পূর্ণিমার চাঁদ

সব্যসাচী দেব

 

তখন গাছের ফাঁকে উঁকি মারে পূর্ণিমার ভরা গোল চাঁদ

তখন হাওয়ায় থাকে দূর থেকে ভেসে আসা রহস্যের স্বাদ

 

এখানে নদীর শব্দ আসে না তবুও তার অনাহত সুর

তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে বাজে, স্পর্শ করি অশ্রম্নতকে, যদিও সুদূর

 

তবে কি দূরের ধ্বনি কাছে এসে ক্রমাগত গান হয়ে ওঠে

যেমন ধ্যানের মধ্যে অশরীরী আলতো চুমু নেমে আসে ঠোঁটে

 

এভাবে কাছের হয়! এভাবে রাত্রির পাশে লেখা হয় দিন

এভাবে তোমাকে লিখি! চেনা-অচেনার দ্বন্দ্বে বেড়ে ওঠে ঋণ

 

তাহলে শব্দের দিকে ফিরে আসি, খুঁজে নিই তরঙ্গের ধ্বনি

তার কাছে শিখে নিই কীভাবে বা আলো ছোঁয় অন্ধকার খনি

 

পূর্ণিমার চাঁদ দেখি ঝুঁকে আছে শিরীষের পাতার ওপর

আদিম বৃক্ষের রুক্ষ ডালপাতা কেঁপে ওঠে আবেশে মন্থর

 

তাহলে স্পর্শের কাছে ঋণ থাকে। স্পর্শহীন অনুভবও থাকে

এভাবে রচনা করি, এভাবে লালন করি মগ্ন কবিতাকে