তোমার নোটেশনগুলো বড় বিপজ্জনক
শব্দে-সুরে, রঙে-রসে তার যত স্তুতিই হোক
সে কেবল এক সুন্দরের প্রপঞ্চ – ধ্বংসযজ্ঞে
আত্মাহুতির প্রণোদনা; তোমার ভ্রুকুটির বিদ্যুচ্চমকে
যতবার আমার জগৎ আনন্দে উদ্ভাসিত ততবার
আমার মাথায় বাজ পড়ে। বস্তুত তারা বড় প্রোভোকেটিং
তোমার ওষ্ঠ, স্তন, ঊরুসন্ধির অতল স্পর্শ আমায়
স্বর্গে নেবে এমন নোটেশনে প্রলুব্ধ আমি বারবার
খুনোখুনিতে জড়াই – তার পাপে শেষে আমার
নরকবাস
নরকে আমায় তোমার নোটেশনে জ্বলেপুড়ে প্রজ্ঞাবান
হয়ে ওঠার আত্মশ্লাঘায় পায়, আমি
মহাত্যাগী হওয়ার শপথ নিই, কিন্তু
শ্রমণ থেকে গৌতম সাধনের পথে
ও কোনো রূপে পুনশ্চ আমার পিছু নেয়, ধাওয়া করে
কোথাও না কোথাও সে আমায় বাগে পায়
কিংবা আমিই তাদের কাছে ধরা দিই –
ধরা না দিয়ে কি পারে তার অদম্য প্রেমিক! হয়তো
এ এক অপার মোহ কিংবা বিভ্রম, অথচ
আমি ধরা দিই – না দেয়ার কোনো বিকল্প কোথাও
দেখি না; বস্তুত আমি কোনোভাবেই তোমার নোটেশন
অতিক্রমের কৌশল আয়ত্ত করতে পারি না
সারাদিন ডাকিনী মুল্লুকে মুক্তির পথ খুঁজতে খুঁজতে
খুঁজতে খুঁজতে সন্ধ্যায় তোমার নোটেশনের মায়ায়
আমার ডাকিনীরই ঘরে ফেরা – ও আমার মরণফাঁদ
কিংবা এ-আমার আত্মাহুতি – জন্মান্তরে
নবজন্মে যখন আমার চেতন হয় দেখি
সুন্দরে বিলীন হয়ে অবশেষে এক চোরাবালির মধ্যে
আমিও সুন্দরের নোটেশন হয়ে ফুটেছি