কোথায় সেই রাজকুমার
পঙ্খিরাজ ঘোড়া,
সাত সাগর পেরিয়ে যায়
তীব্র ক্ষুর জোড়া।

বন-বনানী তেপান্তর
আসছে ওই ঘোড়সওয়ার।
কাঁপছে দূর পাষাণপুর,
বছর যায় যুগান্তর;
ছুটছে তবু ঘোড়সওয়ার।

গভীর বন রাত্রি হয়,
অন্ধকার কি নির্দয়।
রাক্ষসের তীক্ষè নখ;
তীব্র হয়-দাঁতের ধার,
পাতায় পাতায় অন্ধকার,
লুকোতে চায় রাজকুমার।
বনের গাছ-পক্ষ নেয় –
বুক চিরে তার জায়গা দেয়।
হাঁউ মাঁউ খাঁউ বিশ্রী স্বর
শুনতে পায় রাজকুমার।
ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমির,
আলাপ শোনে পরস্পর।

বন পেরোলেই তেপান্তর,
অদূরে এক লোহার ঘর।
রাজকুমারীর মৃত্যুঘুম,
ভাঙিয়ে দেবে রাজকুমার।
জিয়নকাঠি-মরণকাঠি,
জাগবে দেশ দেশের মাটি।
জাগবে সব পাথর প্রাণ,
মাতৃভূমির অনুধ্যান।

লক্ষ বছর রুদ্ধদ্বার,
গুঁড়িয়ে দেবে রাজকুমার।
ধূর্ত কাক কুশ্রী স্বর,
মাঠ পেরুলে তেপান্তর।
গুঁড়িয়ে দেবে দৈত্যদ্বার,
সিংহবেশী রাজকুমার।

রাজকুমারীর ভাঙছে ঘুম,
চতুর্দিকে খুশির ধুম।
ভাঙছে দ্বার অন্ধকার,
মাঠ পেরোলে তেপান্তর
অনেক দূর সমুদ্দুর
ভাঙছে পথ অশ্বক্ষুর।