অতলান্তিকের পারে সন্ধ্যা

তমিজ উদদীন লোদী

 

যতদূর চোখ যায় অনন্তবাউল যেন প্রণতি জানায়

কী যেন নীলাভ আভা প্রতীক্ষার আগুনে রাঙায়

যে-মায়া যে-বোধি বক্ষোলীন দৃষ্টির প্রদীপে

উদ্ভাসিত হয়। সুন্দরের শৌর্য নামে সেই অন্তরীপে।

 

অবোধ্য উল্লাসসম বিস্মৃতির আহত আঙুলে…

কে দেয় দর্শন এই নিরুদ্ধ দুয়ার খুলে-খুলে

চারদিকে তমিস্র সময় – গভীর জলের শিল্প বয়

আনন্দপ্রবাহে। কী যেন চিহ্নিত হয় কী যেন বিমূর্ত হয় –

 

প্রার্থনার বৃত্ত টেনে যায়। অপার্থিব বিষণ্ণ নিরালা

নীরবে উত্তীর্ণ করে আমাদের বোধের জানালা।

বৃষ্টি ও হাওয়ার উদাসীন রহস্যের পাশে

জীবনের ছবি – দূরতর অভিন্ন উল্লাসে।

 

জল, হাওয়া ও মাটির ঘ্রাণ – আমার হৃদয় এক নদী

ধর্ম, বর্ণ, রূপহীন মানবতা প্রার্থনার মতো নিরবধি।