জলধি হালদার
অতিকায় তিমিরা যেখানে লেজ উলটে দেয়
হাঙর ও হারিকেনের খতরনাক কামড় ওত পেতে থাকে
নেকড়ের ক্ষিপ্রতায় ঘোরাফেরা করে জলদস্যুরা…
বাঁ-কাঁধে ঝুলছে ওয়াকিটকি, ডান হাতে টর্চ, সুনসান রাতে
এপি ওয়াচের সামুদ্রিক নৈঃশব্দ্যে ঢেউয়ের মাথায়
ভেসে ওঠে কবেকার হারিয়ে যাওয়া কলম্বাসের টুপি।
গ্রহ-নক্ষত্রের ছায়াগুলি
রাতের থমথমে জলে ভাঙা অক্ষরে কী যেন লেখে, অনবরত লেখে
ভাসমান নাবিকটি পড়তে পারে না।
আকারে-ইঙ্গিতে জেনে ফ্যালে, ভরা পূর্ণিমায়
তার ছাপা শাড়িপরা বাড়ির উঠোনে চাঁদ
পুণ্যি করতে আসে।
নাবিকটির শরীরে ফুটে ওঠে গত শ্রাবণের চিহ্ন
নোনা হাওয়ায় বংশলতিকার ভূর্জপত্র থরথর কাঁপে
যে-পূর্বপুরুষেরা কোনোদিন সমুদ্র দ্যাখেনি।
এপি ওয়াচের ঘণ্টা-মিনিট ইলাস্টিক হয়ে যাচ্ছে
খামচে ধরছে ক্লান্তি, এখনই সে
ঘুমিয়ে পড়বে লম্বা-চওড়া ডেকের যে-কোনো ফিটিংসের নিচে।
ছেলেমেয়ে ঘুম পাড়িয়ে নাবিকের বউ ঘরমোছা ন্যাতা দিয়ে
চাঁদের কালি মোছে, বারবার মোছে
স্বপ্ন দ্যাখে, ভরা পূর্ণিমায় চাঁদের তিনচাকা রথে স্বামী বাড়ি ফিরে আসছে।
* এপি – অ্যান্টি-পাইরেসি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.