আমি মোবাইল ফোন বন্ধ করে চার্জ দিলে তুমি খুব টেনশন

করো। কক্সবাজার থেকে ফিরতে কখনো দেরি হলে আগ্রাবাদ

থেকে চলে আসো চিটাগাং ক্লাব। আমার খোঁজ না পাওয়া

পর্যন্ত তোমার অস্থিরতা কমে না, কমে না।

আমি যেই চেরাগী পাহাড় মোড়ে ঢুকি, আমি যেই কাজীর

দেউড়ী এসে কবুতর ওড়ানোর গল্প বলি, ফ’য়স লেকের

ভোরবেলা আর আসকার দিঘির পাড়ের মিষ্টি নির্জনতা নিয়ে

কথা বলি তুমি তখন খুশিতে মাতোয়ারা।

আমার সাথে সেলফি তুলতে তুলতে বলো – পাগলা, এ

চিটাগাং শহর তো তোমারও। তুমি সারাক্ষণ চিটাগাং থাকতে

পারো না? আমার চোখের সামনে থাকতে পারো না?

তোমার মধুর ইচ্ছায় গা ভাসিয়ে দিই কখনো সখনো।

টেকনাফ, রাঙামাটি, বান্দরবানের উজ্জ্বলতা চোখেমুখে মাখি।

আর তখন বাতিঘরের বারান্দা ভালোবাসা দিবসের উৎসব নিয়ে দারুণ আড্ডা জমায়।