দীর্ঘ সমতলের এই বনদেশ, কুয়াশায় সুস্নাত থেকেছে এতকাল –
মুক্ত শিশির ঝরেছে, স্বপ্নসাধের পাখিদের দেশে, অজানা বিপুল –
প্রবীণ বৃক্ষের ছায়া একাকী রেখেছে ঘিরে, ঘন আর্দ্র ভূমি …
এখানে নৈঃশব্দ্যের বেলায় নেই আজ কোথাও চেনা যাপনের ভুল।
ছিন্নমূল মানুষের সঠিক ঠিকানা থাকে না এখানে কখনো –
আমি নই সমগোত্রীয় কেউ, দেহাতের এই সকরুণ ছায়ায় –
এপথ অভ্রান্ত থেকেছে এলোমেলো বহুকাল, বনবিতানের কোলে …
জনউপকূল, উপোসি মাহুত ফিরেছে আড়ালে নীল অরণ্যপাড়ায়।
সুভাষিণী বাগানের ছায়া গাছে ফিরে আসে হরিতালের ঝাঁক –
নষ্ট শীতকালে পাখিদের উড়ান থামে ঋতুকালীন শস্যের বাগানে –
সচ্ছল প্রবাহ, বাতাসের টানে উড়িয়ে নিয়েছে দূরে বর্ণহীন ঘুড়ি –
ছেঁড়া পোশাকে বে-সামাল মাহুত ফেরে প্রেয়সীর ঘরে, সুখী সে পরানে।
নীলপাড়া অরণ্যের সমতট ছুঁয়ে আছে উজানী বর্ষার জলজ ভুবন –
হতশ্রী দিনের শেষে মেঘ এসে ঢেকে নেয় আকাশের ভাঙা রামধনু;
অসময়ে পাখিদের দেশে সারারাত অঝোর বৃষ্টি ছিল, আলাপী প্রহরে –
মেঘমেদুরের দেশে ভেজা চাঁদ ছড়িয়েছে এসে আজ জ্যোৎস্না সতনু ॥
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.