কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখি

     ট্রেনের বগিগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে,

             ইঞ্জিনের কোনো দেখা নেই!

কখন আসবে সশব্দে ইঞ্জিন?

হুইসেল বাজিয়ে বাজিয়ে –

   বগিগুলোর সাথে মৈত্রীবন্ধন দৃঢ় হবে,

বগিগুলো অসহায় পড়ে থাকবে না –

            অচল অবস্থা থেকে সচল হবে!

কতদিন হলো বগিগুলো প্রত্যাশিত ইঞ্জিনের অপেক্ষায়!

    বগিগুলোতে ধুলো জমছে

       ইঞ্জিনের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে

     যাত্রীরাও কিংকর্তব্যবিমূঢ়

                   মুষড়ে পড়ছে!

ঠিকমতো আর গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না!

কত প্রান্ত থেকে আসা প্রান্তজন

                    – থাকে অপেক্ষায়!

দীর্ঘশ^াস নিয়ে মন ভেঙে যায়!

অবিচল ছিল – পৌঁছে যাবে নিজ ধামে

খামে সেই চিঠি লিখেছিল মুক্তিযুদ্ধ করতে করতে

          রণাঙ্গন থেকে মুক্তিযোদ্ধা!

অথচ ইঞ্জিনের দেখা নেই!