কবিতার জন্য শোকগাথা

আত্মহননের জন্য একটি কবিতা

হঠাৎ লাফিয়ে পড়ে আরণ্যক অগ্নিকুণ্ডলীতে

সাক্ষী এই বনভূমি আর তার শোকার্ত প্রকৃতি।

হায়! হায়! করে উঠলো

সারি সারি বৃক্ষ আর লতাগুল্ম-দোলানো বাতাস।

বাঁচানো গেল না সেই অভিমানী কিশোরী কবিতা!

কেঁদে উঠলো পশুপাখি বনের বাসিন্দা যত প্রাণী।

সীমাহীন সবুজের মর্মমূলে কে জ্বেলেছে ভয়াল আগুন –

এই প্রশ্নে নিরুত্তর যখন সভ্যতা

তখন কী করে বাঁচে নিষ্পাপ কবিতা?

আত্মহননের এই দৃশ্য কাঁদিয়েছে এক নিঃসঙ্গ কবিকে।

সেই কবিতার জন্য লিখি এপিটাফ –

মানুষের যত পাপ আর অনুতাপ নিয়ে জাগো

জেগে থাকো বিপন্ন প্রকৃতি।