বেহাগে প্রিয়তমা শুদ্ধউত্তম,
দিয়েছে শ্রবণে সফল বিস্তৃতি।
ভাবছি নিষ্কৃতি, কিছুতে দোষ নেই।
নারী ও সংগীত যমজ সহোদরা,
হঠাৎ দ্বিধারী, এবং দূরতিথি।
গ্রীবায় বিব্রত হেলানো তানপুরা।
কাহারবা হতে পারে মুহূর্তেই,
অথবা গায়নে স্পর্শী ভৈরবী।
মৌনরাত্রির ক্লান্ত দুঃখ বাজলো কেদারায়।
পলাশ হাতে নিয়ে মেজাজে দাদরা,
পাথর পথে কবি সমুখে দেখছে
পৃথিবী কাঁদছে, ভিতরে আমরা।
যখন ডাক দিই মথুরা সাড়াহীন,
শুকনো পাতাগুলি ধুলোতে এস্রাজ।
কখন টপ্পা? মগ্ন নিধু বাবু।
কখন ঠুমরি? ‘জোছোনা করেছে আড়ি।’
মধ্যরাত্রি। ভুলেছি নিজবাড়ি।
অচেনা বৈদেশ বিশেষ টংকারে
ভাঙছে চিহ্ন, আমার পদাবলি;
মানস বিক্ষত ভিন্ন মুদ্রায়।
সঙ্গ-শৃঙ্খলা দেয়নি শাশ্বতী,
সুরের হৃদি খোঁজে নেই যে স্বরলিপি।
এতোটা দূরে ছিলে ছিন্ন বেহালা!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.