হারিসুল হক
যদি আজ রাত জাগি কটা চাঁদ টোকা দেবে আমার কবাটে?
কটা নদী খুঁজে পাবে উৎস-প্রপাত তার নিজ বনে!
কটা পাখি উড়ে যাবে মেঘের ছায়ায় নিগূঢ় মায়ায়!
মেঘল ছায়ার মতো স্মৃতির প্রদীপ জ্বলে নেভে সে কোন প্রচ্ছন্ন দ্বীপে?
জলার সীমানা ঘেঁষে অপসৃত সেইসব চরণধ্বনি যেন ফের ফিরে আসে
চৈতন্যের বিহবল রথে কেশর দুলিয়ে।
আহা আমি বুঝি আমার ভিতরে এক জ্বলন্ত অগ্নিগিরি রেখেছি গোপনে
কাকতাড়ুয়ার ছাইভস্মে ঢেকে।
আমার ভিতরেও মাঝে মাঝে নড়ে ওঠে রক্তিম হ্রদ
সাঁঝের ঝোঁপের মতো ছায়াচ্ছন্ন কুহক আঁধারে।
শতমুখী ফোঁড়ার মতো কিছু বোধ দুর্দান্ত টাটায়
ব্যক্তিগত তরল সময়ে।
তবু কী এক আশ্চর্য তপে চোখ বুঁজে আমি হু হু প্রান্তরে
সাদা এক মেঘের প্রতীক্ষায় আঁজলা পেতে মাটিতে আসীন।
কেনই যে পঞ্জরাস্থি কেঁপে ওঠে দারুণ হুতাশে
দলছুট মাছের মতো দিগ্বিদিককে ছোটে রক্তবিবরে!
অতীতের ঘাস ক্রমে বাড়তে থাকে সণায়ুতন্ত্র জুড়ে
কণ্টকাকীর্ণ ক্যাকটাস আদলে।
নিঃশ্বাস গভীর যদিও দীর্ঘ এক মৌন শ্বাসে
দুলে ওঠে উল্টো নদী কেন, কী সে উচ্ছ্বাসে?