slider1_background

মণীশ রায়

একটু আগেও রুহি আর অর্পিতার উপস্থিতি ছিল এ-ফ্ল্যাটে।
নেহালের বিয়ে করা বউ এই রুহি, আর অর্পিতা ওদের একমাত্র সন্তান। একজন চাকরি রক্ষা করতে গেছে ব্যাংকে আর অন্যজন ছুটছে বিশ^বিদ্যালয়ের অনার্স ক্লাস করতে।

slider2_bg
previous arrow
next arrow
  • কাশফুল এবং একটি নদীর গল্প

    কাশফুল এবং একটি নদীর গল্প

    এক পরিণতি ওসমান পড়ার পর একগাল হেসে বললো, ফিল গুড স্টোরি। কিন্তু খাবে না। কে খাবে না? আমি বুঝতে না পেরে তার দিকে তাকাই। ওসমান চেয়ারের পিছনে হেলান দিয়ে বললো, কে আবার? যাদের খাবার। পাঠক। কেন খাবে না? আমি ভ্রু কুঁচকে তাকাই তার দিকে। ওসমান আগের মতোই  মুচকি  হাসতে হাসতে বললো, ফিল গুড, বাট ফ্যান্টাসি।…

  • গণমুক্তি ও মানুষের মুক্তিসাধনা

    গণমুক্তি ও মানুষের মুক্তিসাধনা

    গত শতকের ষাটের দশক ছিল আমাদের প্রজন্মের জেগে ওঠার কাল। রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের মন্ত্রোপম কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’র আলোকে বলতে চাই, কৈশোর পেরুতে পেরুতে আমরা জেনেছি এ-জগৎ স্বপ্ন নয়, আন্দোলন-সংগ্রামে সত্যিই রক্তের অক্ষরে লেখা হচ্ছিল আমাদের কালের রূপ। তার ভেতর দিয়ে পাড়ি দিতে দিতে আঘাতে-বেদনায় আত্মোপলব্ধির পথরেখা ফুটে ওঠে। আভাসে যেন বুঝতে পারি সত্য কত কঠিন;…

  • আবুল হাসনাত ও তাঁর প্রত্যয়ী সাহিত্যবোধ

    আবুল হাসনাত ও তাঁর প্রত্যয়ী সাহিত্যবোধ

    সাহিত্যসৃষ্টি আর সাহিত্যসমালোচনার মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠভাবে পরিব্যাপ্ত। বোধকরি সে-কারণেই নিজের সাহিত্যসৃষ্টির আদর্শের কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে তাঁর সমালোচনাসাহিত্যের ধরন বিষয়েও জানাতে হয়েছিল। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘যে সমালোচনার মধ্যে শান্তি নাই, যা কেবলমাত্র আঘাত দেয়, কেবলমাত্র অপরাধটুকুর প্রতিই সমস্ত চিত্ত নিবিষ্ট করে, আমি তাকে ঠিক মনে করিনে।’ কেন তিনি ঠিক মনে করতেন না, তার কারণ সম্পর্কে…

  • সদ্ভাবশতক ও কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

    সদ্ভাবশতক ও কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

    যে জন দিবসে মনের হরষে, জ¦ালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না আর, নিশীথে প্রদীপ ভাতি। কিংবা, কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে। কবিতার এই পঙ্ক্তিগুলি ছাত্রজীবনে ভাবসম্প্রসারণ হিসেবে পড়েছি আমরা। কিন্তু যখন আমরা পঙ্ক্তিগুলো সম্প্রসারণ করেছি তখন কী জেনেছি বিখ্যাত এই প্রবাদবাক্যতুল্য চরণগুলির রচয়িতা কে? এই…

  • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবনে ইউনেস্কো অধ্যায়

    সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবনে ইউনেস্কো অধ্যায়

    সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবনে ইউনেস্কো অবিমিশ্র হিতকারী ভূমিকায় ছিল না; এক পর্বে তা লেখক হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বেলায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করলেও তাঁর জীবনের অন্তিম পর্বে আশাভঙ্গকারী বিপর্যয়ের সূত্রপাত করেছিল। তাঁর জীবনের শেষ দশকটিকে প্যারিসের দশক হিসেবে চিহ্নিত করলে ইউনেস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ এর গোড়া থেকেই ছিল। দশকের শেষ অর্ধেকে এসে ওয়ালীউল্লাহ ইউনেস্কোর কর্মী হিসেবে…

  • অথৈ পরমানন্দ

    অথৈ পরমানন্দ

    কে এই অথৈ পরমানন্দ? তাঁকে নাকি দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না।  তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায় না। আসলে তিনি কে? তবে কি তাঁর চোখ আকাশের মতো নীল? তাঁর কেশ কি ঝুরিবটের মতো কাঁধ পর্যন্ত নামানো? তাঁর গায়ের রং কি সমুদ্রের মতো গাঢ় নীল? পাহাড়ের মতো তিনি কি ঋজু ও বলিষ্ঠ? তাঁর কণ্ঠস্বর কি সুললিত,…

  • কলকাতায় জীবনানন্দ : সিনেট হল, মহাজাতি সদন ও গারস্টিন প্লেসের ভূত

    কলকাতায় জীবনানন্দ : সিনেট হল, মহাজাতি সদন ও গারস্টিন প্লেসের ভূত

    কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক জীবনানন্দ দাশের ৫৫ বছরের জীবনের (১৮৯৯-১৯৫৪) উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কিছু আগে তিনি পাকাপাকিভাবে জন্মস্থান বরিশাল ছেড়ে কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেই ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কলকাতার ল্যান্সডাউন রোড (বর্তমান নাম শরৎ বসু রোড), রাসবিহারী…

সাম্প্রতিক সংখ্যা