গভীর রাতের স্বপ্নকাব্য

নিঝুম এ-রাতে ঘুম ঘুম চোখে
কে যে একা গান গায় –
গভীর রাতের স্বপ্নকাব্য দুহাত বাড়িয়ে ডাকে।
বকুল-শেফালি মানুষের মতো মানুষের স্বরে কাঁদে –
আদি রূপকথা জমে আছে তারা হিজলতলির বাঁকে।

কপিলাবস্তু নগরীর কথা বারবার মনে পড়ে –
রাজার কুমার সিদ্ধার্থ স্মৃতি হয়ে যায় ঝরে;
উপলব্ধির নয়া ইতিহাস বারবার মনে পড়ে।
এ জীবন জানি পদ্মপাতার জল –
ব্যাধি জরা ও মৃত্যু সত্য তাহার উপরে নাই;
শালবনে ভরা কপিলাবস্তু শাক্যরাজার ঠাঁই।

ঘরে ঘরে কত বিলাসের গাথা
নাচের ঘুঙুর গানের আসন
গণরাজ্যের ন্যায়ের শাসন –
বন্ধু শিল্পী মায়ার বাঁধন সব ছেড়ে যেতে হবে;
জেগেছিল মনে সাধনার বাণী বোধিলাভ হবে কবে?

গভীর নিশীথে একা ছুটে চলে রাজার কুমার –
অশ্ব ছুটেছে অজানার পথে অতি দুর্বার।
অশ্বথ গাছ তাল ও তমাল বুক ভরা আকুলতা
স্বপ্নের পথে ঘুমিয়ে রয়েছে বিষণœ কবিতা
কিন্তু জীবন শেষ হবে বলো কবে?

কোনটি সত্য শেষ বলে কিছু নাই
লোভের মুক্তি কঠিন সত্য সেই পথে ফিরে যাই।

হাজার বছর এই পথ চলা –
হাজার বছর এই কথা বলা;
নিঝুম এ-রাতে স্বপ্নকাব্য দুহাত বাড়িয়ে ডাকে –
দ্বন্দ্বের কথা নয়া দর্শন জীবননদীর বাঁকে।