মোস্তাক আহমাদ দীন
নৈরাজ্য
শিঙের বিকার দেখে বালক বিস্মিত আর, আড়ালে, মাথা নত
হয়েছে আমার
বনবালিকারা দেখে-বুঝে নেয় চর্যা ছাড়াই আমি কোন ধর্মে বনপালয়িতা
কারো পোড়া ঠোঁটে আর কোনোদিন বাজবে না বাঁশি
হরিণের পাল ধায় – কেন ধায়? – সেই বাঘ-পথরেখা ধরে
শিঙের তাৎপর্যে আজ পাতা-ঢাকা, লতা-ঢাকা, বর্ম-ঢাকা
হয়েছে হৃদয়
বিলগাছ
একা-একা মাটিতে রয়েছে, নাকি সেই দৃশ্যমতে
দেহ তার টলমল, কাদায়-দাঁড়ানো
পাশ ঘেঁষে বয়ে যায় জল
মাথার ঝাঁকড়া চুল আকাশের প্রতি ওই ঝিরিঝিরি ওড়ে
দেখে-দেখে মন্দছন্দে বয়ে যায় হাওয়া
আরেক উজানি নাও পাশ ঘেঁষে যায়
দুই
‘যদি বাগানের দিকে চলো
কিংবা দূর জঙ্গলের দিকে
ও উজানি নাওয়ের মাঝি,
মোর সখা কানুরে বলিও
দেহ থেকে ঝরছে বাকল,
আমার কলঙ্কদোষে আজ
শাদা জল হয়ে গেছে লাল’
জলে ও নদীর তীরে লেগে আছে দাগ
উজান দেশের নাও ধীরে ধীরে যায়…
বিপথিনী
তুমি রাঁধো, আর,
চুল বাঁধবার গূঢ় ছলে, দীর্ঘ নখে
ছিন্ন করে দিয়েছ বাতাস
আর খন্ড-উড়ানের আয়ু দিয়ে
রান্না করে ফেলেছে জীবন
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.