হাঁটো ক্রোশ পথ। তার পরেই
মাঠঘাটভরা দুপুর-ঝিম
বাঁশ-কুটোঘেরা টং-ঘরের
সিঁড়ি বেয়ে নেমে তৎক্ষণাৎ
ডাল-ঝোলমাখা ভাতসুখের
ঠিকানার দিকে দিন হাঁটে
মাটি-রোদে-ঘাসে পোঁদ পেতে
কামলারা বসে গাছতলায়,
খোলা ছাদে বসে কারখানার;
কথা নেই মুখে। রামগড়ুর!
খিদেভরা পেট সব শালার
তামাকপাতা হাতে সক্কলের –
ডলছে, ডলে-ডলে মুঠসমান
গুটলি বানাল চমৎকার
খিদেভরা-পেট সব শালার
খিদেভরা-পেট তাদের বউ
কৃমিভরা-পেট বাচ্চাদের
– কাঁদছে কেন তা জানে না কেউ!
মেঘেদের খুব মায়া হলো –
মাশরুম হয়ে মেঘেরা তাই
হাওয়া ধরে নিচে উড়ে এলো
চোখ-আকশিতে বাচ্চারা
পাড়ল ঝুড়ি-ঝুড়ি অবলীলায়
কে তুমি আঁকছো এই ছবি?
আঁকছো, আঁকো খুব মন দিয়ে
এঁকো না কান্না, হাসি আঁকো!
না থাক অন্ন, না থাক জল
ফাটুক কলকে ঠাস্-ফটাস্!
কলকে ফাটার ধুম লাগুক
এঁকো না কান্না, হাসি আঁকো!
কারখানা-ছাদে, টং-ঘরে
কামলা-কামিনে নাচ করুক
খিদেভরা পেটে গান করুক
মনগড়া সুখে খালপাড়ে
বাঁশকুটোঘেরা টং-ঘরে
থাকুক শয়ান চিৎপটাং
ফাটুক কলকে ঠাস্-ফটাস্
কলকে ফাটার ধুম লাগুক!
ধোঁয়া ছেড়ে ছেড়ে গগনধাম
ধোঁয়া ছেড়ে ছেড়ে গগনধাম
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.