চরাচরের ঘর

টোকন ঠাকুর

 

এভাবে কবিতা হয় না, লেখাপড়া শিখে

নিরক্ষর ভাঁটফুলও জানে

 

তাকালেই দিগন্ত দেখা যায় না

দিগমেত্মর দিকে যেতে হয়

 

ফুল ফুটবে বনে, ঘ্রাণ তো ছাপাই হবে না

পাঠ্যবইয়ের বাইরে যাদের পাঠ্যবই বেশি

তারাই উৎসাহিত হবে বা উৎকর্ণ হবে :

সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের ভেতর থেকে

উড়ন্ত শালিখের ডাক শোনা যায় কিনা!

 

যদি যায়, যদি মেঘ এসে সভাপতিত্ব করে

যথাসময়ে, এই আধো-আলো সাহিত্য সংঘে

যদি বালিকার দুরুদুরু বক্ষে নাচে ব্রহ্মপুত্র

যদি স্বপ্ন দেয় উড়ুউড়ু উসকানি কিংবা প্ররোচনা

তবেই না কবিতামুখী হাওয়া-ধাক্কায় ভেসে যাবে

 

চরাচর, সেই চরাচরেই খুঁজতে থাকব আমার ঘর