অন্য ভাবনার ফিল্মোৎসব – এলগওনা

ছবির নাম : ব্যাকস্টেজ

পরিচালক : আফেফ বেন মাহমৌদ

দেশ : তিউনিশিয়া

কিশোর বয়স থেকেই আফেফ নৃত্যশিল্পী। বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার সেনামা ও সোফিয়ানের দলে নাচ শিখেছেন এবং ট্যুর করেছেন দেশ-বিদেশে। মাত্র সতেরো বছর বয়সে তিউনিশিয়ান ন্যাশনাল ব্যালে ফর কিড্সের পরিচালক। তখন থেকেই আফেফ স্টেজ ডিরেক্টর। ফটেনা জাজিরির ডান্স অনসম্বলে কাজ করেন। তিনি এই মুহূর্তে ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও অভিনয় করেন। নৌরি বউজিদের বিখ্যাত ছবি মেকিং অফে নায়িকা হয়েছিলেন তিনি। ব্যাকস্টেজ  তাঁর পরিচালনায় প্রথম ফিচার ছবি, এর আগে তিনটি শর্টফিল্ম করেছেন।

ছবির গল্প : আটলাস পর্বতের কাছে এক গ্রামে বসেছে নাচের প্রতিযোগিতা। সেমিফাইনালের ঠিক আগে রিহার্সালের সময় নাচিয়ে হেইদি তার পার্টনার আইদাকে এক দুর্ঘটনায় ফেলে দেয়। চিকিৎসার জরুরি প্রয়োজন। কিন্তু ওই অজগ্রামে না আছে ডাক্তার, না আছে চিকিৎসাব্যবস্থা। দলের সবাই মিলে তখন আইদাকে নিয়ে পাশের গ্রামে যেতে উদ্যোগ নেয়। ঘন জঙ্গলের পথ রাত্রিতে পার হতে গিয়ে আবার ঝামেলা। দলের কনিষ্ঠতম নাচিয়ে সইফ পথ হারিয়ে ফেলে, দুটি সমস্যা নিয়ে জেরবার সকলে। এমন বিপদের মধ্যেই একে অপরকে যেমন বুঝতে পারে, পারস্পরিক সহযোগিতার হাতও এগিয়ে আসে। নতুন দিনের ভোরের আলোয় ডাক্তারের দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন এক নতুন জীবন ও উপলব্ধির দরজায় পৌঁছয় পুরো দল।

পরিচালকের বক্তব্য : সেই ছোট্ট বয়স থেকেই আমি নাচের জগতের সঙ্গে জড়িত। মঞ্চের ওপর এবং পেছনে কী কী হয়, সেটা আমি ভালো করেই জানি। পারস্পরিক অভিমান, ঈর্ষা, হিংসা, প্রেম – সবকিছুই ঘটে। আমি মঞ্চের পেছনের ঘটনাগুলোকেই বেশি ধরতে চেয়েছি। নাচের জগতে মহিলার প্রাধান্য। অথচ সাংসারিক ও পারিবারিক জীবনে মেয়েরা অধিকাংশ সময়েই বংশবৃদ্ধির ‘যন্ত্র’, কিন্তু মেয়েদের মধ্যেও সমকামী, বিসমকামিতা  আছে। সেটাকে দেখতেই চাই না, এড়িয়ে চলি। আমি দেখতে চেয়েছি চলমান বাস্তবকে এড়িয়ে আমরা ঝগড়াঝাঁটি, খুনসুটি আর বাগ্বিত-ায় বর্তমানটাকে এনজয় করতে পারছি না।  এই মুহূর্তটাকে নিয়েই বাঁচো।

 

 

ছবির নাম : টু হানড্রেড মিটারস

দেশ : প্যালেস্টাইন

পরিচালক : আমিন নায়েফ। জন্ম প্যালেস্টাইনে। জর্ডানের রেড সি ইনস্টিটিউট অব সিনেম্যাটিক আর্টে পড়াশোনা। নিজের জায়গায় নানা সত্য ঘটনাকে গল্পের চেহারায় বলতে চান। গত তিন বছর ধরে টিভির জন্য ছোট দৈর্ঘ্যের ছবি করছেন।

ছবির গল্প : মোস্তাফা এবং সালোয়া স্বামী-স্ত্রী। একাধিক সমত্মানও আছে। দুজনার বাড়ি মাত্র দুশো মিটারের ব্যবধানে দুটি গ্রামে। তখন দুই গ্রামের মধ্যে উঠেছে দেয়াল। এপার থেকে ওপারে যাওয়া-আসার জন্য ‘বিশেষ’ অনুমতি দরকার কর্তৃপক্ষের। প্রতি রাতে দুই বাড়ি থেকে আলোর সংকেত দিয়ে শুভরাত্রি জানায়। এপারে থাকা স্বামী হঠাৎই এক রাতে ফোন পায় ওপারে তার সমত্মান গুরুতর অসুস্থ। চেকপয়েন্টে গিয়ে ওপারে যাওয়ার আবেদন রাখে। কিন্তু মেশিনে তাঁর ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় দরজায় আটকে যায়। ভীতসন্ত্রস্ত মোস্তাফা অগত্যা এক বেআইনি পাচারকারীর শরণাপন্ন হয়। গাড়িভর্তি আরো কিছু লোকের সঙ্গে দেয়াল পেরোনোটা বিপজ্জনক এবং রোমাঞ্চকর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাবা পৌঁছতে পারে হাসপাতালে ছেলের বিছানায়।

পরিচালকের বক্তব্য : টু হানড্রেড মিটারসের গল্পটা হাজারো প্যালেস্টিনিয়ানের গল্প, সত্যিকার ঘটনা। প্যালেস্টাইন বললেই, সীমামেত্মত্মর দেয়াল, চেকপয়েন্টের বিভীষিকা, সৈনিকদের কড়া দৃষ্টি – এগুলো আসবেই। এগুলোকে আমরা রোজকার জীবনের অংশ বলেই মেনে নিয়েছি। কিন্তু স্বভূমিতে বাস করে এমন লজ্জা-অপমান-লাঞ্ছনা আর কতদিন সহ্য করা যাবে! চলাফেরার স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না!

 

ছবির নাম : দ্য হাউস অফ সাইলেন্স

দেশ : ইরাক-আলজেরিয়া

পরিচালক : করিম তাইদিয়া

ছবির গল্প : ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের একনায়কতন্ত্রের সময়ে নিপীড়ন, অপশাসন, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার যন্ত্রণাকে প্রকাশ করা হয়েছে ছয় বছরের শিশুকন্যা আয়ার মধ্য দিয়ে। জন্মদিন পালনের পরেই বাবা আয়াকে ছেড়ে এলো স্কুলে। আয়া তখনো জানে না, বাবার সঙ্গে তাঁর শেষ দেখা ঘটে গেল স্কুলের গেটে। সাদ্দাম হোসেনকে খুনের চক্রামেত্ম ধরা পড়েন বাবা। এরপর কী হয়, কেউ জানে না। দাদু-দিদা-মা কেউ না। বাড়িতে এক চাপা আতংকের পরিবেশ, বাবার নামটি পর্যন্ত উচ্চারণ করা যায় না। সাদ্দামের গোয়েন্দা পুলিশ সারাক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে পরিবারের ওপর। প্রতিবেশীদের কাছেও যেন একঘরে। আয়া বুঝে উঠতে পারে না তার একমাত্র কাছের মানুষ বাবার অপরাধটা কী!

পরিচালকের বক্তব্য : ১৯৭৯ সালে গাজি আল হারিরিকে সাদ্দামের পুলিশ গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্টকে খুনের চক্রামেত্মর অভিযোগে। গাজির কথা আমি প্রথম শুনি ওঁরই মেয়ে জইনাবের মুখে। বাবাকে শিশু বয়সে হারানোর মানসিক অবসাদ, আবেগ ও দুঃখের এক পাহাড় জমেছিল জইনাবের বুকে। এরকম জইনাব তো ইরাকে কয়েক হাজার! তাদের কথা ভেবেই এই ছবি বানানোর প্রয়াস। আনন্দের ঘটনা, হাউস অব সাইলেন্স বানানোর প্রাথমিক আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন মেয়ে জইনাব আল হারিরি।

 

এই যে তিনটি ছবির বিস্তারিত কিছু জানানো হলো – এর কোনোটাই কিন্তু এখনো তৈরি হয়নি। শুধু এই তিনটি নয়, আরো প্রায় একডজন ছবির পরিকল্পনা ও প্রস্তাব নিয়ে আরবীয় দেশগুলো – অর্থাৎ মিশর, জর্ডান, বাহরাইন, কাতার থেকেও প্রায় শখানেক উদ্যমী মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন এলগওনা ফিল্ম উৎসবে। এই প্রথম এলগওনায় আন্তর্জাতিক ফিল্ম উৎসবের আসর বসল। প্রকৃত বাস্তব হলো, সিনেমা বানানোর ব্যাপারে আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে মিশরেই একমাত্র পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। বলা যেতে পারে, মিশরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে আফ্রিকান সিনেমার বিস্তার ও বৃদ্ধিতে। যে-কাজটির জন্য ইতোমধ্যেই লুক্সর শহরে আফ্রিকান সিনেমার এক উৎসব বসছে।

অন্যদিক থেকে মিশর প্রাচ্যের আরবীয় দেশগুলোর প্রতিবেশী হওয়ায় আরবি ভাষার সিনেমার প্রতিও কিছু দায়বদ্ধতা থেকেই যায়। উপরন্তু মরক্কো-তিউনিশিয়া-আলজেরিয়াও আরবি ভাষার দেশ। সম্ভবত সেই দায়বদ্ধতা থেকেই মিশরের বিজনেস টাইকুন নাজিব সাওরিশ শুরু করলেন এই এলগওনা উৎসব। উৎসবের ব্যানারেই তৈরি হয়েছে এলগওনা স্প্রিংবোর্ড। রোটারডাম, বুসান, কান, বার্লিনের ধাঁচে তৈরি এই স্প্রিংবোর্ড উদ্যমী তরুণ-তরুণীদের প্রজেক্টকে প্রাথমিক আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে। প্রথম বছরেই পনেরোজনকে বেছে নিয়ে কাজটি শুরু করে দিলো বলা যায়। প্যালেস্টাইনের পরিচালক আমিন নায়েফ যেমন বলেছেন – ‘এলগওনা আমায় সাহস জোগাল এগিয়ে যাওয়ার। অর্থের পরিমাণটা বড় কথা নয়, আমার প্রজেক্টটাকে যে এঁরা বিবেচনা করল – এটাই যথেষ্ট।’ স্বাভাবিক কারণেই যাঁরা এই উৎসব থেকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রম্নতি নিয়ে ফিরলেন, স্বভূমে গিয়ে তাঁদের বাকি অর্থ জোগাড়ে এক ধরনের উৎসাহ জোগাবে এবং সুবিধাও হবে। আরবীয় ভাষার সিনেমাকে যাঁরা এতদিন গালমন্দ করে এসেছেন তাঁদের মুখের ওপর জবাবও দেওয়া হবে।

হবে কেন বলছি, অলরেডি হতে শুরু করেছে। দু-বছর আগে আবুধাবির ফিল্মোৎসবে থিব নামে একটি অসামান্য আরবীয় ছবি দেখেছিলাম, ছবিটি অস্কার পুরস্কারের দৌড়েও ছিল। অবশ্য না থাকলেও থিব যে অনন্যসাধারণ একটা ছবি হয়েছিল, সেটা না মেনে উপায় নেই। এবারের এলগওনা ফিল্মোৎসবেও আবার একটি ভালো জাতের ছবি দেখলাম। পরিচালক লেবাননের, নাম জিয়াদ দৌরি। লেবাননে বাস করা প্যালেস্টিনীয়দের সঙ্গে ভূমিপুত্রদের এক ধরনের মানসিক ব্যবধান আছে। বহু বছর পাশাপাশি বাস করেও সেই সাম্প্রদায়িক মনোভাব ঘুমন্ত অবস্থায়ও জীবন্ত। ছবির দুটি চরিত্র (টনি এবং ইয়াসের) ঠিক তেমনই দুজন। একই এলাকায় বাস, অথচ মানসিক আকচা-আকচি আছেই, তুচ্ছ কারণে বিরোধ বাধে দুজনের। সমঝোতা করতে গিয়েও টনির এক উস্কানিমূলক মন্তব্যে ইয়াসের তাঁকে ঘুষি মেরে বসে। এরপর যথারীতি কোর্ট-কাছারি! সংবাদপত্রে ফলাও খবর। আদালতজুড়ে প্যালেস্টিনীয়দের বিরুদ্ধে বিক্ষক্ষাভ মিছিল। পরিচালক জিয়াদ সত্যি এক ঘটনা নিয়েই ছবিটি বানিয়েছেন। ভেনিস উৎসবে ছবিটি যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। ইয়াসেরের চরিত্রে প্রাণবন্ত অভিনয়ের জন্য কামেল এল বাশা সেরা অভিনেতার
স্বীকৃতি আদায় করেছেন। এই দ্য ইনসাল্ট ছবি দেখলেই উপলব্ধি হয়, আরব দুনিয়ায় রাজনৈতিক-সামাজিক সংকট কত জটিল। অর্থনীতিতে অধিকাংশ দেশ স্বনির্ভর হলেও প্রাত্যহিক জীবনে স্থিতিশীলতা নেই। পারস্পরিক দেশগুলোর সদ্ভাবের অভাব, ধর্মীয় গোঁড়ামির সঙ্গে আধুনিক মনোভাবের সংঘাত বিরাট এক শূন্যতা তৈরি করে রেখেছে। মন্দের ভালো এই যে, সিনেমাকে একমাত্র বিনোদনী ব্যবসা করে তুলতেই পারেনি কোনো দেশ। কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম মিশর। সেখানে সিনেমা ব্যবসা বা প্রোডাক্টের চেহারা নিয়েছে কিছুটা। ফিল্ম সিটি তৈরি হয়েছে কায়রোর শহরতলিতে। শহরেই লোকেশন শুটিংয়ের একাধিক সংস্থাও তৈরি হয়েছে। কায়রোর টিভি চ্যানেলগুলোয় পারিবারিক মশলা-মাখানো সোপ-সিরিয়াল জনপ্রিয় হচ্ছে। সুতরাং সিনেমার বাণিজ্যকরণ তো অবশ্যম্ভাবী।

যেটা এখনো হতে পারেনি প্রতিবেশী তিউনিশিয়া, লিবিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, জর্ডান, প্যালেস্টাইন, কাতার, সিরিয়া ও ইরাকে। এসব দেশের সিনেমা এখনো ‘প্রোডাক্ট’ হয়ে ওঠেনি। শুধুই ব্যবসা করার জন্য সিনেমা বানানো হয় না। তার ওপর ইউরোপের প্রায় প্রতিবেশী হয়ে থাকা উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি দেশে ফ্রান্স-জার্মানি-ইতালির প্রভাব বেশি থাকায় এই দেশগুলোর শিল্পচর্চায় ইউরোপীয় ভাবনার প্রভাব বেশি। বহু সময় আর্থিক সাহায্যও পেয়ে থাকে। সিনেমা তৈরিটা অনেকের কাছেই তাই সাহিত্য বা চিত্রকলার মতোই সাধনা ও চর্চার বিষয়, ব্যবসা নয়। আফ্রিকার আরো অভ্যন্তরে ঢুকলে, অর্থাৎ সেনেগাল, ঘানা, বুরকিনা ফাসো, উগান্ডা, কেনিয়া, মোজাম্বিক দেশগুলোয় সিনেমা বানানোর কোনো পরিকাঠামোই নেই। এলগওনা উৎসবেই দুটি শর্টফিল্ম এসেছিল সেনেগাল এবং সিরিয়া থেকে। সেনেগালের পরিচালক ইব্রাহিম সৈয়দি মামা বোবো ছবিতে একধরনের সুররিয়ালিটিকে ধরতে চেয়েছেন। এক জনহীন রাস্তার বাসস্টপে প্রতিদিন এক মাঝবয়সী মহিলা এসে অপেক্ষা করেন। কেন, কেউ জানে না। হঠাৎই একদিন নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেখেন বাসস্টপই উধাও। সেনেগালিজদের দৈনন্দিন জীবনের অনিশ্চয়তাকে এমনভাবেই এক পরাবাস্তবের চেহারা দিয়েছেন। ছবিটা সতেরো মিনিটের। সেটুকু অর্থ জোগাড় করতেই ইব্রাহিমকে বেলজিয়ামের কাছে হাত পাততে হয়েছে। সিরিয়ার পরিচালক নৌর আলসিলমানকে মাত্র এগারো মিনিটের ছবি নিউটনস থার্ড ল বানানোর জন্য আফ্রিকা ও মিশরের সাহায্য নিতে হয়েছে। এই সহযোগিতা যেমন একদিকে পরিচালককে সৃজনের স্বাধীনতা দিয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের কোনো উজ্জ্বল আলোও দেখাচ্ছে না তো! এঁদের প্রায় সকলেরই তাই একটাই প্রশ্ন – ‘এভাবে কতদিন চলতে পারে?!’

কাতারের দোহা ফিল্ম ইনস্টিটিউট আরবীয় সিনেমাকে প্রমোট করছে। দুবাইয়ের ফিল্মোৎসবও একই কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে কবছর ধরেই। তবে এলগওনার এই নতুন উৎসব কিন্তু সুন্দর এক প্যাকেজ নিয়ে এগোতে চাইছে। মনে পড়ছে উৎসবের শেষদিন দুপুরে হলিউডের জনপ্রিয় ও অস্কারজয়ী অভিনেতা ফরেস্ট হুইটেকারকে পাশে নিয়ে বিজনেস টাইকুন নাগিব সাওরিশি বলেছিলেন, ‘আর্থিক সাহায্য করাটা আমার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। একটা চেক আমি যখন-তখন লিখে দিতেই পারি। কিন্তু সেই অর্থ নিয়ে কাজটা সত্যিই হচ্ছে কিনা সেটা দেখাশোনার লোকজনটাই বেশি জরুরি।’ ফরেস্ট হুইটেকারের পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থাকে তিনি অনুদান দিয়ে থাকেন নিয়মিত। এই এলগওনা উৎসবের জন্য তিনি যোগ্য মানুষ ইন্তিশাল তিমিমিকে নিয়ে এসেছেন আবুধাবি থেকে। প্রথম সংস্করণেই তিনি সফল। এলগওনা স্প্রিংবোর্ডে যোগ দিতে আসা প্যালেস্টাইনের মে ওদেহ, মিশরের করিম হানাফি, বাসাম মোর্তাদা, কিসমত এলসৈদ, লেবাননের মৌনিয়া আকাল, সিন্থিয়া চৌকির, মরিয়ম শামিন, তিউনিশিয়ার হিন্দে বউজেমা, জর্ডানের আয়া জার্দালেহ, অমর আবদেল হাদির মতো অগুনতি উদ্যমী
তরুণ-তরুণী তাঁদের স্বপ্নকে ‘সম্ভব’ করে তোলায় মানসিকভাবে বদ্ধপরিকর। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই রাজনীতিতে আরব বসমেত্মর মতো আরবীয় সিনেমাতেও শীতঘুম কাটিয়ে এক নতুন বসমেত্মর সূচনা ঘটতে চলেছে।