জীবন যখন আমি যেভাবে সাজাই
কেবলই ছবি হয়ে যাই –
অপরাহ্ণের রোদ ক্রমে দীর্ঘ হতে হতে
যেভাবে ছায়া হয়ে যায় – যেভাবে অস্তমিত
সূর্যের আগুন-উৎসবে মিশে যায়
ধ্বংসোন্মুখ ছায়াচিত্র দিন – সেভাবেই;
আকাশে বিছিয়ে-থাকা বৃক্ষের শাখারা
বিছিয়েছে ছায়া পথে পথে –
সেরকম কেবলই ধাবমান মেঘের ছায়ারা
ছুটে যায় বৈশাখী রোদের ভেতর;
আমিও তেমন যেন কোন অনাদি-অনন্ত থেকে
গুহাচিত্র-ছায়াচিত্র – কত যুদ্ধ কত রক্তরং
নাগাসাকির তেজস্ক্রিয়তায় বিমূর্ত জীবনের ছবি!
রয়েছি প্রাচীন দিনের সভ্যতায় – একালেও ধাবমান
ঢেউয়ের মতো ভেঙেচুরে গড়ে নিই প্রাণ –
বেদনা ও মন্বন্তরে তবু মেঘ এলে হই মেঘদূত!
ইলোরা-অজন্তার গভীর গুহার গাঢ় স্নিগ্ধতায়;
অ্যাঞ্জেলো ভিঞ্চির মতো কত শিল্পীর আঁকা ছবিতে
আরো কত কাল স্থির হয়ে আছে –
স্থির – তবু স্থবির নয় – কেবলই তা ধাবমান ছবি ॥