিখ ছিল বিশ্রাম। ব্রহ্মপুত্র নদ ও কামাখ্যা মন্দির দেখা হলো সেদিন। এই সেই কামাখ্যা মন্দির, যেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি দেবীর আনুকূল্য প্রার্থনা করেন শত-সহস্র পূজার্থী। আমরা কামাখ্যা মন্দিরের মূল দ্বারপ্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম।
সেদিন বিকেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে সকলকেই পাসপোর্টসহ হাজির হতে হয়েছিল নিকটবর্তী থানায়।
৩০ অক্টোবর ২০১১ রোববার থেকে গুয়াহাটির শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রে শুরু হয়েছিল ‘রঙের ছন্দ’ শীর্ষক বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের প্রদর্শনী। এগারোজন শিল্পীর মোট তেত্রিশটি চিত্রকর্ম এ-প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল। ছিল কাইয়ুম চৌধুরীর ঐতিহ্য-আশ্রিত মাটিলগ্ন তিনটি কাজ। রফিকুন নবীর নেপাল আর্ট ক্যাম্পে করা একটি তেলরং। সমরজিৎ রায় চৌধুরীর অ্যাক্রিলিকে করা ‘ভালোবাসার গানে’ শীর্ষক চিত্রে বিচ্ছুরিত হয়েছিল তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। ফরিদা জামানের চিত্রশৈলীতে উজ্জ্বল মাছ ও জাল সিরিজের ছবি। মাহমুদুল হকের বিমূর্ত অবগাহনের প্রকাশ সংবলিত ছবি। ছিল কালিদাস কর্মকারের নিরীক্ষাধর্মী ভিন্ন প্রকাশের ছবি। নজর কেড়েছিল নাসিম আহমেদের শরৎভিত্তিক সাদা-কালোয় করা মনোগ্রাহী তিনটি কাজ। বাংলাদেশের প্রত্যেক শিল্পীর তিনটি ছবি বিষয়বৈচিত্র্যে ও শিল্পগুণে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল কাজ বলে বিবেচিত হয়েছিল। বাস্তবভিত্তিক ও বিমূর্তরীতির এ-ছবিগুলো যথেষ্ট কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। কলাক্ষেত্রের প্রদর্শনীহলে ভিড় করে এসেছিলেন গুয়াহাটির শিল্পকলা-রসিকরা।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার মাহবুব হাসান সালেহ। তিনি দিল্লি থেকে বিমানযোগে সরাসরি ৩০ অক্টোবর অপরাহ্ণে চলে এসেছিলেন গুয়াহাটি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আসাম সরকারের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ের সচিব শান্তনু ঠাকুর। এছাড়া আসামের প্রবীণ শিল্পী বেনু মিশ্র, বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রের সহ-সভাপতি রত্ন ওঝা, আইসিসিআর গুয়াহাটির আঞ্চলিক পরিচালক রাধারমণ চ্যাটার্জি এবং বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টসের পরিচালক সুবীর চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুয়াহাটির খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীসহ নবীন শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ও আসামের শিল্পীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি। ‘রঙের ছন্দ’ শীর্ষক প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছিল ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর), বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টস্ এবং শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র গুয়াহাটি।
প্রদর্শনীতে যাঁদের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল তাঁরা হলেন – কাইয়ুম চৌধুরী, তাহেরা খানম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, রফিকুন নবী, মাহমুদুল হক, কালিদাস কর্মকার, ফরিদা জামান, নাসিম আহমেদ নাদভী, আহমেদ সামসুদ্দোহা, শিশির ভট্টাচার্য এবং মাকসুদা ইকবাল নীপা। শিশির ভট্টাচার্যের প্রদর্শনী উপলক্ষে গুয়াহাটি যাওয়ার কথা ছিল। ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য তিনি যেতে পারেননি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘মানবিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও সংস্কৃতির ভাব বিনিময়ে এই প্রদর্শনীটি খুবই গুরুত্ববহ।’
বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টসের পরিচালক সুবীর চৌধুরী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আসামের জনগণের সহায়তার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সংস্কৃতির ভাববিনিময়ে চিত্রশিল্পীরা যে-ভূমিকা পালন করছেন তা নানা প্রদর্শনীর মধ্যে দিয়ে নবীন মাত্রা অর্জন করবে।’
এই এগারোজন শিল্পীর ‘রঙের ছন্দ’ প্রদর্শনীটি বিষয়বৈচিত্র্যে, রং-ব্যবহারে, পরিপ্রেক্ষিত জ্ঞানে ভিন্ন ভুবন নির্মাণে যে-বিভাব সৃষ্টি করেছিল, গুয়াহাটির শিল্পরসিকদের জন্য এ ছিল নবীন অভিজ্ঞতা। প্রতিদিনই প্রচুর দর্শক সমাগম হয়েছে। ভিড় করেছেন দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলের কলা-সমালোচকরা।

আর্ট ক্যাম্প
শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র গুয়াহাটিতে ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের দশজন এবং আসামের সতেরোজন শিল্পীর অংশগ্রহণে চার দিনব্যাপী এক আর্ট ক্যাম্প শুরু হয়েছিল। আর্ট ক্যাম্প তো শুধু ছবি অাঁকার জন্য আয়োজিত হয়, তা না। ক্যাম্প ঘিরে অংশগ্রহণকারীরা যে ভাবের আদান-প্রদান করেন বা শিল্পের অন্বিষ্ট ভুবন নির্মাণে, তা বেশ সহায়ক হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকলে আড্ডা দিয়েছেন প্রাণ খুলে। পরস্পরের ছবি দেখেছেন এবং এই সৃষ্টিকে কীভাবে আরো সমৃদ্ধ করা যায় সে-সম্পর্কে কথা বলেছেন।
আর্ট ক্যাম্পে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন – কাইয়ুম চৌধুরী, তাহেরা খানম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, মাহমুদুল হক, কালিদাস কর্মকার, ফরিদা জামান, নাসিম আহমেদ নাদভী, রনজিৎ দাস, আহমেদ সামসুদ্দোহা এবং মাকসুদা ইকবাল নীপা। এই আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর), বেঙ্গল গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টস্ এবং শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র গুয়াহাটি।
আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছিলেন আসামের ষোলোজন শিল্পী। গুয়াহাটির কয়েকজন প্রবীণ শিল্পীসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নবীন শিল্পীরাও এসেছিলেন। তারা হলেন : বেনু মিশ্র, পুলক গোগৈ, রবিরাম ব্রহ্মা, ননী বরপূজারী, আমিনুল হক, চম্পক বরবরা, মুনীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য, অতুল বোরা, শুভকর লস্কর, মনেশ্বর ব্রহ্মা, কিশোরকুমার দাশ, মনিকা দেবী, পরমবন্তী দেবী, অদিতি চক্রবর্তী, দেবানন্দ উলুপ ও জেবিন ঘোষ দস্তিদার।
আর্ট ক্যাম্পে তিনটি ছবি এঁকেছেন কাইয়ুম চৌধুরী। তিনটি ছবি নানা দিক থেকে বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। বিশেষত সাদা রঙের প্রাধান্য দিয়ে তিনি যে-ছবিটি এঁকেছিলেন তা মনোগ্রাহী হয়ে উঠেছিল।
তাহেরা খানম তাঁর নিজস্ব শৈলীতে যে তিনটি ছবি এঁকেছিলেন বিষয়গুণে ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। কালিদাস কর্মকার ও মাহমুদুল হক পাশাপাশি ছবি এঁকেছিলেন। কালিদাস দ্রুত ছবি অাঁকতে সিদ্ধহস্ত।
লক্ষণীয় ছিল, বাস্তব ও বিমূর্ত – সব ধরনের ছবিই চারদিনের আর্ট ক্যাম্পে আসামের শিল্পীরা এঁকেছিলেন। তাঁদের অনেকেই শিল্পশিক্ষা হয়েছে কলকাতা, শান্তিনিকেতন ও বরোদায়। মানসম্মত ছবি এঁকেছেন অনেকেই। সমকালীন নানা প্রবণতার বিচ্ছুরণ ছিল অনেকের কাজে। বিমূর্ত শিল্পধারা যে আসামের শিল্পীদের নানা দিক থেকে স্পর্শ করেছে, এটাও প্রতীয়মান হয়েছে।
আর দুপুরে আহারের সময় ছবি অাঁকার সময় আড্ডা ও ভাববিনিময় হয়েছে। অনেকেই তর্ক করেছেন বিমূর্তধারা নিয়ে। আর বাংলাদেশের শিল্প-আন্দোলনের সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, যা অনেকের হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকবে।
আর্ট ক্যাম্প শেষ হয়েছিল ৪ নভেম্বর। শিল্পীদের এ-দলটি এসে পৌঁছল সেদিন শিলং। দেখবেন শৈল নিসর্গের অপরূপ শোভা। পরদিন ৫ নভেম্বর খবর এলো ‘আমি এক যাযাবর’ ও ‘গঙ্গা খ্যাত’ গণসংগীতের প্রাণপুরুষ আসামের রত্ন ভুপেন হাজারিকা আর নেই। এক শিল্পী বন্ধু সেলফোনে জানালেন, সমগ্র আসাম শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছিল। খবর পাওয়ার পর সব দোকানপাঠ, বিপণি বিতান স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start blogging!