জলে ভরা মেঘের দিকে

সুহিতা সুলতানা

(কবিতার মতো অনিবার্য মাকে)

 

জীবনের লম্বা দৌড়ে আমি বরাবরই পিছিয়ে থাকি। চোখের ওপরে

ভেসে ওঠে ডোরাকাটা বাঘ! যেদিন ভাঙা শামুকে পা কেটে গিয়েছিল

সেদিন থেকেই ভাবি আমি কেন এদেশে জন্মালাম? সারাক্ষণ পেছনে

হাঁটতে থাকে দাঁত ও চোখের তীব্র শাসন। সন্ধ্যা নেমে এলে বড় বেশি

নিঃসঙ্গ হয়ে উঠি আমি! এ-শহরে কোনো খরস্রোতা নদী নেই, যেখানে

নদীর জলের সাথে দুচোখ ভিজিয়ে নেয়া যায়! অতএব নিরাপদ মনের

বন্ধু বলতে সবুজ বৃক্ষের সারি। রাতে বিদ্যুৎ চমকালে নির্ভয়ে বারান্দায়

গিয়ে দাঁড়াই, অঝোরে ঝরা বৃষ্টিগুলো ছুঁয়ে দেখি! জলে ভরা মেঘের দিকে

তাকানো যায় না; অনেকদিন আগে, যখন মার পাশে বসে থাকতাম

মা বলতেন, আমি যখন থাকবো না – তখন ধু-ধু মাঠ, অরণ্যের ভেতরে

সকল বিপদসংকুল পথে তোর সাথে আমি থাকবো! কবিতার মতো অনিবার্য

মাকে আমি এখন সারাক্ষণ খুঁজে বেড়াই … মার অস্তিত্ব বলতে স্মৃতিগুলো

একমাত্র! জন্মের ঋণ আমাকে থামিয়ে দিয়েছিল গণ্ডির ভেতরে, দৃশ্যকাব্য

বলতে অরণ্যবাড়ি আর পাখি হয়ে গভীর সমুদ্রের মুখোমুখি বসে থাকা