যে তুমি অন্ধচেতন
মায়াবী চাদরে যাবতীয় মনন ও মেধা
আপাদমস্তক ঘিরে রাখো, আমি তার বাদ সাধি।
জানি আমি, তোমার শৈত্যের চেয়ে বড় কোনো থাবা নেই মানবসংসারে
দৃশ্যত তোমার চেয়ে উঁচু আর কোনো চূড়াও নেই বোবাভূমিতে
তোমার বরফে তৈরি যে হিমশীতল পর্বত
আমি তার কঠিন গাত্রে দিনরাত কুঠার চালাই
পা রাখার খাঁজ তৈরি করে উঠে যেতে চাই তোমার শীর্ষে!
মানুষ স্বাধীন
এ তার জন্মগত অসীম মোহর
তোমার শৈত্যে তাকে হরণ করেছো আজীবন :
বরফে আবৃত মানুষ কখনো কি চেনে নিজের অবয়ব?
তুমি যে দিয়েছো তাকে তোতাবুলি
তা নিয়ে চিৎকার করে অধিবাস তোলে সে মাথায়
যা তার নিজের নয়, তাই নিয়ে স্বপ্ন দেখে হয় পর্যুদস্ত!
রাতের দেয়াল ভেঙে জ্বালি এই হাওয়াই প্রদীপ
তার আঁচে মানবশরীর থেকে গলে যাক অপর-বরফ
সহজ উল্লাসে ভরে যাক বিষণœ বসত
এসো হে নতুন চিৎপ্রকর্ষ, জ্বলুক বন্ধ আকাশ।
মানুষকেই মুক্ত হতে হবে
তার যে কত কাজ, অসম্পাদিত পড়ে আছে সহস্রাব্দ ধরে!
বিজয়ী মানুষ ছাড়া কে পারে ভারসাম্য বাঁচাতে?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.