শামসুল আরেফিন
দেবীপাঠের আসক্তি আমাকে পুশ ইন করে দেয়
রাহুল সাংকুত্যায়নের ভবঘুরে শাস্ত্রে
তন্ত্রমন্ত্রে অশিক্ষিত প্রায় বর্বর আমি
নিপতিত হই কৃষ্ণগহবরে – হকিংয়ের ডেরায়
বিনা তদবিরে অর্জিত এই সিঙ্গেল খাটের বরাদ্দ
নিরাময় কেন্দ্রই এখন আমার পার্মানেন্ট ঠিকানা
ব্যবস্থাপত্রের কোথাও রোগের লক্ষণ
আক্রান্তের উল্লেখ না করায় মহামতি ডাক্তার
উপসর্গকে আমি নিশ্চিত চিহ্নিত করি হায়ারোগ্লিফির সঙ্গে
অন্তত সহস্র বছরের গবেষণায় ক্লান্ত হোক পন্ডিতকুল
দুই
পলিগামিতার সুফল বইতে শুরু করেছে রিসোর্টগুলোতে
প্রার্থনাশালার অদূরে চলছে ওপেন এয়ার কনসার্ট
শাকিরার সশস্ত্র ঝাঁকুনিতে লালনবৃক্ষ থেকে থরে থরে
ঝরে পড়ে ড্রপআউট
ভেস্তে যায় খাদ্যের বিনিময়ে
কখনো এডিবি কখনো ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অব্যাহত শিক্ষা
মহাজনি এসব লার্নিং মেথড পাউলো ফ্রেইরির ব্রাজিল
মাতিয়ে রেখেছে সাম্বা নাচ। পাসপোর্টবিহীন
আমার গোসার কোনোই তোয়াক্কা করেনি ম্যাডোনার মন
নৃত্যশিল্পের অসমঝদার মূর্খতায় আমিই কেবল বঞ্চিত হয়েছি
অফুরন্ত তোমার স্থাপত্য থেকে
তিন
প্লাজার ভাঁজে ভাঁজে সাজানো মণিমুক্তোর আহবান
বিস্ময়ের ঘোরে লটকে দিয়েছো মননের চোখ
আলিবাবার চঞ্চল ছোটাছুটি সীমান্তের ফাঁকে
ভক্ত আর ভোক্তা দুহাতে তুলে নিয়েছে মানিক্য
আকণ্ঠ অমিয় সুধা পান করে গেছে বাঘ ও মহিষ
নানান ঢঙে তুমি পরিশোধ করে গেছো নগদ বিনিময়ে
চিনিয়ে দিয়েছো সিংহদরজা
গুপ্তধনের সংরক্ষিত নকশার মূল
তোমার সংগ্রহশালায় এখন পাচারকারী মুনাফাখোরের আদিখ্যেতা
সুড়ং কোঠার পালঙ্কে শুয়ে আছে রহিম বাদশার অনাদি পৃথিবী
তুমি পাহাড় ও নদীর কূলঘেঁষে নির্মাণ করে দিয়েছো কাঁটাতারের বেড়া
গুহামুখে স্থাপন করে দিয়েছো বৃহৎ এক পাথর
কৃপণ তুমি ক্ষেত্রবিশেষে অনুদার কালবৈশাখীর মতো নির্দয়
আমার প্রবেশপথেই এঁটে দিয়েছো গোটা গোটা নিষেধাজ্ঞা
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.