জঙ্গলের গান

তুষার কবির

বিকেলের ঘুঘুডাক শুনে শুনে পৌঁছে যাই সেই সুরের তাঁবুতে। একটু আগেই দেখে এসেছি আমি ঝাপটানো ময়ূরীর ডানা – শুনে এসেছি ঘোড়ার খুরের ধ্বনি আর বনডাহুকির ডাক। কয়েকটি ডুমুরের দানা হাতের মুঠোয় নিয়ে আমি ঢুকে পড়ি সুনসান নিঝুম তাঁবুতে! একটু আগেই দেখে এসেছি আমি পোখরাজ সাপের বাঁকানো লেজ – শুনে এসেছি দোয়েলের সেরেনাদ আর কোটরের টিয়াডাক! পাতা ও পতঙ্গের গান শুনে শুনে শুয়ে আছি তাঁবুর ভেতরে – জঙ্গলের মৃদঙ্গ বাজবে কিছুক্ষণ পর – সন্ধে নামার সাথে সাথেই – তারও কিছু পরে সেই গান বেজে উঠবে পাহাড়ের বিশদ চূড়ায় – ছুটে আসা হাওয়ায় হাওয়ায়! মাঝরাতে
এ-জঙ্গলে বাঘিনীর নরম মাংসের ঘ্রাণ পেয়ে ছুটে যাচ্ছে এক নিশাচর বাঘ – বাঘের পায়ের ধ্বনি শুনে আমি জেগে থাকি মায়াবী তাঁবুতে – রক্তমাংসে তোমাকে পাব এ-স্বপ্নে সারাটা রাত কেটে যায় ঘুমঘোর তাঁবুর ভেতরে।