চুল্লির আগুন নিভে গেলে ফিরে আসুন

অমর মিত্র

১৯৩৯-এর ৫ মার্চে দূরউত্তর বিহারের ভাগলপুরে দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম। ৭৯ সম্পূর্ণ করে ৮০-তে পা দিতেন দুমাস বাদে। চলে গেলেন। ভাগলপুর বহু কৃতি ও শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্ম দিয়েছে একসময়। উত্তর বিহারের পূর্ণিয়া, ভাগলপুর এবং দ্বারভাঙা ছিল কৃতি বাঙালির উপনিবেশ। তপন সিংহ, সুমিত্রা দেবী, ছায়া দেবী, কিশোরকুমারদের বিখ্যাত গাঙুলি পরিবার ভাগলপুরের। আর গিয়েছেনই বা কতজন। বিভূতিভূষণ ভাগলপুরেই গঙ্গাতীরে বড়বাসায় একটি বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িতে নিয়ে গেলেন আমাদের। বললেন, ওখানে বসেই তিনি লিখেছিলেন পথের পাঁচালী। ভাগলপুরে থেকেই তিনি পাথুরিয়াঘাটার খেলাৎ ঘোষ মশায়দের জমিদারির নায়েবি করতেন। এদিকের জমি বন্দোবস্তর অভিজ্ঞতাই তাঁকে দিয়ে পরে আরণ্যক লিখিয়ে নেয়। দ্যাখো, এই সেই গঙ্গাতীর, শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাসের আরম্ভ এখানে। ওই দ্যাখো শরৎচন্দ্রের মামার বাড়ি, এইটা সেই বাংলা স্কুল যেখানে শরৎবাবু পড়তেন। এই হলো বনফুলের বাড়ি। তাঁকে আমি জেঠামশায় বলতাম। আরো কত কী আমাদের চিনিয়ে দিয়েছিলেন দিব্যেন্দুদা। বনফুলের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দিব্যেন্দুদার শহর ভাগলপুরে গিয়েছিলাম আমরা অনেকে। দিব্যেন্দুদা এবং কল্যাণী বউদি ছিলেন, মনোজ মিত্র ছিলেন, ভগীরথ মিশ্র, নলিনী বেরা, আমি সপরিবারে। সে ছিল এক আশ্চর্য ভ্রমণ। তাঁদের পরিবার তখন ভাগলপুরের বাস উঠিয়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন শহরে, পাটনা, দিল্লি, কলকাতায় বাস করছেন। কিন্তু আমরা যেন তাঁরই অতিথি হয়ে ভাগলপুরে গিয়েছিলাম। ভাগলপুরের কথা বলতে বলতে তিনি উজ্জ্বল হয়ে উঠছিলেন। ভাগলপুরের কথা তাঁর চেয়ে কে বেশিই বা আর কে বলতে পারত আমাদের? দূরপশ্চিমের এই শহর থেকে গল্প পাঠিয়েছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে। ১৯৫৫-র ৩০ জানুয়ারি ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে সেই গল্প, ‘ছন্দপতন’, ছাপা হয়েছিল। শুনলে কেমন রূপকথার মতো লাগে যেন। লিখবেন, লিখতে চান, তাই
পিতৃবিয়োগের পর ভাগ্যান্বেষণে তিনি কলকাতায় আসেন। ভাগ্য অন্বেষণই যেন। লেখক তো একদিনে হয় না কেউ। সে এক বড় অনিশ্চিত যাত্রা। অভাবী যুবকের মনে লেখার বাসনা আর মা ভাইবোনদের জন্য ভাবনা, হাতে কানাকড়ি নেই, শিয়ালদা স্টেশনে না খেয়ে দিন কেটেছে, অন্ধ হতে হতে বুদ্ধদেব বসুর স্নেহময়তা তাঁর চোখ ফিরিয়ে দিয়েছিল – কত কথা শুনেছি এই আত্মমগ্ন মানুষটির কাছ থেকে। একবার তিনদিন ধরে আমরা তিনজন, অরিন্দম, রজতেন্দ্র ও আমি তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম এক ইন্টারনেট ম্যাগাজিনের জন্য। কত কথাই না বলেছিলেন। তাঁর জীবন গেছে নির্মম সত্যকে স্পর্শ করতে করতে। তিনি আদ্যন্ত নাগরিক মননের লেখক। আর তিনি মধ্যবিত্তকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন এমন এক আয়নার সামনে যে-আয়নায় সে তার অন্তরাত্মা দেখে মুখ নিচু করে থাকে। তাঁর কণ্ঠস্বর উঁচু নয়। নিম্নস্বরে কথা বলা তাঁর গল্প থেকে শেখা যায়। যিনি দেখেছেন অনেক, তাঁকে উঁচু গলায় কথা বলতে হয় না। অনুচ্চ কণ্ঠস্বর যে কত তীব্র হতে পারে, মিতভাষণ যে কত কঠিন সত্যকে উচ্চারণ করতে পারে, তা দিব্যেন্দু পালিতের গল্প আর উপন্যাস পড়লে শেখা যায়। নগরসভ্যতা মানুষের মনের যে-জটিলতা যে-অসহায়তা যে-নিরুপায়তাকে ধারণ করে তা দিব্যেন্দু পালিতের গল্প আর উপন্যাসে রয়ে গেছে। সহযোদ্ধা, আমরা, অনুভব, ঘরবাড়ি, সোনালী জীবন, ঢেউ, বৃষ্টির ঘ্রাণের মতো উপন্যাস ও ‘জেটল্যাগ’, ‘গাভাসকার’, ‘হিন্দু’, ‘জাতীয় পতাকা’, ‘ত্রাতা’, ‘ব্রাজিল’, ‘আলমের নিজের বাড়ি’, ‘মূকাভিনয়’, ‘মাইন নদীর জল’, ‘মুখগুলি’, ‘গাঢ় নিরুদ্দেশে’ – গল্পের পর গল্পের কথা মনে পড়ে। আপাদমস্তক এক রুচিশীল স্নেহময় মানুষ, যত না লিখতেন, পড়তেন অনেক বেশি। সহযোদ্ধা উপন্যাসের কথা মনে পড়ে। সেই যে ঘটনা ঘটেছিল সত্তর দশকের এক কালো সময়ে, একটি হত্যাকা- দেখে মানুষটি চুপ করে থাকল না, পুলিশের জেরা, পুলিশি আতংক তার নিজের ওপর আস্থা নষ্ট করতে পারেনি, যা চোখে দেখেছে সে, তা অবিশ্বাস করবে কী করে? সত্যভাষণে অগ্রসর হলো। পুলিশ তাকে নিজের হেফাজতে নিল। হত্যাকা– যে পুলিশই জড়িয়ে ছিল। সহযোদ্ধা উপন্যাসের একটি বাস্তবতা ছিল সাংবাদিক বিপস্নবী সরোজ দত্তের অন্তর্ধানে, সেই ভয়ানক নিরুদ্দেশের কথা কীভাবে উপন্যাসে শিল্পিতভাবে লিখে রাখা যায়, তা তিনিই দেখিয়েছিলেন। এমন উপন্যাস লিখে তিনি তাঁর দায় পালন করেছিলেন যেন। আর একটি উপন্যাসের কথাও মনে পড়ে, ন্তর্ধান। তপন সিংহ ছবি করেছিলেন। তারও এক বাস্তবতা ছিল এক কিশোরীর অপহরণ এবং তাকে খুঁজতে খুঁজতে তার বাবার অদ্ভুত মৃত্যু, ঘটমান বাস্তবতা এবং শিল্পের বাস্তবতাকে আমরা একসঙ্গে ছুঁয়ে থেকে ছিলাম। নিশ্চুপ মৃদুভাষী মানুষ, কিন্তু ভেতরে যে কতটা আগুন ছিল, কোলাহল ছিল তা সহযোদ্ধা পড়লে ধরা যায়। ন্তর্ধান উপন্যাসে বোঝা যায়।

দিব্যেন্দুদার সঙ্গে প্রথম পরিচয় আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়র ঘরে। সম্পাদক রমাপদ চৌধুরী। দুজনেই খুব গম্ভীর মানুষ। আমাকে বললেন, পড়েছি লেখা, ভালো। এই পর্যন্ত। রমাপদ চৌধুরীর ঘরে যে-আড্ডা হতো তা ছিল শুধুই সাহিত্যের। আমি চুপ করে অগ্রজ বড় লেখকদের কথা শুনতাম। অনুধাবন করতে চাইতাম তাঁদের কথা। কথা শুনতে শুনতে শেখা। দিব্যেন্দুদা আলব্যের কামু ও ফ্রান্জ কাফকার কথা বলতেন। আউটসাইডার, প্লেগ, মেটামরফোসিসের কথা বললেন একদিন। তিনি অনুজপ্রতিম তরুণ লেখকদের বলতেন, বিশ্বসাহিত্য বদলে দিয়েছেন এই দুই লেখক, এঁদের পড়ো। পড়েছি তখন, খুব বেশি নয়, সামান্য; কিন্তু সামান্য পড়ে কথা বলার চেয়ে শোনাই ভালো। ১৯৮২-৮৩ হবে। তাঁর ঘরবাড়ি উপন্যাসটি বেরিয়েছে তখন। একটি আত্মহত্যার কাহিনি ছিল তা। বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল বধূটি। পড়ে স্তম্ভিত হয়েছিলাম। এরপর পড়ি ঢেউ। তারপর সহযোদ্ধাসহযোদ্ধা আগেই লেখা, পরে পড়া। যা লিখেছেন এই কলকাতাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সে-লেখা কখনোই নিরুপায় মানুষকে বাদ দিয়ে নয়। একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ভাগলপুর নিয়ে লেখেননি কেন কোনো উপন্যাস? হেসেছিলেন। জবাব দেননি। ভাগলপুরে জন্ম। কলকাতায় এসেছিলেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। লেখক হবেন।

আমি বছর-পঁয়ত্রিশ আগে লেখা তাঁর একটি গল্পের কথা বলি। ‘মুখগুলি’। কোনো কোনো গল্প পাঠকের হৃদয়কে এমনভাবে ছুঁয়ে যায় যে সে ভোলে না, ভোলে না কিছুতেই। আর দিব্যেন্দু পালিত যেন সময় থেকে সবসময়ই এগিয়ে ছিলেন কয়েক পা। ‘মুখগুলি’ গল্প যখন বেরোয় তখন ওল্ড এজ হোমের ধারণা তেমন স্বচ্ছ ছিল না আমাদের কাছে। সবে তা আসছে এই শহরে, শহরতলিতে। মা গেলেন ওল্ড এজ হোমে। বাবার মৃত্যুর পর মা তাঁর ছেলেমেয়েদের ভেতরে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন একটু একটু করে। ভাগ হয়ে কখনো বালিগঞ্জ, কখনো ভবানীপুর, কখনো বাগবাজার, কখনো রিষড়ায় ঘুরে ঘুরে আশ্রয় পান। কিন্তু তারপরও মা হয়ে যাচ্ছিলেন ভার। মায়ের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাচ্ছিল যে তা টের পেয়েছিল তাঁর পুত্রকন্যারা। তাই গোলটেবিলে বিচার হয়ে গিয়েছিল মা সুধা ওল্ড এজ হোমে যাবেন। সুধা কোনো অনুযোগ করেননি। গভীর রাতে দিবাকরের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল, সে মায়ের ঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল, স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি কুঁকড়ে শুয়ে আছে মা। মিলিত সিদ্ধামেত্ম মা সকাল হলে চলে যাবেন। মা গিয়েছিলেন। মাকে সেখানে রেখে দিয়ে আসতে পেরে সবাই নিশ্চিন্ত। দিবাকর মাকে কিছু খাম, পোস্টকার্ড আর ড্রাইভারের কাছ থেকে চেয়ে তার সস্তার ডট পেনটি দিয়ে এসেছিল। সুধা চিঠি লিখবে। সুধার চিঠি আসে। সেই চিঠির কথা দিয়েই গল্প আরম্ভ। পরম কল্যাণীয় স্নেহের বাবা দিবাকর …, মা সকলের কুশল জানতে চেয়েছেন, নাতি নাতনি, বউমা। মা খবর দিয়েছে হোমের কৌশল্যাদি নামে একজন মারা গেছে। তাঁর ছেলে থাকে বিলেতে, মেয়ে বাচ্চা হওয়ার জন্য হাসপাতালে। কেউ আসেনি। হোমের ওরাই তাকে কালো গাড়ি করে শ্মশানে নিয়ে গেছে। মা খবর দিয়েছে, রানি পরমেশ, মেয়েজামাই, তাকে দেখতে এসেছিল। কমলালেবু আর আপেল এনেছিল। ছোট ছেলে ভাস্কর এসেছিল মাকে দেখতে। মায়ের ওল্ড এজ হোমে আর এক কন্যার চিঠি এসেছে। মা সেখানে বসেই বড়ছেলে দিবাকরকে অনুনয় করে ছোটছেলে ভাস্করকে একটা ভালো চাকরি জুটিয়ে দেওয়ার জন্য। মায়ের চিঠি পড়েই ধরা যায় মা ভালো আছে। হোমে সকলেই গিয়ে যোগাযোগ রাখছে মায়ের সঙ্গে আগের চেয়ে বেশিই। দিবাকর গিয়েছিল হোমে মাকে দেখতে। সারি সারি বেতের চেয়ারে বসে আছেন যাঁরা বেশিরভাগই বৃদ্ধা। বৃদ্ধও আছেন দু-একজনা। তাদের একজনকে মা বলে ভুল করেছিল দিবাকর। পরে ভুল ভাঙল। মায়ের ভিজিটর হয়ে সে বসেছিল ভিজিটরস রুমে। মায়ের সঙ্গে তার যে তেমন কোনো কথা ছিল না তা টের পেয়েছিল দিবাকর। মা বলেছিল, ‘খুব ভাল আছি আমি, আমার জন্য ভাবিস নে।’

দিব্যেন্দু পালিতের এই গল্প ক্রমশ ডুবিয়ে নিতে থাকে আমাকে তাঁর মগ্নতায়। মায়ের সঙ্গে বেশি কথা বলতে পারে না দিবাকর। মায়ের অনেক জিজ্ঞাসা, হুঁ, হাঁ করে উত্তর দিয়েই সে হোম ছেড়ে আসে। কদিন আগে কারা যেন মাকে কমলালেবু আপেল দিয়ে এসেছে। দিবাকর তাই কিছু নিয়ে যায়নি। মা একা আর কত খাবে। ফলগুলো পচবে। মায়ের চিঠি আবার আসে। এই চিঠিতেও হোমের আর একজনের মৃত্যুসংবাদ, গিরীনবাবু মারা গেছেন। … মায়ের চিঠিতে আসলে সত্য যেমন থাকে, থাকেও না। তাঁর কাছে কেউ যায় না তেমন। দিব্যেন্দু পালিত আমাদের মুখের সামনে এক আয়না ধরেছেন। এই গল্পের কথা সারা দুপুর মনে করতে পারছিলাম না কেপিসি হাসপাতালে। অথচ গল্পটি বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিল। আইসিইউ থেকে রাতের ঘুম ঘুমোবেন যে হিমশীতল গৃহে, সেখানে যখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, মনে পড়ছিল নিঃসঙ্গ সুধা মায়ের কথা। ‘মুখগুলি’ আমি ভুলতে পারিনি এখনো। দুপুরের খাবার পর মায়ের বুকে পেন হয়েছিল তারপর …। এই গল্পে যেন পুত্র দিবাকরও এক নিরুপায় মানুষ। মা নিরুপায় হয়েও সবকিছু মেনে নিয়েছেন। ছেলেদের কথা ভেবেছেন, পুত্রকন্যাদের নিষ্ঠুরতাকে আড়াল করেছেন। আড়াল করে নিজের কল্পিত সুখ আহরণ করেছেন। গল্পটি যতবার মনে করি আর্দ্র হয়ে পড়ি। গল্পের মুখগুলি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। ভেসে ওঠে সারি সারি বেতের চেয়ার, অস্পষ্ট মুখগুলি তাকিয়ে আছে গেটের দিকে। গেট পেরিয়ে রাস্তা। ধুলো উড়লে মেঘ ঘনাত, সন্ধে হতো তাড়াতাড়ি। ওখান থেকে মায়ের মুখটি মুছে গেছে আজ। এই গল্প আমার স্মৃতি থেকে মুছবে না এক বিন্দুও। দিব্যেন্দুদা আপনার ভালোবাসা পেয়েছি। স্নেহ পেয়েছি। আমি কেন, আমাদের সময়ের অনেকে। আমাদের পরবর্তীকালের লেখকরাও। লেখা আর বন্ধুতা নিয়ে আপনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন। লেখকের মৃত্যু হয় না। আমি এখন ‘মুখগুলি’র পাতা খুলছি। খুলতে খুলতে আমার চোখ ভিজে যাচ্ছে। এবার মনে হয় শীতটা বেশিই পড়েছে। হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে। তাই হয়তো চুল্লির আগুনের দিকে অতিবিভ্রমে যাওয়া। দিব্যেন্দুদা, পিনাকী, মৃণাল সেন, নীরেন্দ্রনাথ … পরপর। আগুন পোহাব, ওগো আগুন পোহাব। আগুন নিভে গেলে ফিরে আসুন দিব্যেন্দুদা, পিনাকী ঠাকুর …।

মৃত্যুকে অমান্য করবে কে? কিন্তু লেখকের তো মৃত্যু নেই। দিব্যেন্দুদা আপনাকে বারবার পড়া হবে। আপনি সহযোদ্ধাই ছিলেন আমাদের। সহযোদ্ধার প্রয়াণ হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধটা তো শেষ হয়নি।