কিস্সা বলেন শেহ্রজাদে

রবিশংকর বল

॥ ৬ ॥

 

৬ এপ্রিল সকালবেলা সিদ্ধিচেনাঞ্জ গ্রাম অভিমুখে রওনা হই। নারায়ণগঞ্জ মহকুমার মধ্যে এই গ্রামটি। শুনিয়াছিলাম যে, এই অঞ্চলটিতেই দুর্ভিক্ষ ও মহামারির সবচেয়ে বেশি ধাক্কা লাগিয়াছে। এক ঘণ্টা চলার পর গ্রামে আসিয়া পৌঁছিলাম। সিদ্ধিচেনাঞ্জ গ্রামটি চিনিতে কষ্ট হইল না। সামনেই চোখে পড়িল ভাঙা বাড়ি খালি পড়িয়া আছে আর চারিদিকে কবরের সারি। ইহা দেখিয়াই নতুন লোকেও গ্রামটিকে চিনিতে পারে।

গ্রামের ভিতরেও এই একই দৃশ্য। যেদিকে তাকাই কেবল কবর আর ভাঙা বাড়ি। দু-একটি বাড়ি চোখে পড়িল, যার উঠানের মধ্যেই কবর। এই কবরস্থানের মধ্যে মাঝে মাঝে জানোয়ারের মত দু-একটি উলঙ্গ মূর্তি দেখা গেল। গতবারের অভাব ও এবারের ম্যালেরিয়া এই দুইয়ের সঙ্গে লড়াই করিয়া এরা বাঁচিয়া আছে – যেন গ্রামের স্মৃতি রক্ষার জন্য।

ভিতর হইতে আওয়াজ আসিল, ‘কি দেখছ বাবা, সব গেছে।’ একটি মেয়ে, তার পাশে একটি শিশু। মেয়েটি তার করুণ কাহিনি বলিতে লাগিল। মেয়েটির স্বামী মারা যায় ম্যালেরিয়ায়। ছেলেটিকে বাঁচাইবার জন্য মেয়েটি আবার বিবাহ করিল। পরপর তিনটি স্বামীই রোগে মারা গেল। চতুর্থবার বিবাহ করিয়াও আজ মেয়েটি নিরুপায়। স্বামী ইহাদের খাওয়াইতে না পারিয়া ১৫ দিন হইল কোথায় চলিয়া গিয়াছে।

(জনযুদ্ধ, ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৫১)

 

কলিকাতার রাজপথে প্রত্যহ বহু লোকের মৃত্যু হইতেছে। কত লোক এই প্রকার শোচনীয়ভাবে মরিতেছে। তাহার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় নাই। ২৯ শ্রাবণ হইতে ২৬ ভাদ্র পর্যন্ত কলিকাতার রাজপথে ৫৫০ জন লোক মরিয়া পড়িয়াছিল এবং ২৮০৫ জন হাসপাতালে নীত হইয়াছিল – সেখানে ৬১১ জন মরিয়াছে। বাংলার বিভিন্ন জিলায় এ-পর্যন্ত অনশনে মৃতের সংখ্যা ৯০৪২ বলিয়া অসম্পূর্ণ হিসাব সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়াছে। … পল্লী অঞ্চল হইতে ৮০ হাজার ক্ষুধার্ত লোক অন্নের আশায় কলিকাতায় আসিয়াছে, তাহাদের ৪০ হাজার নিঃস্ব ও ১৮ হাজার লোক ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিয়াছে বলিয়া সরকারি হিসাবে প্রকাশ। নিরন্ন লোকদিগকে কলিকাতা হইতে সরাইবার ব্যবস্থা হইতেছে। কলিকাতায় লোক মরিলে তাহা একেবারে চাপা দিবার উপায় নাই। তাই কি মফস্বলে লোকচক্ষুর অন্তরালে তাহাদিগকে সরাইবার চেষ্টা হইতেছে? ইহাদিগের অধিকাংশকেই ২৪ পরগনা (প্রায় ৩১ হাজার) আলমডাঙ্গা শিবিরে লইয়া যাওয়া হইবে। তদ্ভিন্ন হাওড়া, ডোমজুড়, জগদ্বল্লভপুর, পতিহাস, মুন্সিরহাট প্রভৃতি ১১টি স্থানে ৫২ হাজার ২শ লোককে কলিকাতা হইতে সরাইয়া পল্লী গ্রামের স্নিগ্ধ শ্যাম বন-বিটপি-বহুল, ম্যালেরিয়া প্রপীড়িত অঞ্চলে লইয়া যাওয়া হইবে। ইহাতে কলিকাতায় এই কুদৃশ্য কতক ঢাকা পড়িতে পারে, কিন্তু আরো লোক যে অন্নাভাবে কলিকাতায় আসিবে না তাহার প্রমাণ কি?

(মাসিক বসুমতী, ভাদ্র ১৩৫০)

– এসব কী হচ্ছে? সিঙ্গম চেঁচিয়ে ওঠে। – জাঁহাপনা, এই কী –

– কী হল? শেহ্রজাদে বলে।

– চলছিল গল্প-কিস্সা। এর মধ্যে হঠাৎ খবরের কাগজ ঢুকে পড়ে কী করে?

রঘুপতি হেসে বলে, ‘সংবাদ মূলত কাব্য, জানো না?’

– অত বড় বড় কথা আমি বুঝি না। বাবা চেরাগ আলি পঞ্চাশের আকালের কিস্সা শোনাবেন বলেছেন।

– এ কী আর যেমন-তেমন কিস্সা! দীর্ঘশ্বাস পড়ে চেরাগ আলির। নিজের মনেই বলতে থাকেন, ‘কী দিনই না গেছে! উপোসি মানুষের চিৎকার – ফ্যান দাও, ফ্যান দাও। রাস্তায় চোখকান বুজে মড়া ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে হাঁটা। ভাবলে আজো বুকের মধ্যে হাঁফ ধরে। এ তো একটাই লম্বা গল্প ভাইসাব – খিদের গল্প। অনাহার আর মৃত্যুর দিনগুলোতে খবরই তো হয়ে উঠেছে গল্প।

প্রায় পঁয়ত্রিশ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল। এদের কোনো গল্প নেই?’

– তাদের গল্পই তো শুনতে চাই। সিঙ্গম বলে।

চেরাগ আলি মিটিমিটি হাসেন। চোখ বুজে সোজা হয়ে বসেন। তাঁর ভেতর থেকে একটা গুনগুন তান ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দুহাঁটু হয়ে যায় ঢোলক। গান ধরেন চেরাগ আলি :

দিনমজুরের ঘরজা যারা,

গত সনে মরেছে তারা

ঘরের ছানি দিব আজ কেমনে

মরে গিয়েও যারা আছে তারাও মরতে বসেছে

অনাহার আর রোগের পীড়নে।

দুইবেলা কেহ খায় না, কেহ কারো পানে চায় না

ভিক্ষা পায় না অন্ধ আতুরগণে

পুত্রকন্যা বেচে পিতা, ছেলের আহার খাচ্ছে মাতা

দয়া নাইকো কারো পরাণে

অন্ন-বস্ত্রে পেয়ে কষ্ট কত সতীদের সতীত্ব নষ্ট

দারুণ এই উদরের কারণে

এখনো লোক জাগিল না কেনে।

– কার গান ফকির সাহেব? রঘুপতি জিজ্ঞেস করে। তার বুকের ভিতরে বাজে ‘পুত্রকন্যা বেচে পিতা, ছেলের আহার খাচ্ছে মাতা’।

– কবিয়াল রমেশ শীল। ভূমিহীন নাপিতের ছেলে, বাবা। কিন্তু দেশ-দশের গান গেয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন। কমুনিস পার্টির সঙ্গেও তাঁদের সম্পর্ক ছিল। কবিয়ালদের তিনি এককাট্টা করেছিলেন – ফণী বড়–য়া, রাইগোপাল দাস আরও অনেকে। কৃষক-কবি নিবারণ প-িতেরও গান আছে। আপনি বিনয় রায়ের নাম শুনেছেন তো? কত বড় কমুনিস নেতা, শিল্পী। তিনিও ক্ষুধার গান লিখেছিলেন, মনে আছে?

শোন ওরে ও শহরবাসী, শোন ক্ষুধিতের হাহাকার

দেশবাসী না এগিয়ে এলে দেশ বাঁচানো বিষম ভার।

– সব আপনার নিজের চোখে দেখা, ফকিরসাব? রঘুপতি সিগারেট ধরায়। চেরাগ আলিকেও দেয়। তিনি সিগারেট ধরিয়ে গাঁজার কল্কের মত টানেন।

– যতটুকু যা মনে আছে। তখন তো আমি পাঁচ-ছয় বছরের ছেলেমানুষ। আব্বা কমুনিস পার্টির রিলিফ টিমের ভলান্টিয়ার ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে বেড়াতাম। আব্বা বলতেন, ‘কিছু ভুলে গেলে চলবে না। সব যেন মনে থাকে।’ বড় হওয়ার পর থেকে মনের ভেতরটা খুঁড়ে-খুঁড়ে দেখি আর দেখা পটগুলো গুটিয়ে রাখি। কিছুই যাতে হারিয়ে না যায়।

– চেরাগ আলি নামটা কে দিয়েছিল?

– আমাদের বংশে কারো না কারো নাম চেরাগ আলি ছিল। সেই কবে একজন ফকির বিদ্রোহে জড়িয়ে ছিল, তারপর থেকেই – চেরাগ আলি ফিরে-ফিরে আসবেনই।

– শোনা যায়, তিনি ছিলেন মজনু শাহের পালিত পুত্র। মজনু শাহের ভাই মুশা শাহকে হত্যা করে তিনিই নেতৃত্ব দখল করেন। মতিগীর নামে এক সন্ন্যাসী নাকি চেরাগ আলিকে হত্যা করেছিলেন।

চেরাগ আলি হাসলেন। – অতশত ইতিহাস জানি না। আমাদের খানদানে চেরাগ আলি একজন বিদ্রোহীর নাম। তিনি বারে বারেই ফিরে আসেন। আসল কথা কি জানেন, ও নামে আমাদের বংশে কেউ ছিল কিনা, সন্ন্যাসী বিদ্রোহে লড়েছিল কিনা, কেউই ঠিকঠাক জানে না।

– সে কী!

– আসলে তো আমরা ছিলাম দাস্তানগোই। দাস্তান শুনিয়ে রোজগার হত। চেরাগ আলি হয়তো তেমনই কোনো দাস্তানের চরিত্র।

– আপনার একটা দাস্তান শোনান। শেহ্রজাদে বলে।

– ওরে বাপ! তোমার কিস্সার কাছে আমার দাস্তান!

– সেদিনের দাস্তান খুব ভাল লেগেছিল আমার।

– আমার নূরের জ্যোতিতে সবই আলো হয়ে যায়। শেহ্রজাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন চেরাগ আলি।

এমন সময় পরপর বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে চারদিক, যেন ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে। রঘুপতি দেখল, শেহ্রজাদের দুই চোখ ত্রাস ও ঘৃণায় কেঁপে-কেঁপে উঠছে।

– সারাকেবে আবার মর্টার থেকে বোমার পর বোমা ছোড়া হল। শেহ্রজাদে কঠিন স্বরে বলল। – ২০১১ থেকে সিরিয়াতে এমনটাই চলছে। সারাকেবে বোমা ফাটা কখনো বন্ধ হয় না। মিলিটারি স্ট্র্যাটেজিক শহর বলে জায়গাটাকে সবসময় অস্থিরতার মধ্যে রাখে আসাদ আর আইএসের সেনারা।

– তুমি এত কিছু জানলে কী করে শেহ্রজাদে?

– নতুন-নতুন কিস্সা যে জমা হচ্ছে। সারাকেব দিনে-দিনে মৃতের শহর হয়ে উঠছে। সেই গল্পটাই শুনুন, ভাইজান।

– এত মৃত্যু! এত অপচয়! চেরাগ আলি ক্ষোভে মাথা নাড়তে থাকে। – না, না, এ চলতে পারে না। আশি বছর ধরে শুধু নানারকম মৃত্যুই দেখছি, নূর।

শেহ্রজাদে মøান হাসল। – সূর্য ওঠার সময়েই সারাকেব তার শহিদদের কবর দেয়। দেরি হলে বা ঠান্ডা না থাকলে, শরীরগুলো পচে যাবে। আগে শহিদদের সমাধি ছিল বাগান, আবার হয়তো কোনোদিন কবরের ওপর ছোট-ছোট গোলাপগাছ পোঁতা হবে। আমজাদ হুসেনকে দেখতে পাই –

– কে সে? রঘুপতি জিজ্ঞেস করে।

– জানি না। একটা মুখ ভেসে ওঠে, আর মনে হয়, ওর নাম আমজাদ হুসেন। তাফতানাজ এয়ারপোর্টের যুদ্ধে মারা গেছে। ভাইজান, ওর মুখটা যেন কখনো হারিয়ে না ফেলি। বিপ্লবের শুরুর দিনগুলোতে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেছি। বিপ্লবের জন্য, দেশের মানুষের সম্মান ও স্বাধীনতার জন্য সিরিয়ার মানুষ যা করেছে, ও যেন তার প্রতিমূর্তি। কিন্তু প্রথম আলাপেই মনে হয়েছিল, আমজাদ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। মাঝে-মাঝে ওর মুখ ভেসে ওঠে, মাঝে-মাঝে ওর  কবর। স্পষ্ট যেন ওর কণ্ঠস্বর শুনতে পাই।

একদিন দুজন লোককে কবর খুঁড়তে দেখলাম। কবরের পাশে একটা কচি গাছ। সমাধিক্ষেত্রের দূরেই শোনা যাচ্ছে বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ। বিপ্লবের পর শহিদদের জন্য নতুন গণকবর তৈরি হয়েছে শহরের মধ্যেই। শহিদদের কবর দেওয়ার ধরনও বদলে দিয়েছে বিপ্লব। বাড়ির উঠোনেই তৈরি রয়েছে সমাধিক্ষেত্র, পার্কগুলোও কবরস্থান হয়ে গেছে। কোথাও দীর্ঘ ট্রেঞ্চ খুঁড়ে গণকবর দেওয়া হয়। বাড়ির পেছনের এক ফালি জমির নিচে শুয়ে থাকে পরিবারের নিহত শিশুরা।

যেমন দোকানপাট, রাস্তাঘাট, তেমনই সমাধিক্ষেত্ররা শহরের মানুষদের সঙ্গেই বেঁচে আছে। একের পর এক ধ্বংসের তা-ব আর মাটির নিচে পড়তে থাকে সিরিয়ার মানুষদের মৃত শরীর।

একজন কবর খনক বলে উঠেছিল, ‘এখানে সবাই যৌবনের দূত’। স্বপ্নের ভেতরে লোকটাকে দেখা যায় না, কথা শোনা যায়। আমি কবরগুলোর মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি, সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছিল। অন্ধকার নামছে। শহরটা যেন হারিয়ে গেছে, ছায়ার মত দেখাচ্ছে। মৃত্যু কি স্পষ্ট এখানে, কত অন্তরঙ্গ। সেই মেয়েটিও এসেছিল স্বপ্নে। তার স্বামী মারা গেছে। দুই সপ্তাহের জননীর সঙ্গে তার মৃত স্বামীর সম্পর্ক বদলে গেছে। সে ফিসফিস করে বলেছিল, ‘এত এত মৃত্যু… সঙ্গে এত ভালোবাসা নিয়ে আসে।’

কে যেন বলেছিল, ‘সমাধিক্ষেত্রে আমরা স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পারি।’ তাই বাড়ির দেয়াল ভেঙে সমাধিক্ষেত্রকেই ঘরের ভেতরে নিয়ে আসছে। আমাদের ছেলেরা যেন শান্তিতে ঘুমোতে পারে। সারাকেবের মানুষ সমাধিক্ষেত্রে ঘুরে বেড়ায় এমনভাবে, যেন ওটাই তাদের বাড়ি। তাই মাটি, এই ধুলো – সবই তো আমাদের সন্তানদের মাংস থেকে তৈরি। আর তখনই আবার বোমার পর বোমা ফাটে। আকাশ ভরে যায় ধুলোয়, নেমে আসে রাত্রি।

– তুমি কে? তোমার নাম কী? রঘুপতি আচ্ছন্নের মত বলে।

– শেহ্রজাদে। সে হাসে।

– অন্য কেউ। কী নাম তোমার?

– সমর ইয়াজবেক। সিরিয়াতে আমি বড় হয়েছিলাম। ইউফ্রেটিস নদীর কাছে রাক্কা শহরের পাশে আল-তবকা। সেই শহরে।

২০১১-এর জুলাইয়ে আমি প্যারিসে আসি নির্বাসনের জীবনে। আসাদের জামানা আমাকে থাকতে দেয়নি। তারপর তিনবার গোপনে ফিরে গেছি দেশে। সিরিয়া কেমন আছে – জানতে, বুঝতে, দেখতে। ছিন্নবচ্ছিন্ন, অঙ্গপত্যঙ্গ আলাদা হয়ে গেছে, মাথা নেই, ডান হাত ঝুলছে।

ফোঁটা-ফোঁটা রক্ত ঝরে পড়ছে মাটিতে। প্রস্তর যুগ থেকে একের পর এক সভ্যতা গড়ে উঠেছে এখানে। সব মুছে দেওয়া হয়েছে। আরামাইক, সেলিউসিড, বাইজ্যানটাইন, রোমান প্রতœতাত্ত্বিক অবশেষে ধ্বংস করা হয়েছে। আলেপ্পো, দামাস্কাসের মত প্রাচীন শহর এখন খ-হর।

– এবার তুমি কী করবে?

– জানি না। আবারো ফিরে যেতে হবে। আর আমার মেয়েটাকে বাঁচিয়ে রাখাই খুব বড় কাজ। একটা নদী ওর ভেতর দিয়েই বইবে।

এখানে, সমাধিক্ষেত্রের সাদা ফলকের পাশে গোলাপ ফুটে উঠতে থাকে।

কৃতজ্ঞতা : প্রয়াত কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়, মধুময় পাল, সমর ইয়াজবেক।