ভাষান্তর : মঈনুস সুলতান
দুপুর বেলা তার কামরায় তুমি দাঁড়িয়ে আছো অনাহূত
অবাক হতে হতে তোমার দুহাত পাথর হয়ে গেছে দ্রুত,
দরোজায় দাঁড়িয়ে টিপে টিপে বাড়িয়েছো এক পা – চোখেমুখে
দ্বিধা,
পড়ে আছে তার বালিশ, বইগুলো ছড়ানো – কিছু ছবি জলরং
হাতে লেখা ছত্র কয়েকের কসিদা,
টিপয়ে খুলে রাখা কোমরের রূপালি বেল্ট – বাঁকানো ধাতব
সাপ,
সোনালি শিশিতে সুরভিত পারফিউম, ছড়ানো সংবাদপত্র
লেগে আছে সর্বত্র তার মননের মৌন উত্তাপ।
জানালার পর্দাগুলো ভারী তবে তৈরি নয় মখমলের,
বিছানায় শরীরের রেখা – নীরবতার তুষার জমেছে ঢের।
স্মৃতিতে নতমুখী সে – চোখের পাপড়ি মাসকারায় ঘন,
ভাবছো তুমি – যদি সে এ-কামরায় থাকতো এখনো।
আর যদি বন্ধ করে চোখের নিবিড় অর্গল,
নীরবতায় কাটাতে পারো এখানে একটি নিশীথ – স্পর্শ শিহরে
প্রবল।
সে যে ছিলো এখানে – তার শরীরের স্মৃতি-সুরভিত উত্তাপ,
ছড়িয়ে আছে সর্বত্র রোদচশমা, নূপুর কাফতানে রুচির ছাপ।
কিন্তু তুমি তার নিজস্ব নিভৃতির সফেদ শুভ্রতায়
ছড়িয়েছো অনভিপ্রেত আবির,
সিডিতে শুনেছো মেয়েটির স্বকণ্ঠে গীত উমে কুলসুম
ধিক তোমাকে – লজ্জায় এখনো হওনি তুমি বধির।